Dhaka বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাস

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:২৮:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৭৯ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক :

জয়ের মঞ্চ আগেই প্রস্তুত করে রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ দিনে কেবল দেখার ছিল, ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে কতদুর যেতে পারে ভারত। সাইমন হার্মারের স্পিনে আরও একবার মুখ থুবড়ে পড়ল স্বাগতিকদের ব্যাটিং। রেকর্ড গড়া জয়ের উল্লাসে মাতল সফরকারীরা।

গুয়াহাটি টেস্টে বুধবার (২৬ নভেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৪০৮ রানে। দেশটির টেস্ট ইতিহাসে রানের হিসেবে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৯২ রানে জিতেছিল প্রোটিয়ারা।

টেস্টে রানের হিসেবে এটি ভারতের সবচেয়ে বড় হার। নাগপুরে ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৪২ রানে হেরেছিল তারা।

ম্যাচটিতে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়েন এইডেন মার্করাম। পুরো ম্যাচে ৯টি ক্যাচ নেন তিনি। টেস্টের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে এক ম্যাচে এত ক্যাচ নিতে পারেননি কোনো ফিল্ডার। ২০১৫ সালে গল টেস্টে আজিঙ্কা রাহানের নেওয়া ৮ ক্যাচ এত দিন ছিল রেকর্ড।

ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন মার্কো ইয়ানসেন। তবে সিরিজ সেরা হন হার্মার। কলকাতা টেস্টে দুই ইনিংসেই ৪টি করে উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন এই অফ স্পিনার। এবার গুয়াহাটিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ধরলেন ৬ শিকার, ৩৭ রান খরচায়। প্রথম ইনিংসে তার প্রাপ্তি ছিল ৩ উইকেট।

হার্মারের ছোবলে ৫৪৯ রানের প্রায় অসম্ভব লক্ষ্য তাড়ায় কেবল ১৪০ রান করতে পারে ভারত। প্রথম ইনিংসে তারা করেছিল ২০১ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ইনিংসে রান যথাক্রমে ৪৮৯ ও ২৬০/৫ (ইনিংস ঘোষণা)।

ভারতের মাটিতে এনিয়ে দুটি টেস্ট সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। দুটিতেই স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করল তারা। ২৫ বছর আগেও দুই ম্যাচের সিরিজ একই ব্যবধানে (২-০) জিতেছিল দলটি।

২৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে শেষ দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরু করেন কুলদিপ ইয়াদাভ ও সাই সুদার্শান। দিনের প্রথম কয়েক ওভার কাটিয়ে দেন তারা। এরপর জোড়া ছোবল দেন হার্মার। কুলদিপকে বোল্ড করার দুই বল পর ধ্রুভ জুরেলকে বিদায় করেন তিনি।

কেশাভ মহারাজকে চার ও ছক্কা মারা রিশাভ পান্তকেও ফেরান হার্মার। খুব ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে ১৩৯ বলে ১৪ রান করা সুদার্শানের প্রতিরোধ ভাঙেন সেনুরান মুথুসামি।

৯৫ রানে ৬ উইকেট হারানো ভারতকে কিছুক্ষণ টানেন রাভিন্দ্রা জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দার। হার্মারের বলে ওয়াশিংটনের ক্যাচ নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন মার্করাম। আর হার্মার পূর্ণ করেন পাঁচ উইকেট, টেস্টে যে স্বাদ পেলেন তিনি দ্বিতীয়বার।

হার্মারের পরের ওভারে স্টাম্পড হয়ে যান নিতিশ কুমার রেড্ডি। ইনিংসে ভারতের একমাত্র ফিফটি করা জাদেজাকে (২ ছক্কা ও ৪টি চারে ৫৪) ফেরানোর তিন বল পর মোহাম্মেদ সিরাজকে বিদায় করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মহারাজ।

বাভুমার নেতৃত্বে ১২ ম্যাচের ১১টি জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ১২ টেস্টে বাভুমার চেয়ে বেশি ম্যাচ জিততে পারেননি কেউ। যে ম্যাচটি জিততে পারেননি বাভুমা, সেটি হয়েছিল ড্র।

আগামী রোববার থেকে শুরু ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। পাঁচটি টি-টোয়েন্টিও খেলবে দল দুটি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাস

