নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুর কবির রিজভী বলেন, ভারত নিয়ে ওবায়দুল কাদের সত্যি কথা বলেছেন। তার বক্তব্যে পরিষ্কার, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভারত প্রভাব বিস্তার করেছে। ভোটার শূন্য নির্বাচন করে এত এত বড় কথা মানায় না। আজকে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য- চুরির বক্তব্য।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, বিএনপির শ্রম বিষয়ক সহ-সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচনে ভারত পাশে ছিল বলেই অন্য রাষ্ট্রগুলো কিছু করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার ভোটার শূন্য নিবার্চন করেছে।
রুহুল কবির রিজভীর অভিযোগ, আওয়ামী পরিবার ছাড়া কোনো মেধাবীর চাকরি হচ্ছে না। প্রত্যেকটি কারাগার প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বন্দিশালা।
রিজভী বলেন, রমজানে মানুষ ঠিকমতো খেতে পারছে না। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আক্রমণ করে রক্তান্ত করছে ছাত্রলীগ। পাশের দেশকে খুশি করতে এ হামলা করছে তারা। প্রভুদের খুশি করতে ইফতার পার্টি বন্ধ করছে সরকার। ভয়-আতঙ্ক থেকে বিএনপির সভা-সমাবেশ ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সরকার যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করছে। নিত্য পণ্যের দামের কারণে মানুষের মনে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের আকাশচুম্বী দাম থাকার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, চারটি লেবুর দাম এখন ৮০ টাকা। আওয়ামী লীগ সরকার বেগুনির বদলে কুমড়া খেতে বলেছিল, কাঁঠালের বার্গার খেতে বলেছিল। এখন হয়তো বলতে পারে লেবুর দাম বেশি, সবাই জলপাইয়ের জুস খান অথবা কামরাঙ্গার জুস খান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইফতার মাহফিলে ছাত্রলীগের হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশকে খুশি করার জন্য ছাত্রলীগ ইফতার পার্টিতে হামলা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দিয়ে বলানো হলো ইফতার পার্টি করা যাবে না। এরপর ছাত্রলীগকে দিয়ে হামলা চালানো হলো। রমজান মাসে ধর্মীয় অনুভূতি কাজ করে। সিয়াম সাধনার পাশাপাশি এই মাস মুসলিমদের উৎসবের মাসও। ইফতার পার্টি না দেওয়া হলেও সবাই একসঙ্গে হয়ে ইফতার করতে চায়, সেখানেও রক্ত ঝরিয়েছে ছাত্রলীগ। এটি সরকার করিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাজার সিন্ডিকেটের সদস্যরা সরকারের লোক বলে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। ভিন্নমতের কাউকে এ দেশে আর রাখতে চায় না সরকার। এক রঙের এক দেশ বানাতে চায় সরকার।
রিজভী বলেন, সরকার এক রঙয়ের একমাত্রিক বাংলদেশ গড়ে সেখানে থাকতে চায়। কিন্তু এই থাকা যে চিরকালীন হবে না। এই থাকার সিংহাসন হুড়মুড় করে রাস্তায় পড়ে যাবে। সেটা সরকার প্রধান এখনো টের পাচ্ছেন না।
মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস সহ অনেকে।