Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ভয়ংকর শিরোনামে’ বিব্রত হন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা : সুজন

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩
  • ২২২ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ক্রিকেট ২২ গজের খেলা। কিন্তু ইন্টারনেট থেকে শুরু করে স্মার্ট ফোনের সহজলভ্যতার কারণে ছড়িয়ে পড়ে আনাচে-কানাচে। তখন খেলা আর খেলা থাকে না, পারফরম্যান্স কিংবা ক্রিকেটারদের কথা কাঁটা-ছেড়া করতে গিয়ে গণমাধ্যম হতে শুরু করে সামজিক মাধ্যম কখনো কখনো সীমা ছড়িয়ে যায়। আর তা দেখে অনেক ক্রিকেটারই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।

বিশ্বকাপের আসর চলছে। বাংলাদেশ নামবে একদিন বাদেই। চার বছর পর ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসরে ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে শক্ত-নির্মল রাখতে নতুন কৌশল নিয়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্ট। সেটি হলো মুঠোফোন যতসম্ভব কম ব্যবহার করা আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকা।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় অনুশীলন শেষে এ সব বিষয় নিয়ে কথা বলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন, মনোযোগটা ক্রিকেটেই থাকুক। যেটি হয়, কোনো একটি ইন্টারভিউ থেকে কথা সংক্ষিপ্ত করে এমন একটি খবর হয়, যেটা হয়তো ছেলেটা সেভাবে বলেইনি। অনেক সময় এমন কাটা কাটা খবর হয়, ভয়ঙ্কর শিরোনাম হয়। ছেলেরা তাতে বিব্রত হয়।

তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের ফোকাস বিশ্বকাপ খেলার দিকেই, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ম্যাচের আগে একজনই কথা বলুক। আর ছেলেরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একটু দূরে থাকলে মনে হয় মনোযোগ আরো ভালো দিতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, আমার মনে হয় যেহেতু আমাদের মনোযোগ বিশ্বকাপ খেলার দিকে। আমরা চাইবো যতটুকু তথ্য…আপনারা তো এখানে আছেন, মাঠে দেখবেন, সবই হবে। কিন্তু একটা করে ইন্টারভিউ পাওয়া সবার জন্য সহজ। আমার মনে হয় ছেলেরা যদি সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা মিডিয়া থেকে একটু দূরে থাকে তাহলে মনোযোগের পর্যায়টা ভালো থাকবে। এজন্যই এই চিন্তা যে ম্যাচের আগের দিন অধিনায়ক, সিনিয়র ক্রিকেটার হোক বা কোচ যেন কথা বলে।

৭ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে লড়বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। গৌহাটিতে দুই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ৩ অক্টোবর হিমাচলে পৌঁছায় বাংলাদেশ। আজ ধর্মশালার আউটারের নেটে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন করে সাকিব আল হাসানের দল। বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্ট চাইছে বাইরের জিনিস যাতে কোনোভাবে ক্রিকেটারদের মনোজগতে প্রভাব না ফেলে।

কীভাবে কী হয় সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন খালেদ, সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন আপনি কোনো স্টোরি পড়তে যাবেন, ফোনের সামনে যখন ৭-৮ ঘণ্টা থাকবেন, ওটা বড় একটি স্ট্রেস। আমরা চাই ওই স্ট্রেসটা যেন কম পড়ে। এটা যতটা কমানো যায়। মেন্টালি যাতে স্ট্রেস না পড়ে। চোখের ওপর চাপ পড়ে। অনুশীলন সেশনগুলোও গরমের মধ্যে হচ্ছে।

টিম ম্যানেজম্যান্টের এমন পরামর্শে ক্রিকেটাররাও সাড়া দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন খালেদ। তার প্রত্যাশা এই মানিয়ে নিতে পারলে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ভালো করবে, সব কিছু ম্যানেজ করে মানসিক দিক থেকে ওদের নিজে নিজে তৈরি হতে হবে। এতে ওরা বেশ ভালো সাড়াও দিচ্ছে। ডিসিপ্লিন ও পরিবেশ যদি ভালো থাকে, তাহলে এই আসরে আমরা ভালো করবো।

এদিকে, প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারানোর ব্যাপারে আশাবাদী সুজন বলেন, আফগানদের শেষ পারফরম্যান্সের কথা যদি চিন্তা করি শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানকে হারিয়েছে। আমরা একটি ইতিবাচক নোট নিয়ে শুরু করছি। আফগানিস্তানের খুব ভালো বোলিং অ্যাটাক আছে। তাই বলে যে ওদের হারানো যাবে না, তা না। অথবা ওরা আমাদের হারিয়ে দেবে এমনও না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

