লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি :
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ভারত চায় না বলে মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ড. ইউনূস সরকারকে যারা নামাতে চান, তারা এ দেশের রাজনীতি করেন না, তারা দিল্লি ও ‘র’ এর রাজনীতি করেন। তারা দেশ, জনগণ ও মানবতার শত্রু।
শনিবার (২৪ মে) বিকেলে লক্ষ্মীপুর দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের জেলা কার্যালয়ে দায়িত্বশীলদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারত কোনো অবস্থাতেই চায় না ইউনূস বাংলাদেশের গদিতে থাকুক। ভারত সরকার কোনোভাবেই তাকে মেনে নিতে পারছে না। ইউনূস সরকার ভারতের গোলমি থেকে আমাদের মুক্তি করার চেষ্টা করছে। ভারতের গোলামি থেকে বের হওয়ার হাজারো চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। এটি ভারত সহ্য করতে পারছে না। এজন্য ‘র’ আমাদের দেশের কিছু মানুষের ওপর সওয়ার হয়ে ক্ষমতার প্রলোভন দেখিয়ে তারা ইউনূস সরকারকে পদত্যাগ করার জন্য বাধ্য করাতে চাচ্ছে। তবে এ দেশের জনগণ সচেতন। কোনো অবস্থায়ই ‘র’ এর ফাঁদে জনগণ পা দেবে না।
ডিসেম্বরে নির্বাচনে দেওয়া উচিত সেনাপ্রধানের এমন বক্তব্য নিয়ে ফয়জুল করিম বলেন, সেনাপ্রধানের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো। সেনাপ্রধানের তার দায়িত্ব পালন করাই উচিত। সেনাপ্রধানের দায়িত্ব হলো দেশকে রক্ষা করা। দেশের রাজনীতি করা তার দায়িত্ব নয়। আমরা অনুরোধ করব, তিনি তার দায়িত্ব পালন করবেন। যা তার দায়িত্ব নয়, অনধিকার চর্চা তিনি করবেন না।
করিডর নিয়ে তিনি বলেন, ভারতের কোনো প্রেসক্রিপসন আমাদের দেশের জনগণ বাস্তবায়ন করবে না। যদি মানবিক করিডর ভারতের পক্ষে হয়, আমরা নাই। যদি দেশের পক্ষে হয়, আমরা আছি। আমরা আমাদের দেশের স্বার্থে কাজ করব, আমরা ভারতের স্বার্থে কাজ করব না। ভারত যতটুকু আমাদেরকে স্বার্থ দেবে, আমরাও ততটুক তাদের স্বার্থ দেব। একতরফা ভারত কোনো স্বার্থ পাবে না, সুবিধাভোগ করতে পারবে না। আমাদেরকে সুবিধা দেবে, আমরাও সুবিধা দেব। আমাদেরকে সুবিধা দেবে না, আমরা তাদেরকে সুবিধা থেকে বঞ্চিত করব।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক নূরুল করীম আকরাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মহি উদ্দিন, সেক্রেটারি জহির উদ্দিন, প্রচার ও দাওয়া সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা শাখার সভাপতি মোখলেছুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শোরাফ উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।