আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভারতে ঝাড়খণ্ডের বোকারোর পিটারওয়ার এলাকায় মহরমের তাজিয়া মিছিল মিছিল চলাকালীন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে একদল লোক খেতকো গ্রামের দিকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, তাজিয়ার উচ্চতা ছিল প্রায় ১৫ ফুট।
নিহতরা হলেন, আসিফ রাজা (২১), ইনামুল রব (৩৫), গোলাম হুসেন (১৮) এবং সাজিদ আনসারি (১৮)।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৬টায় মহররমের শোভাযাত্রা বের করার সময় লোহার রডে বিদ্যুতের হাই ভোল্টেজ তার লেগে যায়। এর ফলেই তড়িতাহত হন কয়েকজন।
বোকারোর পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট প্রিয়দর্শী অলোক প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে জানান, রাজ্যের রাজধানী রাঁচি থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে পেটারওয়ার থানার সীমানার অধীনে খেতকো গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। শনিবার সকাল ৬টার দিকে তারা তাজিয়া মিছিলের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাঁরা একটি ধর্মীয় পতাকা বহন করছিলেন, যা রডে সংযুক্ত ছিল। কোনোভাবে এটি ১১ হাজার ভোল্টের একটি বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসে। তখনই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জখমদের চিকিৎসার জন্য বোকারোর একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ইন্ডিয়া টুডের সূত্রে দাবি করা হয়েছে, জখম হয়েছেন ১৩ জন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক।
আহত ব্যক্তিদের বোখারো জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী বেবী দেবী হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গেও তিনি দেখা করেছেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন নিহত প্রতিটি পরিবারকে তিন লাখ রুপি আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
সকালে কলকাতার নাখোদা মসজিদ, বিধান সরণি, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, পার্ক সার্কাস, আনোয়ার শাহ রোড থেকে তাজিয়া মিছিল বের হয়। এ ছাড়া কলকাতার টালিগঞ্জ, মেটিয়া ব্রুজ, শিয়ালদহ, নিউ আলীপুর, মহাবীরতলা, রাজাবাজার, খিদিরপুর, বেলগাছিয়া, কৈখালিসহ বিভিন্ন এলাকায় তাজিয়া মিছিল বের হয়।
গত মাসে উল্টোরথের যাত্রার সময় ত্রিপুরায় তড়িতাহত হয়ে প্রাণ হারায় সাতজন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন তিনজন নারী ও তিন শিশু। আহত হয় ১৬ জন। এবার মহররমের শোভাযাত্রার সময়ও একইভাবে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।