প্রকাশের সময় : ০৫:২৮:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক :

জয়ের মঞ্চ আগেই প্রস্তুত করে রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ দিনে কেবল দেখার ছিল, ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে কতদুর যেতে পারে ভারত। সাইমন হার্মারের স্পিনে আরও একবার মুখ থুবড়ে পড়ল স্বাগতিকদের ব্যাটিং। রেকর্ড গড়া জয়ের উল্লাসে মাতল সফরকারীরা।

গুয়াহাটি টেস্টে বুধবার (২৬ নভেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৪০৮ রানে। দেশটির টেস্ট ইতিহাসে রানের হিসেবে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৯২ রানে জিতেছিল প্রোটিয়ারা।

টেস্টে রানের হিসেবে এটি ভারতের সবচেয়ে বড় হার। নাগপুরে ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৪২ রানে হেরেছিল তারা।

ম্যাচটিতে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়েন এইডেন মার্করাম। পুরো ম্যাচে ৯টি ক্যাচ নেন তিনি। টেস্টের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে এক ম্যাচে এত ক্যাচ নিতে পারেননি কোনো ফিল্ডার। ২০১৫ সালে গল টেস্টে আজিঙ্কা রাহানের নেওয়া ৮ ক্যাচ এত দিন ছিল রেকর্ড।

ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন মার্কো ইয়ানসেন। তবে সিরিজ সেরা হন হার্মার। কলকাতা টেস্টে দুই ইনিংসেই ৪টি করে উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন এই অফ স্পিনার। এবার গুয়াহাটিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ধরলেন ৬ শিকার, ৩৭ রান খরচায়। প্রথম ইনিংসে তার প্রাপ্তি ছিল ৩ উইকেট।

হার্মারের ছোবলে ৫৪৯ রানের প্রায় অসম্ভব লক্ষ্য তাড়ায় কেবল ১৪০ রান করতে পারে ভারত। প্রথম ইনিংসে তারা করেছিল ২০১ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ইনিংসে রান যথাক্রমে ৪৮৯ ও ২৬০/৫ (ইনিংস ঘোষণা)।

ভারতের মাটিতে এনিয়ে দুটি টেস্ট সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। দুটিতেই স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করল তারা। ২৫ বছর আগেও দুই ম্যাচের সিরিজ একই ব্যবধানে (২-০) জিতেছিল দলটি।

২৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে শেষ দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরু করেন কুলদিপ ইয়াদাভ ও সাই সুদার্শান। দিনের প্রথম কয়েক ওভার কাটিয়ে দেন তারা। এরপর জোড়া ছোবল দেন হার্মার। কুলদিপকে বোল্ড করার দুই বল পর ধ্রুভ জুরেলকে বিদায় করেন তিনি।

কেশাভ মহারাজকে চার ও ছক্কা মারা রিশাভ পান্তকেও ফেরান হার্মার। খুব ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে ১৩৯ বলে ১৪ রান করা সুদার্শানের প্রতিরোধ ভাঙেন সেনুরান মুথুসামি।

৯৫ রানে ৬ উইকেট হারানো ভারতকে কিছুক্ষণ টানেন রাভিন্দ্রা জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দার। হার্মারের বলে ওয়াশিংটনের ক্যাচ নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন মার্করাম। আর হার্মার পূর্ণ করেন পাঁচ উইকেট, টেস্টে যে স্বাদ পেলেন তিনি দ্বিতীয়বার।

হার্মারের পরের ওভারে স্টাম্পড হয়ে যান নিতিশ কুমার রেড্ডি। ইনিংসে ভারতের একমাত্র ফিফটি করা জাদেজাকে (২ ছক্কা ও ৪টি চারে ৫৪) ফেরানোর তিন বল পর মোহাম্মেদ সিরাজকে বিদায় করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মহারাজ।

বাভুমার নেতৃত্বে ১২ ম্যাচের ১১টি জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ১২ টেস্টে বাভুমার চেয়ে বেশি ম্যাচ জিততে পারেননি কেউ। যে ম্যাচটি জিততে পারেননি বাভুমা, সেটি হয়েছিল ড্র।

আগামী রোববার থেকে শুরু ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। পাঁচটি টি-টোয়েন্টিও খেলবে দল দুটি।