Dhaka শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় পণ্য বর্জন পলিটিক্যাল স্ট্যান্টবাজি ছাড়া কিছুই নয় : আব্দুল মোমেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভারতীয় পণ্য বর্জন পলিটিক্যাল স্ট্যান্টবাজি ছাড়া কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক-পরবর্তী মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

আব্দুল মোমেন বলেন, ইদানীং ভারতীয় পণ্য বয়কটের যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে, তাতে বিএনপিও সায় দিচ্ছে। কিন্তু আমার মতামত হলো, ভারতীয় পণ্য বয়কট কেবলই একটি পলিটিক্যাল স্ট্যান্ট। এ ধরনের পরিকল্পনা হবে আত্মঘাতী।

তিনি বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরের ওপর রিপোর্ট কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়। ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের জীবনমান কেমন আছে, তা দেখতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কুতুপালং এবং ভাসানচর পরিদর্শনের জন্য বৈঠকে প্রস্তাব করা হয়। সেই সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার সম্পর্কিত একটি নতুন উইং চালুর বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেয়া হয়।

মোমেন বলেন, ‘প্রায়ই আমরা প্রবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাই। আপনারা জানেন যে বিদেশে চলা সব কটি মিশনের একজন প্রধান ইনস্পেকটর আছেন। আমরা সুপারিশ করেছি যে প্রত্যেক মাসে প্রবাসীদের কাছ থেকে কতগুলো এবং কী অভিযোগ আসে, তার বিবরণ যেন আমাদের জানানো হয়।’

এ ছাড়া অভিযোগ আছে যে প্রচুর প্রবাসী বিদেশি জেলগুলোতে বন্দি। তাদের সেখান থেকে উদ্ধার ও মনিটরিং কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার প্রস্তাবনা করা হয়েছে।

আব্দুল মোমেন বলেন, এবারের সংসদীয় কমিটিতে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে একটি ইস্যু হলো, প্রায়ই আমরা প্রবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাই। আপনারা জানেন যে, বিদেশে চলা সবগুলো মিশনের একজন প্রধান ইনস্পেকটর আছেন। আমরা সুপারিশ করেছি যে, প্রত্যেক মাসে প্রবাসীদের কাছ থেকে কতগুলো এবং কি অভিযোগ আসে, তার বিবরণ যেন আমাদের জানানো হয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মানবাধিকার বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন উইং আছে, আমরা সুপারিশ করেছি এর পাশাপাশি যেন মানবাধিকার উইং খোলা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন দেশে দূতরা যখন ট্রান্সফার হন, তখন তিনি দূতাবাসের নম্বরটি সঙ্গে করে নিয়ে যান। ফলে সেবাগ্রহীতারা তৎক্ষণাৎ সেবা পায় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করার জন্য একটি ইউনিক ফোন নম্বর তৈরি করা বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে।

মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে নির্বাচনের আগে এক সময় মিয়ানমার রাজি হলেও কিছু বিদেশি সংস্থা বাধা দেয়ায় তা স্থগিত হয়ে যায়। তবে দ্বিপাক্ষিকভাবে এ সমস্যা সমাধানে কাজ করা হচ্ছে।

সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি নাবিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি, এমনকি কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি উঠে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন যে, নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে, শিগগিরই একটি ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে।

কমিটির সভাপতি এ. কে আব্দুল মোমেন সভাপতিত্বে গতকালের বৈঠকে কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, মো. শাহরিয়ার আলম, নাহিম রাজ্জাক, নিজাম উদ্দিন জলিল (জন), নুরুল ইসলাম নাহিদ, হাবিবুর রহমান, সাইমুম সারওয়ার কমল এবং জারা জাবীন মাহবুব অংশগ্রহণ করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ভারতীয় পণ্য বর্জন পলিটিক্যাল স্ট্যান্টবাজি ছাড়া কিছুই নয় : আব্দুল মোমেন

প্রকাশের সময় : ০২:৩৬:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভারতীয় পণ্য বর্জন পলিটিক্যাল স্ট্যান্টবাজি ছাড়া কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক-পরবর্তী মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

আব্দুল মোমেন বলেন, ইদানীং ভারতীয় পণ্য বয়কটের যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে, তাতে বিএনপিও সায় দিচ্ছে। কিন্তু আমার মতামত হলো, ভারতীয় পণ্য বয়কট কেবলই একটি পলিটিক্যাল স্ট্যান্ট। এ ধরনের পরিকল্পনা হবে আত্মঘাতী।

তিনি বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরের ওপর রিপোর্ট কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়। ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের জীবনমান কেমন আছে, তা দেখতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কুতুপালং এবং ভাসানচর পরিদর্শনের জন্য বৈঠকে প্রস্তাব করা হয়। সেই সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার সম্পর্কিত একটি নতুন উইং চালুর বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেয়া হয়।

মোমেন বলেন, ‘প্রায়ই আমরা প্রবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাই। আপনারা জানেন যে বিদেশে চলা সব কটি মিশনের একজন প্রধান ইনস্পেকটর আছেন। আমরা সুপারিশ করেছি যে প্রত্যেক মাসে প্রবাসীদের কাছ থেকে কতগুলো এবং কী অভিযোগ আসে, তার বিবরণ যেন আমাদের জানানো হয়।’

এ ছাড়া অভিযোগ আছে যে প্রচুর প্রবাসী বিদেশি জেলগুলোতে বন্দি। তাদের সেখান থেকে উদ্ধার ও মনিটরিং কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার প্রস্তাবনা করা হয়েছে।

আব্দুল মোমেন বলেন, এবারের সংসদীয় কমিটিতে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে একটি ইস্যু হলো, প্রায়ই আমরা প্রবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাই। আপনারা জানেন যে, বিদেশে চলা সবগুলো মিশনের একজন প্রধান ইনস্পেকটর আছেন। আমরা সুপারিশ করেছি যে, প্রত্যেক মাসে প্রবাসীদের কাছ থেকে কতগুলো এবং কি অভিযোগ আসে, তার বিবরণ যেন আমাদের জানানো হয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মানবাধিকার বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন উইং আছে, আমরা সুপারিশ করেছি এর পাশাপাশি যেন মানবাধিকার উইং খোলা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন দেশে দূতরা যখন ট্রান্সফার হন, তখন তিনি দূতাবাসের নম্বরটি সঙ্গে করে নিয়ে যান। ফলে সেবাগ্রহীতারা তৎক্ষণাৎ সেবা পায় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করার জন্য একটি ইউনিক ফোন নম্বর তৈরি করা বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে।

মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে নির্বাচনের আগে এক সময় মিয়ানমার রাজি হলেও কিছু বিদেশি সংস্থা বাধা দেয়ায় তা স্থগিত হয়ে যায়। তবে দ্বিপাক্ষিকভাবে এ সমস্যা সমাধানে কাজ করা হচ্ছে।

সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি নাবিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি, এমনকি কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি উঠে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন যে, নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে, শিগগিরই একটি ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে।

কমিটির সভাপতি এ. কে আব্দুল মোমেন সভাপতিত্বে গতকালের বৈঠকে কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, মো. শাহরিয়ার আলম, নাহিম রাজ্জাক, নিজাম উদ্দিন জলিল (জন), নুরুল ইসলাম নাহিদ, হাবিবুর রহমান, সাইমুম সারওয়ার কমল এবং জারা জাবীন মাহবুব অংশগ্রহণ করেন।