Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ১৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন।

রোববার (২৯ অক্টোবর) রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের কান্তাকাপল্লিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সংবাদমাধ্যমটির তথ্য অনুযায়ী, রোববার রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের কন্টকপল্লিতে দাঁড়ানো একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে ধাক্কা দেয় পলাশা নামের আরেকটি এক্সপ্রেস ট্রেন।

প্রাথমিক তদন্তে জানানো হয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটি নয়, ট্রেন চালকের ভুলের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দাঁড়ানো অবস্থায় থাকা ট্রেনটি বিশাখাপত্তম থেকে রায়গড় যাচ্ছিল। উপরের ক্যাবলের ব্রেকের কারণে ট্রেনটি দাঁড়িয়েছিল। ওই সময় অপরপ্রান্ত থেকে আসা পলাশা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দাঁড়ানো ট্রেনটিতে ধাক্কা মারে। এতে তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গেছে, রেললাইনের পাশে লাইনচ্যুত বগি পড়ে আছে এবং সেখানে মানুষ জড়ো হচ্ছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গেছে, রেললাইনের পাশে লাইনচ্যুত বগি পড়ে আছে এবং সেখানে মানুষ ভিড় করছেন।

ভারতের ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চালক সিগন্যাল মানেননি। রেড সিগন্যাল থাকা সত্ত্বেও তিনি সিগন্যাল ভেঙে এগিয়ে যান। ফলে ট্রেনটি বিশাখাপত্তনম-পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের পেছনে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ৪০ জন।

দুর্ঘটনার পর ভারতের পূর্বাঞ্চলের রেল বিভাগ হেল্পলাইন খুলেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জাগান রেড্ডি ট্রেন দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ সাহু বলেন, ‘বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চালকই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। রেলের সিগন্যালিংয়ের কোনও সমস্যা ছিল না। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি ওই লাইনে থাকায়, পেছন থেকে আসা বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে রেড সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চালক সেই সিগন্যাল না মানায় দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি গিয়ে পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের পেছনে ধাক্কা দেয়। ওই চালকের মৃত্যু হয়েছে। তবে তদন্ত এখনও চলছে।’

এদিকে ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনার খবরে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে তিনি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ রুপি করে এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করেছেন। আর গুরুতর আহতরা আড়াই লাখ রুপি করে এবং সামান্য আহত যাত্রীরা ৫০ হাজার রুপি করে পাবেন বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ভারতে অবশ্য রেল দুর্ঘটনা বেশ সাধারণ ব্যাপার। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটির ওড়িশা রাজ্যে তিন ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে ২৮০ জন মানুষ প্রাণ হারান। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি দুর্ঘটনার শিকার হলো ভারতীয় রেল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

ভারতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ১৩

প্রকাশের সময় : ১২:৪৯:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন।

রোববার (২৯ অক্টোবর) রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের কান্তাকাপল্লিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সংবাদমাধ্যমটির তথ্য অনুযায়ী, রোববার রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের কন্টকপল্লিতে দাঁড়ানো একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে ধাক্কা দেয় পলাশা নামের আরেকটি এক্সপ্রেস ট্রেন।

প্রাথমিক তদন্তে জানানো হয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটি নয়, ট্রেন চালকের ভুলের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দাঁড়ানো অবস্থায় থাকা ট্রেনটি বিশাখাপত্তম থেকে রায়গড় যাচ্ছিল। উপরের ক্যাবলের ব্রেকের কারণে ট্রেনটি দাঁড়িয়েছিল। ওই সময় অপরপ্রান্ত থেকে আসা পলাশা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দাঁড়ানো ট্রেনটিতে ধাক্কা মারে। এতে তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গেছে, রেললাইনের পাশে লাইনচ্যুত বগি পড়ে আছে এবং সেখানে মানুষ জড়ো হচ্ছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গেছে, রেললাইনের পাশে লাইনচ্যুত বগি পড়ে আছে এবং সেখানে মানুষ ভিড় করছেন।

ভারতের ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চালক সিগন্যাল মানেননি। রেড সিগন্যাল থাকা সত্ত্বেও তিনি সিগন্যাল ভেঙে এগিয়ে যান। ফলে ট্রেনটি বিশাখাপত্তনম-পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের পেছনে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ৪০ জন।

দুর্ঘটনার পর ভারতের পূর্বাঞ্চলের রেল বিভাগ হেল্পলাইন খুলেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জাগান রেড্ডি ট্রেন দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ সাহু বলেন, ‘বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চালকই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। রেলের সিগন্যালিংয়ের কোনও সমস্যা ছিল না। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি ওই লাইনে থাকায়, পেছন থেকে আসা বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে রেড সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চালক সেই সিগন্যাল না মানায় দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি গিয়ে পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের পেছনে ধাক্কা দেয়। ওই চালকের মৃত্যু হয়েছে। তবে তদন্ত এখনও চলছে।’

এদিকে ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনার খবরে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে তিনি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ রুপি করে এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করেছেন। আর গুরুতর আহতরা আড়াই লাখ রুপি করে এবং সামান্য আহত যাত্রীরা ৫০ হাজার রুপি করে পাবেন বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ভারতে অবশ্য রেল দুর্ঘটনা বেশ সাধারণ ব্যাপার। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটির ওড়িশা রাজ্যে তিন ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে ২৮০ জন মানুষ প্রাণ হারান। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি দুর্ঘটনার শিকার হলো ভারতীয় রেল।