Dhaka বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাত-মাছের অভাবে কেউ কষ্ট পাবে না : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশে ভাত ও মাছের অভাবে কেউ কষ্ট পাবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান।

রোববার (১০ মার্চ) রাজধানীর খামারবাড়িতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রমজান উপলক্ষে সুলভ মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, রমজান উপলক্ষে সুলভ মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ ডিম বিক্রি করছে সরকার। সুলভ মূল্যে মাছ মাংস বিক্রির ইতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়বে। এ সময় বাংলাদেশে ভাত ও মাছের অভাবে কেউ কষ্ট পাবে না। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে প্রতিদিন একেকটি ভ্যানে ১০০ কেজি গরুর মাংস, ৫০ কেজি ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি, ১০ কেজি খাসি, ৪ হাজার ডিম ও ২০০ লিটার দুধ বিক্রি করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা, ড্রেসিং করা ব্রয়লার মুরগি ২৮০ টাকা এবং প্রতি পিস ডিম ১০ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করা হবে।

তিনি বলেন, জনগণের কষ্ট লাঘবে বর্তমান সরকার সব সময় সচেষ্ট। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন।’

মো. আব্দুর রহমান বলেন, সরকারের বিভিন্নমুখী পদক্ষেপের ফলে ইতিমধ্যে আমরা ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিকে অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি। আসন্ন রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য যাতে সহনীয় থাকে, সে লক্ষ্যে আমাদের এই পদক্ষেপ। আশা করি পবিত্র রমজান মাসে বাজারে পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

রমজান মাসে কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হবে জানিয়ে আবদুর রহমান বলেন, এই ভ্রাম্যমাণ পণ্য বিক্রি কার্যক্রম রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। ঢাকা শহরের ৩০টি স্পটে পণ্যগুলো বিক্রি করা হবে। এটি একটি অন্তর্র্বতীকালীন ব্যবস্থা। আজ থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়ে এটি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চলবে।

ঢাকার বাইরে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ৩০ জায়গায় এটা করা হবে। পর্যায়ক্রমে সামর্থ্য অনুসারে আরও জায়গায় প্রসারিত করার চেষ্টা চলবে।

এই কার্যক্রমে মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানগুলো সার্বিক সহযোগিতা করছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়টির সচিব সেলিম উদ্দিন। বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আব্দুর রহিম, গোলাম রব্বানী, পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রি সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মশিউর রহমান প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

তারেক রহমানের সরাসরি সাক্ষাৎ পেতে ‘রিল মেকিং’ প্রতিযোগিতা ঘোষণা বিএনপির

ভাত-মাছের অভাবে কেউ কষ্ট পাবে না : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:২৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশে ভাত ও মাছের অভাবে কেউ কষ্ট পাবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান।

রোববার (১০ মার্চ) রাজধানীর খামারবাড়িতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রমজান উপলক্ষে সুলভ মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, রমজান উপলক্ষে সুলভ মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ ডিম বিক্রি করছে সরকার। সুলভ মূল্যে মাছ মাংস বিক্রির ইতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়বে। এ সময় বাংলাদেশে ভাত ও মাছের অভাবে কেউ কষ্ট পাবে না। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে প্রতিদিন একেকটি ভ্যানে ১০০ কেজি গরুর মাংস, ৫০ কেজি ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি, ১০ কেজি খাসি, ৪ হাজার ডিম ও ২০০ লিটার দুধ বিক্রি করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা, ড্রেসিং করা ব্রয়লার মুরগি ২৮০ টাকা এবং প্রতি পিস ডিম ১০ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করা হবে।

তিনি বলেন, জনগণের কষ্ট লাঘবে বর্তমান সরকার সব সময় সচেষ্ট। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন।’

মো. আব্দুর রহমান বলেন, সরকারের বিভিন্নমুখী পদক্ষেপের ফলে ইতিমধ্যে আমরা ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিকে অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি। আসন্ন রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য যাতে সহনীয় থাকে, সে লক্ষ্যে আমাদের এই পদক্ষেপ। আশা করি পবিত্র রমজান মাসে বাজারে পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

রমজান মাসে কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হবে জানিয়ে আবদুর রহমান বলেন, এই ভ্রাম্যমাণ পণ্য বিক্রি কার্যক্রম রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। ঢাকা শহরের ৩০টি স্পটে পণ্যগুলো বিক্রি করা হবে। এটি একটি অন্তর্র্বতীকালীন ব্যবস্থা। আজ থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়ে এটি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চলবে।

ঢাকার বাইরে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ৩০ জায়গায় এটা করা হবে। পর্যায়ক্রমে সামর্থ্য অনুসারে আরও জায়গায় প্রসারিত করার চেষ্টা চলবে।

এই কার্যক্রমে মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানগুলো সার্বিক সহযোগিতা করছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়টির সচিব সেলিম উদ্দিন। বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আব্দুর রহিম, গোলাম রব্বানী, পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রি সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মশিউর রহমান প্রমুখ।