Dhaka বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভরা মৌসুমে শীতকালীন সবজি লাগামহীন দাম, বেড়েছে মুরগির দামও

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে দীর্ঘদিন ধরেই হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পণ্যের দাম কিছুটা ওঠানামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী। ভরা মৌসুমে শীতকালীন সবজি লাগামহীন দামে বিক্রি হচ্ছে। আর এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা হলেও লেয়ার, কক, সোনালী মুরগির দাম বাড়তি যাচ্ছে।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীত মৌসুমে অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে। এছাড়া আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে মাছ, চিনি, চাল, আটা ও ডাল। চলতি সপ্তাহে নতুন করে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম।

বাজারে সবজির মধ্যে নতুন আলুর ছড়াছড়ি থাকলেও দাম কমছে না। ৭০-৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু, পুরাতন আলুও অনেকটা একই দাম। চড়া বাজারে নতুন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, পুরাতন পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা।

এছাড়া পাকা টমেটোর কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, কাঁচা টমেটো ৬০-৭০ টাকা। করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০-৮০ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, মূলা ৪০-৫০ টাকা, পটল ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ১০০-১২০ টাকা ও পেঁপে ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

স্থানভেদে কাঁচামরিচ ১১০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৯০ টাকা, ঝিঙা ৭০-৮০, কচুর লতি ৬০-৮০ টাকা, কচুর মুখী ৬০-৭০ টাকা, গাজর ৬০-৭০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

আকারভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা, স্থানভেদে কিছুটা কম-বেশিও বিক্রি হচ্ছে। লাউ-কুমড়া আকার অনুযায়ী পিস ৪০ থেকে ৮০ টাকা। লাল শাকের আঁটি ২০-৩০ টাকা, লাউ শাক ২০-৩০ টাকা, মূলা শাক ২০-২৫ টাকা, পালং শাক ২০-৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। যা গত সপ্তাহে ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোনালি, সোনালি হাইব্রিড ও লেয়ার মুরগির দাম বেড়েছে। সোনালি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি, লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে গরুর মাংস দাম কমে ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এদিকে বাজারে প্রচুর নতুন আলু ও পেঁয়াজের সরবরাহ থাকলেও কমছে না দাম। বরং উল্টো বেড়েছে আলুর দাম।

৯০-১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে নতুন পেঁয়াজ, পুরাতন পেঁয়াজ ১৩০-১৫০ টাকা। নতুন আলু ৭০-৮০ টাকা, পুরাতন আলু ৬০-৭০ টাকা রসুন ২২০-২৪০ টাকা, আদা ২২০-২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংসের দাম কিছুটা কম থাকায় মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা , মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ৯০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১০০০ টাকা, বাইম মাছ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭৬০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০টাকা, আড়ই মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৩ টাকায়। যা দুদিন আগেও ছিল ১৬৯ টাকা। একইভাবে দাম বেড়ে প্রতি দুই লিটার তেলের বোতল ৩৩৮ থেকে ৩৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঁচ লিটারের বোতলের দাম বেড়েছে ২০ টাকা।

কারওয়ার বাজারের একজন ক্রেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, তরকারি কেনার মত অবস্থা নেই। সব জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। দেখার কেউ নেই। সংকটের কথা বলা হলেও দেখুন বাজারে কী নেই? আসলে সবকিছু ব্যবসায়ীদের মনমতো চলছে। সরকার দুর্বল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কুড়িগ্রামে সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে ৩০ গ্রামের মানুষ

ভরা মৌসুমে শীতকালীন সবজি লাগামহীন দাম, বেড়েছে মুরগির দামও

প্রকাশের সময় : ১২:২২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে দীর্ঘদিন ধরেই হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পণ্যের দাম কিছুটা ওঠানামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী। ভরা মৌসুমে শীতকালীন সবজি লাগামহীন দামে বিক্রি হচ্ছে। আর এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা হলেও লেয়ার, কক, সোনালী মুরগির দাম বাড়তি যাচ্ছে।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীত মৌসুমে অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে। এছাড়া আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে মাছ, চিনি, চাল, আটা ও ডাল। চলতি সপ্তাহে নতুন করে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম।

বাজারে সবজির মধ্যে নতুন আলুর ছড়াছড়ি থাকলেও দাম কমছে না। ৭০-৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু, পুরাতন আলুও অনেকটা একই দাম। চড়া বাজারে নতুন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, পুরাতন পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা।

এছাড়া পাকা টমেটোর কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, কাঁচা টমেটো ৬০-৭০ টাকা। করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০-৮০ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, মূলা ৪০-৫০ টাকা, পটল ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ১০০-১২০ টাকা ও পেঁপে ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

স্থানভেদে কাঁচামরিচ ১১০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৯০ টাকা, ঝিঙা ৭০-৮০, কচুর লতি ৬০-৮০ টাকা, কচুর মুখী ৬০-৭০ টাকা, গাজর ৬০-৭০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

আকারভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা, স্থানভেদে কিছুটা কম-বেশিও বিক্রি হচ্ছে। লাউ-কুমড়া আকার অনুযায়ী পিস ৪০ থেকে ৮০ টাকা। লাল শাকের আঁটি ২০-৩০ টাকা, লাউ শাক ২০-৩০ টাকা, মূলা শাক ২০-২৫ টাকা, পালং শাক ২০-৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। যা গত সপ্তাহে ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোনালি, সোনালি হাইব্রিড ও লেয়ার মুরগির দাম বেড়েছে। সোনালি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি, লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে গরুর মাংস দাম কমে ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এদিকে বাজারে প্রচুর নতুন আলু ও পেঁয়াজের সরবরাহ থাকলেও কমছে না দাম। বরং উল্টো বেড়েছে আলুর দাম।

৯০-১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে নতুন পেঁয়াজ, পুরাতন পেঁয়াজ ১৩০-১৫০ টাকা। নতুন আলু ৭০-৮০ টাকা, পুরাতন আলু ৬০-৭০ টাকা রসুন ২২০-২৪০ টাকা, আদা ২২০-২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংসের দাম কিছুটা কম থাকায় মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা , মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ৯০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১০০০ টাকা, বাইম মাছ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭৬০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০টাকা, আড়ই মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৩ টাকায়। যা দুদিন আগেও ছিল ১৬৯ টাকা। একইভাবে দাম বেড়ে প্রতি দুই লিটার তেলের বোতল ৩৩৮ থেকে ৩৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঁচ লিটারের বোতলের দাম বেড়েছে ২০ টাকা।

কারওয়ার বাজারের একজন ক্রেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, তরকারি কেনার মত অবস্থা নেই। সব জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। দেখার কেউ নেই। সংকটের কথা বলা হলেও দেখুন বাজারে কী নেই? আসলে সবকিছু ব্যবসায়ীদের মনমতো চলছে। সরকার দুর্বল।