Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতে ৩ বাংলাদেশিকে কুপিয়ে ও তীর মেরে হত্যা

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই এলাকায় কুপিয়ে ও তীর মেরে তিন বাংলাদেশিকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) এই তথ্য জানায়।

নিহতরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার আলীনগর গ্রামের আশ্বব আলীর ছেলে জুয়েল মিয়া (৩২), বাসুল্লা গ্রামের কনা মিয়ার ছেলে পতি মিয়া (৪৫) ও কবিলাশপুর গ্রামের কদ্দুস মিয়ার ছেলে সজল মিয়া (২০)।

বিজিবি জানায়, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সীমান্তবর্তী বিদ্যাবিল এলাকার এই তিন বাংলাদেশি দু-তিন দিন আগে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই থানাধীন কারেঙ্গিছড়া এলাকায় গোপনে প্রবেশ করে অবস্থান করছিলেন। স্থানটি সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে প্রায় ৪-৫ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে এবং ভারতীয় ৭০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন এলাকায় অবস্থিত। ভারতীয় জনসাধারণ রাতের আঁধারে গরু চুরির আশঙ্কায় সংঘবদ্ধভাবে তাঁদের কুপিয়ে ও তীর মেরে হত্যা করে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে খোয়াই থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তারেকুর রহমান বলেন, রাতে বিজিবি নিহতদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে ভারতের কাছে পাঠিয়েছে। সেখান থেকে পাঠানো লাশের ছবিতে জুয়েল, পতি ও সজলকে শতভাগ শনাক্ত করা গেছে।

রাত ১২টায় ৫৫ বিজিবির (হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন) কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান বলেন, গুলিবিদ্ধ ও কুপিয়ে হত্যা করা মরদেহগুলো বাংলাদেশি তিনজনের। এ ব্যাপারে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের প্রক্রিয়া চলছে।

এ ঘটনায় বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনার সত্যতা যাচাই এবং বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বিজিবি। বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখার পাশাপাশি এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ভারতে ৩ বাংলাদেশিকে কুপিয়ে ও তীর মেরে হত্যা

প্রকাশের সময় : ১২:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই এলাকায় কুপিয়ে ও তীর মেরে তিন বাংলাদেশিকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) এই তথ্য জানায়।

নিহতরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার আলীনগর গ্রামের আশ্বব আলীর ছেলে জুয়েল মিয়া (৩২), বাসুল্লা গ্রামের কনা মিয়ার ছেলে পতি মিয়া (৪৫) ও কবিলাশপুর গ্রামের কদ্দুস মিয়ার ছেলে সজল মিয়া (২০)।

বিজিবি জানায়, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সীমান্তবর্তী বিদ্যাবিল এলাকার এই তিন বাংলাদেশি দু-তিন দিন আগে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই থানাধীন কারেঙ্গিছড়া এলাকায় গোপনে প্রবেশ করে অবস্থান করছিলেন। স্থানটি সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে প্রায় ৪-৫ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে এবং ভারতীয় ৭০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন এলাকায় অবস্থিত। ভারতীয় জনসাধারণ রাতের আঁধারে গরু চুরির আশঙ্কায় সংঘবদ্ধভাবে তাঁদের কুপিয়ে ও তীর মেরে হত্যা করে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে খোয়াই থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তারেকুর রহমান বলেন, রাতে বিজিবি নিহতদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে ভারতের কাছে পাঠিয়েছে। সেখান থেকে পাঠানো লাশের ছবিতে জুয়েল, পতি ও সজলকে শতভাগ শনাক্ত করা গেছে।

রাত ১২টায় ৫৫ বিজিবির (হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন) কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান বলেন, গুলিবিদ্ধ ও কুপিয়ে হত্যা করা মরদেহগুলো বাংলাদেশি তিনজনের। এ ব্যাপারে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের প্রক্রিয়া চলছে।

এ ঘটনায় বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনার সত্যতা যাচাই এবং বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বিজিবি। বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখার পাশাপাশি এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।