Dhaka শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ করলেও রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না : বাণিজ্য উপদেষ্টা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ২১০ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলেও এতে রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের আওতায় মিট বাংলাদেশ এক্সপোজিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশের নিজস্ব সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে রপ্তানিতে খরচ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য রপ্তানি খরচ আরও হ্রাস পাবে।

তিনি বলেন, রপ্তানি বহুমুখীকরণের পাশাপাশি ব্যবসা সহজীকরণ ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইনডো’ চালুর মতো উদ্যোগ। ব্যবসায়ীদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ এখন সময়ের দাবি। কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর নির্ভরশীল থেকে বিশ্ববাজারে টিকে থাকা যাবে না। উদ্ভাবন ও নতুন বাজার অনুসন্ধানের ওপর জোর দিতে হবে।’

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমাদের রপ্তানি একটি পণ্যের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। এজন্য আমাদের রপ্তানি বহুমুখীকরণ করা উচিত। টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য আমাদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে কাজে লাগাতে হবে। এছাড়া আমাদের দুর্নীতি দূর করতে হবে এবং স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) সম্প্রতি একটি সফল আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন করেছে। সেখানে আমরা আমাদের সক্ষমতা এবং সুযোগগুলো সম্পর্কে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অবহিত করেছি। বাংলাদেশে যারা উদ্যোক্তা আছেন, যারা নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝেও বাংলাদেশকে আজ এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন, আমি তাদের প্রতি আন্তরিক সম্মান জানাই। যারা এখানে নিজেদের পণ্যগুলো প্রদর্শন করতে নিয়ে এসেছেন তাদেরকে এবং বিদেশি ক্রেতাদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই।

উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের সিনিয়র অপারেশন অফিসার অ্যান্ড অ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর সোহাইল কাসিম ও বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহমেদ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট হোসনা ফেরদৌস সুমি বক্তব্য রাখেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) ও ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রহিম খান সমাপনী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এই প্রজেক্টের উপ-প্রকল্প পরিচালক শেখ মো. আব্দুর রহমান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ করলেও রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না : বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলেও এতে রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের আওতায় মিট বাংলাদেশ এক্সপোজিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশের নিজস্ব সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে রপ্তানিতে খরচ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য রপ্তানি খরচ আরও হ্রাস পাবে।

তিনি বলেন, রপ্তানি বহুমুখীকরণের পাশাপাশি ব্যবসা সহজীকরণ ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইনডো’ চালুর মতো উদ্যোগ। ব্যবসায়ীদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ এখন সময়ের দাবি। কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর নির্ভরশীল থেকে বিশ্ববাজারে টিকে থাকা যাবে না। উদ্ভাবন ও নতুন বাজার অনুসন্ধানের ওপর জোর দিতে হবে।’

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমাদের রপ্তানি একটি পণ্যের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। এজন্য আমাদের রপ্তানি বহুমুখীকরণ করা উচিত। টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য আমাদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে কাজে লাগাতে হবে। এছাড়া আমাদের দুর্নীতি দূর করতে হবে এবং স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) সম্প্রতি একটি সফল আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন করেছে। সেখানে আমরা আমাদের সক্ষমতা এবং সুযোগগুলো সম্পর্কে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অবহিত করেছি। বাংলাদেশে যারা উদ্যোক্তা আছেন, যারা নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝেও বাংলাদেশকে আজ এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন, আমি তাদের প্রতি আন্তরিক সম্মান জানাই। যারা এখানে নিজেদের পণ্যগুলো প্রদর্শন করতে নিয়ে এসেছেন তাদেরকে এবং বিদেশি ক্রেতাদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই।

উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের সিনিয়র অপারেশন অফিসার অ্যান্ড অ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর সোহাইল কাসিম ও বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহমেদ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট হোসনা ফেরদৌস সুমি বক্তব্য রাখেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) ও ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রহিম খান সমাপনী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এই প্রজেক্টের উপ-প্রকল্প পরিচালক শেখ মো. আব্দুর রহমান।