নিজস্ব প্রতিবেদক :
ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ভারত থেকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। দেশের চার প্রতিষ্ঠান এক কোটি করে এ ডিম আমদানি করতে পারবে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হায়দার আলী বলেন, ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে আপাতত চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চার প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমদানি করা ডিম খুচরাপর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে।
তিনি বলেন, আমদানি করা ডিম লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই এটি শুরু হবে।
মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং এবং অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেডকে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়। এজন্য দেশের বাজারে ডিমের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রাথমিক পর্যায়ে সরকার আমদানির পর বাজার স্থিতিশীল আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে এবং বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে গত বছর ৫১ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি চেয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় আমদানিকারকরা। বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী দেশে প্রতিদিন প্রায় ৪ কোটি ডিম উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে ৯-১২ শতাংশ কর্পোরেট পোল্ট্রি ফার্ম ও বাকি ডিম গ্রামাঞ্চলের প্রান্তিক খামারিদের মাধ্যমে উৎপাদিত হয়।
মূলত ডিমের দাম বাড়তির অজুহাত ও সরবরাহ ঘাটতির কথা বলে ভারত থেকে দেশে ৫১ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি প্রার্থনা করে একটি ব্যবসায়ী চক্র।
প্রসঙ্গত, গত বছর আগস্টের মধ্যভাগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন।
১৪ সেপ্টেম্বর খুচরাপর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। তারপরও বাজারে কমেনি দাম। শেষপর্যন্ত ডিম আমদানির অনুমতি দিলো সরকার।
এদিকে ডিম আমদানির জন্য পাঁচটি শর্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এগুলো হলো, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু মুক্ত ডিম আমদানি করতে হবে। আমদানিকৃত ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে। সরকার নির্ধারিত শুল্ক বা কর পরিশোধ করতে হবে। নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না। সরকারের অন্য বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।
 
																			 
										 নিজস্ব প্রতিবেদক
																নিজস্ব প্রতিবেদক								 















