Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৮:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩
  • ১৯৫ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে ১২৮ রানে হারিয়েছে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো পাকিস্তান।

রোববার (২৩ জুলাই) টস হেরে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৫২ রানের বড় সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে মাত্র ২২৪ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।

টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক ইয়াশ ধুল। তার সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল সেটিই যেন প্রমাণ করতে চাইলেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। দুই ওপেনার সাইম আইয়্যুব আর সাহিবজাদা ফারহান রান তুলেছেন ওভারপ্রতি ৭ এর কাছাকাছি গড়ে। সাইম আইয়্যুব কিছুটা আগ্রাসী হয়েই ব্যাট চালিয়েছেন পুরোটা সময়। ওপেনিং জুটিতে ১৭.২ ওভারে ১২১ রান যোগ করে তারা।

সাইমের আউট হলেও অন্য ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ছিলেন আরও কিছুটা সময়। তার ৬২ বলে ৬৫ রানের ইনিংসটি থামে রানআউটের কারণে। তিনে নামা ওমার ইউসুফও রান পেয়েছেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। এরপরেই যেন ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। চার রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারায় তারা। দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরান রিয়ান পরাগ।

কিন্তু এরপরেই ম্যাচে আবার হাল ধরে পাকিস্তান। ৬ষ্ঠ উইকেটে তৈয়ব তাহির আর মোবাসির খান যোগ করেন ১২৬ রান। ৭১ বলে ১২ চার এবং ৪ ছয়ে ১০৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তাহির। মোবাসির খেলেন ৩৫ রানের কার্যকরী এক ইনিংস।

শেষদিকে মেহরান মুমতাজের ১৩ আর মোহাম্মদ ওয়াসিমের ১৭ রানের ক্যামিওতে ৩৫২ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। ভারতের হয়ে ২ টি করে উইকেট শিকার করেন রিয়ান পরাগ এবং রাজবর্ধন হাঙারগেকার।

৩৫৩ রান তাড়া করার চাপ নিতে পারেননি ভারতের ব্যাটাররা। শুরুটা মন্দ হয়নি ভারতের। নবম ওভারেই ষাট ছাড়িয়ে যায় ওপেনিং জুটি, তারপরই ভেঙে যায়।

অভিষেক শর্মার সঙ্গে ৬৪ রান স্কোরবোর্ডে তুলে সাই সুদর্শন (২৯) থামেন। নিকিন জোস (১১) ওই ধাক্কা সামলাতে পারেননি। ৮০ রানে ২ উইকেট হারানো ভারত প্রতিরোধ গড়ে ওপেনার অভিষেক ও অধিনায়ক যশ ধুলের ব্যাটে। দুজন মিলে ৫২ রানের বেশি করতে পারেননি।

অভিষেক ৫১ বলে ৬১ রানে থামেন। ভারতের ব্যাটিংয়ের বিপর্যয় তার বিদায়ের পর শুরু। ৩ উইকেটে ১৫৭ রান করা দলটি দুইশতে পৌঁছানোর আগেই তাদের ৮ ব্যাটার প্যাভিলিয়নে। ধুল বিদায় নেন ৩৯ রান করে।

পাকিস্তানের জয় তখন ছিল সময়ের ব্যাপার। ৪০তম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ ওয়াসিম ভারতকে গুটিয়ে দেন ২২৪ রানে।

পাকিস্তানের হয়ে আরশাদ ইকবাল, মেহরান মুমতাজ ও ওয়াসিম জুনিয়র দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। সুফিয়ান মুকিম নিয়েছেন তিন উইকেট। এর আগে ভারতের হয়ে হাঙ্গারগেকার ও রায়ান প্রাগ দুটি করে উইকেট নেন।

২০১৯ সালে আগের আসরে বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবার শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এখন তারাও যৌথভাবে সর্বাধিক চ্যাম্পিয়ন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান

প্রকাশের সময় : ১০:৪৮:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে ১২৮ রানে হারিয়েছে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো পাকিস্তান।

রোববার (২৩ জুলাই) টস হেরে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৫২ রানের বড় সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে মাত্র ২২৪ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।

টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক ইয়াশ ধুল। তার সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল সেটিই যেন প্রমাণ করতে চাইলেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। দুই ওপেনার সাইম আইয়্যুব আর সাহিবজাদা ফারহান রান তুলেছেন ওভারপ্রতি ৭ এর কাছাকাছি গড়ে। সাইম আইয়্যুব কিছুটা আগ্রাসী হয়েই ব্যাট চালিয়েছেন পুরোটা সময়। ওপেনিং জুটিতে ১৭.২ ওভারে ১২১ রান যোগ করে তারা।

সাইমের আউট হলেও অন্য ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ছিলেন আরও কিছুটা সময়। তার ৬২ বলে ৬৫ রানের ইনিংসটি থামে রানআউটের কারণে। তিনে নামা ওমার ইউসুফও রান পেয়েছেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। এরপরেই যেন ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। চার রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারায় তারা। দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরান রিয়ান পরাগ।

কিন্তু এরপরেই ম্যাচে আবার হাল ধরে পাকিস্তান। ৬ষ্ঠ উইকেটে তৈয়ব তাহির আর মোবাসির খান যোগ করেন ১২৬ রান। ৭১ বলে ১২ চার এবং ৪ ছয়ে ১০৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তাহির। মোবাসির খেলেন ৩৫ রানের কার্যকরী এক ইনিংস।

শেষদিকে মেহরান মুমতাজের ১৩ আর মোহাম্মদ ওয়াসিমের ১৭ রানের ক্যামিওতে ৩৫২ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। ভারতের হয়ে ২ টি করে উইকেট শিকার করেন রিয়ান পরাগ এবং রাজবর্ধন হাঙারগেকার।

৩৫৩ রান তাড়া করার চাপ নিতে পারেননি ভারতের ব্যাটাররা। শুরুটা মন্দ হয়নি ভারতের। নবম ওভারেই ষাট ছাড়িয়ে যায় ওপেনিং জুটি, তারপরই ভেঙে যায়।

অভিষেক শর্মার সঙ্গে ৬৪ রান স্কোরবোর্ডে তুলে সাই সুদর্শন (২৯) থামেন। নিকিন জোস (১১) ওই ধাক্কা সামলাতে পারেননি। ৮০ রানে ২ উইকেট হারানো ভারত প্রতিরোধ গড়ে ওপেনার অভিষেক ও অধিনায়ক যশ ধুলের ব্যাটে। দুজন মিলে ৫২ রানের বেশি করতে পারেননি।

অভিষেক ৫১ বলে ৬১ রানে থামেন। ভারতের ব্যাটিংয়ের বিপর্যয় তার বিদায়ের পর শুরু। ৩ উইকেটে ১৫৭ রান করা দলটি দুইশতে পৌঁছানোর আগেই তাদের ৮ ব্যাটার প্যাভিলিয়নে। ধুল বিদায় নেন ৩৯ রান করে।

পাকিস্তানের জয় তখন ছিল সময়ের ব্যাপার। ৪০তম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ ওয়াসিম ভারতকে গুটিয়ে দেন ২২৪ রানে।

পাকিস্তানের হয়ে আরশাদ ইকবাল, মেহরান মুমতাজ ও ওয়াসিম জুনিয়র দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। সুফিয়ান মুকিম নিয়েছেন তিন উইকেট। এর আগে ভারতের হয়ে হাঙ্গারগেকার ও রায়ান প্রাগ দুটি করে উইকেট নেন।

২০১৯ সালে আগের আসরে বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবার শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এখন তারাও যৌথভাবে সর্বাধিক চ্যাম্পিয়ন।