Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতে অনুপ্রবেশ ও ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে বসবাসের অভিযোগ তুলে এক হাজারের বেশি ‘কথিত’ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে গুজরাট পুলিশ। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতভর রাজ্যের পুলিশের নেতৃত্বে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি), ক্রাইম ব্রাঞ্চ, অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ) বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি এই তথ্য জানিয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে কমপক্ষে ৮৯০ বাংলাদেশি ও সুরাটে ১৩৪ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গুজরাটে এখন পর্যন্ত এটিই বৃহত্তম অভিযান বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি।

গুজরাটে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের এই মন্ত্রী।

ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি বলেছেন, অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারে রাজ্য পুলিশ ঐতিহাসিক সাফল্য দেখিয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে গুজরাট পুলিশের এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা গুজরাটে আসার আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করেন। সেখানে তারা জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন। গুজরাটের এই মন্ত্রী বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকেই মাদক চোরাচালান ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমরা দেখেছি, সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা চার বাংলাদেশির মাঝে দু’জন কীভাবে আল-কায়েদার স্লিপার সেলে কাজ করেছেন। গুজরাটে এই বাংলাদেশিদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।

হর্ষ সাংঘভি বলেন, শিগগিরই ওই বাংলাদেশিদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, তারা ভারতে ও গুজরাটের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য যে জাল নথি ব্যবহার করতেন, সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। একই সঙ্গে যারা তাদের জাল নথি তৈরি করে দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে এ পর্যন্ত দুটি ভিন্ন এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ১২৭ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং ৭৭ জনকে দেশে পাঠানো হয়।

এদিকে ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত, যার মধ্যে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে। তারপর যাতে কোনো পাকিস্তানি নাগরিক থেকে না যান, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে প্রতিটা রাজ্যকে। পাশাপাশি দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বলেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

ভারতে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময় : ০৬:১৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতে অনুপ্রবেশ ও ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে বসবাসের অভিযোগ তুলে এক হাজারের বেশি ‘কথিত’ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে গুজরাট পুলিশ। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতভর রাজ্যের পুলিশের নেতৃত্বে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি), ক্রাইম ব্রাঞ্চ, অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ) বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি এই তথ্য জানিয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে কমপক্ষে ৮৯০ বাংলাদেশি ও সুরাটে ১৩৪ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গুজরাটে এখন পর্যন্ত এটিই বৃহত্তম অভিযান বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি।

গুজরাটে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের এই মন্ত্রী।

ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি বলেছেন, অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারে রাজ্য পুলিশ ঐতিহাসিক সাফল্য দেখিয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে গুজরাট পুলিশের এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা গুজরাটে আসার আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করেন। সেখানে তারা জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন। গুজরাটের এই মন্ত্রী বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকেই মাদক চোরাচালান ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমরা দেখেছি, সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা চার বাংলাদেশির মাঝে দু’জন কীভাবে আল-কায়েদার স্লিপার সেলে কাজ করেছেন। গুজরাটে এই বাংলাদেশিদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।

হর্ষ সাংঘভি বলেন, শিগগিরই ওই বাংলাদেশিদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, তারা ভারতে ও গুজরাটের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য যে জাল নথি ব্যবহার করতেন, সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। একই সঙ্গে যারা তাদের জাল নথি তৈরি করে দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে এ পর্যন্ত দুটি ভিন্ন এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ১২৭ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং ৭৭ জনকে দেশে পাঠানো হয়।

এদিকে ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত, যার মধ্যে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে। তারপর যাতে কোনো পাকিস্তানি নাগরিক থেকে না যান, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে প্রতিটা রাজ্যকে। পাশাপাশি দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বলেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।