Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভর্তি পরীক্ষা বিকেন্দ্রীকরণে ব্যবসায়ীদের কোনো চাপ নেই: রাবি উপাচার্য

  • রাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : ০২:২৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • ১৮৮ জন দেখেছেন

রাবি প্রতিনিধি : 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো বাধা বা চাপ নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সের সামনে ‘বি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বিকেন্দ্রীকরণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী বা স্থানীয় প্রশাসনের কোনো চাপ আছে কি না এমন প্রশ্নে রাবি উপাচার্য জানান, এখানে কারও কোনো চাপ নেই। আমরা তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নই—বরং তারাই আমাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। অধ্যাদেশ অনুয়ায়ী ভর্তি পরীক্ষা কিভাবে হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় একাডেমিক কাউন্সিল। আগামীতে পরীক্ষা বিকেন্দ্রীকরণের বিষয়টি সেখানে উত্থাপন করা হবে।

অধ্যাপক সাত্তার বলেন, ভর্তি পরীক্ষার কাঠামোগত যেকোনো পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অনেকেরই ধারণা, ভিসি-প্রোভিসিরা এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার যাবতীয় বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে।

প্রশ্নের সাইজ নিয়ে সমালোচনার জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা প্রশ্নপত্রে ১১ বা ১২ ফন্ট সাইজ ব্যবহার করি। ১১ ফন্ট সাইজ রিডেবল (পাঠযোগ্য)। কাগজে অ্যাকোমোডেট (স্থানসংকুলান করা) করার জন্য প্রশ্নের একটা সাইজ থাকে। একজন ষাট বছর বয়সের কেউ দেখতে গেলে, তার জন্য একটু ছোট হতে পারে। কিন্তু ১৮-২২ বছরের পরীক্ষার্থীদের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে, তাদের জন্য সমস্যা হওয়ার কথা না।’

ভুল প্রশ্নের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। যারা কাজ করে, তাদের একটু ভুল হতে পারে। তবে, সেই ভুল শোধরানোর জন্য আমাদের জায়গা আছে। এ বিষয়ে ‘এ’ ইউনিটের ডিনরা আজ বসবেন। এই সমস্যার কারণে কোনো শিক্ষার্থী যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য ডিনরা হয়তো শিক্ষার্থীদের বেনেফিট অব ডাউট দিবেন। এ বিষয়ে ডিনরা মিটিং করে আপনাদের জানাবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামাণিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।

এর আগে, বুধবার (০৬ মার্চ) অনুষ্ঠিত ‘এ’ ইউনিটের (মানবিক) ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় শিফটের তিন নম্বর সেটের প্রশ্নপত্রের ৩ ও ১৭ নম্বর প্রশ্নে চারটি অপশনের জায়গায় মাত্র দুটি অপশন এবং ১৪ ও ১৬ নম্বর প্রশ্নে ৫টি করে অপশন দেখা গেছে। এতে প্রশ্নোত্তরে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ‘সি’ ইউনিটের (অবাণিজ্য) গ্রুপ-৫, ১১টা থেকে ১২টা ‘বি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) গ্রুপ-১ এবং ১টা থেকে ২টা গ্রুপ-২ এর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

ভর্তি পরীক্ষা বিকেন্দ্রীকরণে ব্যবসায়ীদের কোনো চাপ নেই: রাবি উপাচার্য

প্রকাশের সময় : ০২:২৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

রাবি প্রতিনিধি : 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো বাধা বা চাপ নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সের সামনে ‘বি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বিকেন্দ্রীকরণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী বা স্থানীয় প্রশাসনের কোনো চাপ আছে কি না এমন প্রশ্নে রাবি উপাচার্য জানান, এখানে কারও কোনো চাপ নেই। আমরা তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নই—বরং তারাই আমাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। অধ্যাদেশ অনুয়ায়ী ভর্তি পরীক্ষা কিভাবে হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় একাডেমিক কাউন্সিল। আগামীতে পরীক্ষা বিকেন্দ্রীকরণের বিষয়টি সেখানে উত্থাপন করা হবে।

অধ্যাপক সাত্তার বলেন, ভর্তি পরীক্ষার কাঠামোগত যেকোনো পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অনেকেরই ধারণা, ভিসি-প্রোভিসিরা এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার যাবতীয় বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে।

প্রশ্নের সাইজ নিয়ে সমালোচনার জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা প্রশ্নপত্রে ১১ বা ১২ ফন্ট সাইজ ব্যবহার করি। ১১ ফন্ট সাইজ রিডেবল (পাঠযোগ্য)। কাগজে অ্যাকোমোডেট (স্থানসংকুলান করা) করার জন্য প্রশ্নের একটা সাইজ থাকে। একজন ষাট বছর বয়সের কেউ দেখতে গেলে, তার জন্য একটু ছোট হতে পারে। কিন্তু ১৮-২২ বছরের পরীক্ষার্থীদের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে, তাদের জন্য সমস্যা হওয়ার কথা না।’

ভুল প্রশ্নের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। যারা কাজ করে, তাদের একটু ভুল হতে পারে। তবে, সেই ভুল শোধরানোর জন্য আমাদের জায়গা আছে। এ বিষয়ে ‘এ’ ইউনিটের ডিনরা আজ বসবেন। এই সমস্যার কারণে কোনো শিক্ষার্থী যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য ডিনরা হয়তো শিক্ষার্থীদের বেনেফিট অব ডাউট দিবেন। এ বিষয়ে ডিনরা মিটিং করে আপনাদের জানাবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামাণিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।

এর আগে, বুধবার (০৬ মার্চ) অনুষ্ঠিত ‘এ’ ইউনিটের (মানবিক) ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় শিফটের তিন নম্বর সেটের প্রশ্নপত্রের ৩ ও ১৭ নম্বর প্রশ্নে চারটি অপশনের জায়গায় মাত্র দুটি অপশন এবং ১৪ ও ১৬ নম্বর প্রশ্নে ৫টি করে অপশন দেখা গেছে। এতে প্রশ্নোত্তরে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ‘সি’ ইউনিটের (অবাণিজ্য) গ্রুপ-৫, ১১টা থেকে ১২টা ‘বি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) গ্রুপ-১ এবং ১টা থেকে ২টা গ্রুপ-২ এর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।