‘ভয়ংকর শিরোনামে’ বিব্রত হন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা : সুজন

প্রকাশের সময় : ০৭:৩২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ক্রিকেট ২২ গজের খেলা। কিন্তু ইন্টারনেট থেকে শুরু করে স্মার্ট ফোনের সহজলভ্যতার কারণে ছড়িয়ে পড়ে আনাচে-কানাচে। তখন খেলা আর খেলা থাকে না, পারফরম্যান্স কিংবা ক্রিকেটারদের কথা কাঁটা-ছেড়া করতে গিয়ে গণমাধ্যম হতে শুরু করে সামজিক মাধ্যম কখনো কখনো সীমা ছড়িয়ে যায়। আর তা দেখে অনেক ক্রিকেটারই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।

বিশ্বকাপের আসর চলছে। বাংলাদেশ নামবে একদিন বাদেই। চার বছর পর ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসরে ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে শক্ত-নির্মল রাখতে নতুন কৌশল নিয়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্ট। সেটি হলো মুঠোফোন যতসম্ভব কম ব্যবহার করা আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকা।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় অনুশীলন শেষে এ সব বিষয় নিয়ে কথা বলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন, মনোযোগটা ক্রিকেটেই থাকুক। যেটি হয়, কোনো একটি ইন্টারভিউ থেকে কথা সংক্ষিপ্ত করে এমন একটি খবর হয়, যেটা হয়তো ছেলেটা সেভাবে বলেইনি। অনেক সময় এমন কাটা কাটা খবর হয়, ভয়ঙ্কর শিরোনাম হয়। ছেলেরা তাতে বিব্রত হয়।

তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের ফোকাস বিশ্বকাপ খেলার দিকেই, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ম্যাচের আগে একজনই কথা বলুক। আর ছেলেরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একটু দূরে থাকলে মনে হয় মনোযোগ আরো ভালো দিতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, আমার মনে হয় যেহেতু আমাদের মনোযোগ বিশ্বকাপ খেলার দিকে। আমরা চাইবো যতটুকু তথ্য…আপনারা তো এখানে আছেন, মাঠে দেখবেন, সবই হবে। কিন্তু একটা করে ইন্টারভিউ পাওয়া সবার জন্য সহজ। আমার মনে হয় ছেলেরা যদি সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা মিডিয়া থেকে একটু দূরে থাকে তাহলে মনোযোগের পর্যায়টা ভালো থাকবে। এজন্যই এই চিন্তা যে ম্যাচের আগের দিন অধিনায়ক, সিনিয়র ক্রিকেটার হোক বা কোচ যেন কথা বলে।

৭ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে লড়বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। গৌহাটিতে দুই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ৩ অক্টোবর হিমাচলে পৌঁছায় বাংলাদেশ। আজ ধর্মশালার আউটারের নেটে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন করে সাকিব আল হাসানের দল। বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্ট চাইছে বাইরের জিনিস যাতে কোনোভাবে ক্রিকেটারদের মনোজগতে প্রভাব না ফেলে।

কীভাবে কী হয় সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন খালেদ, সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন আপনি কোনো স্টোরি পড়তে যাবেন, ফোনের সামনে যখন ৭-৮ ঘণ্টা থাকবেন, ওটা বড় একটি স্ট্রেস। আমরা চাই ওই স্ট্রেসটা যেন কম পড়ে। এটা যতটা কমানো যায়। মেন্টালি যাতে স্ট্রেস না পড়ে। চোখের ওপর চাপ পড়ে। অনুশীলন সেশনগুলোও গরমের মধ্যে হচ্ছে।

টিম ম্যানেজম্যান্টের এমন পরামর্শে ক্রিকেটাররাও সাড়া দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন খালেদ। তার প্রত্যাশা এই মানিয়ে নিতে পারলে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ভালো করবে, সব কিছু ম্যানেজ করে মানসিক দিক থেকে ওদের নিজে নিজে তৈরি হতে হবে। এতে ওরা বেশ ভালো সাড়াও দিচ্ছে। ডিসিপ্লিন ও পরিবেশ যদি ভালো থাকে, তাহলে এই আসরে আমরা ভালো করবো।

এদিকে, প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারানোর ব্যাপারে আশাবাদী সুজন বলেন, আফগানদের শেষ পারফরম্যান্সের কথা যদি চিন্তা করি শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানকে হারিয়েছে। আমরা একটি ইতিবাচক নোট নিয়ে শুরু করছি। আফগানিস্তানের খুব ভালো বোলিং অ্যাটাক আছে। তাই বলে যে ওদের হারানো যাবে না, তা না। অথবা ওরা আমাদের হারিয়ে দেবে এমনও না।