Dhaka মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভবিষ্যতে কেউ আর টাকা পাচার করতে পারবে না : অর্থ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগের সরকারের রেখে যাওয়া অনিয়ম-দুর্নীতি ২-৪ মাসে স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যতে কেউ আর টাকা পাচার করতে পারবে না। সেই বিষয়ে কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে। পলিসি রেট আপাতত বাড়ানো হচ্ছে না। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ যেন না কমে সেদিকে নজর দিচ্ছে সরকার।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘প্রাইভেট সেক্টর আউটলুক: প্রত্যাশা ও অগ্রাধিকার’ শীর্ষক বাণিজ্য সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ক্ষয় হয়ে যেতে শুরু করা দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও। এ ক্ষেত্রে বিদেশি সহযোগী সংস্থাগুলো খুবই ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে।

এ সময় বিগত সরকারের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়েও কথা বলেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, রাজস্ব আদায়কারী এবং আইন-প্রণেতা আলাদা করা হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশন হলে গার্মেন্টস শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তাই বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান অর্থ উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে যা হয়েছে বর্তমানে তা হবে না। তবে তিন-চার মাসেই সব ঠিক করে দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু জনগণকে অপেক্ষা করাবে না সরকার। মোটামুটি একটু স্থির হচ্ছে অর্থনীতি যা আরও সংস্কার করা হবে। আইএমএফ থেকে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।

এদিকে ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এখনও পুরোপুরি হয় নি। তাছাড়া জ্বালানি সমস্যা লেগেই রয়েছে। এতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে শিল্পকারখানায়। এ পরিস্থিতিতে ব্যবসা চালিয়ে নেয়া কঠিন।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। মূল্যস্ফীতি এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মনিটারি পলিসিতে পরিবর্তন আনতে হবে।

প্রতিটি খাত দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ব্যবসা চালিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে হবে। ব্যাংক খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে। জ্বালানি সরবরাহ বাড়াতে হবে।

ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের আদৌ যাওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা, চ্যালেঞ্জগুলো আমরা নিতে পারবো কিনা, তা এখনই ভেবে দেখা দরকার।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

৩ দিন পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক

ভবিষ্যতে কেউ আর টাকা পাচার করতে পারবে না : অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৩:৫১:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগের সরকারের রেখে যাওয়া অনিয়ম-দুর্নীতি ২-৪ মাসে স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যতে কেউ আর টাকা পাচার করতে পারবে না। সেই বিষয়ে কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে। পলিসি রেট আপাতত বাড়ানো হচ্ছে না। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ যেন না কমে সেদিকে নজর দিচ্ছে সরকার।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘প্রাইভেট সেক্টর আউটলুক: প্রত্যাশা ও অগ্রাধিকার’ শীর্ষক বাণিজ্য সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ক্ষয় হয়ে যেতে শুরু করা দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও। এ ক্ষেত্রে বিদেশি সহযোগী সংস্থাগুলো খুবই ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে।

এ সময় বিগত সরকারের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়েও কথা বলেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, রাজস্ব আদায়কারী এবং আইন-প্রণেতা আলাদা করা হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশন হলে গার্মেন্টস শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তাই বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান অর্থ উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে যা হয়েছে বর্তমানে তা হবে না। তবে তিন-চার মাসেই সব ঠিক করে দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু জনগণকে অপেক্ষা করাবে না সরকার। মোটামুটি একটু স্থির হচ্ছে অর্থনীতি যা আরও সংস্কার করা হবে। আইএমএফ থেকে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।

এদিকে ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এখনও পুরোপুরি হয় নি। তাছাড়া জ্বালানি সমস্যা লেগেই রয়েছে। এতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে শিল্পকারখানায়। এ পরিস্থিতিতে ব্যবসা চালিয়ে নেয়া কঠিন।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। মূল্যস্ফীতি এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মনিটারি পলিসিতে পরিবর্তন আনতে হবে।

প্রতিটি খাত দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ব্যবসা চালিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে হবে। ব্যাংক খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে। জ্বালানি সরবরাহ বাড়াতে হবে।

ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের আদৌ যাওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা, চ্যালেঞ্জগুলো আমরা নিতে পারবো কিনা, তা এখনই ভেবে দেখা দরকার।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন প্রমুখ।