Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রিজ নয় যেন মৃত্যুফাঁদ

পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি : 

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের পঞ্চবেকি বাজার ও সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নের বালিহারি গ্রামের সংযোগস্থলে বয়া নদীর ওপর অবস্থিত আয়রন ব্রিজটি বর্তমানে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ এই ব্রিজটি এখন আর চলাচলের উপযোগী নেই। মরিচধরা লোহার কাঠামো, ভাঙা স্লিপার এবং ভারী ট্রলারের ধাক্কায় একপাশে কাত হয়ে থাকা এই ব্রিজ যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। তবুও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই এই ব্রিজ পার হচ্ছেন শত শত সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষার্থী, নারী ও বৃদ্ধরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বহু বছর আগে নির্মিত ব্রিজটির সংস্কারের জন্য একাধিকবার দাবি জানানো হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সাম্প্রতিককালে একটি বড় ট্রলারের ধাক্কায় ব্রিজটি আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। এরপর মোটরবাইক চলাচল বন্ধ করা হলেও পায়ে হেঁটে পার হওয়া থেমে নেই।

এই ব্রিজটি শুধু বলদিয়া ইউনিয়নের জন্য নয়, আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষও এর ওপর নির্ভরশীল। এটি নেছারাবাদ ও নাজিরপুর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যোগাযোগের একটি প্রধান সংযোগস্থল। বিকল্প কোনো নৌযান বা ব্রিজ না থাকায় এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে এই ঝুঁকিপূর্ণ পথেই চলাচল করছেন।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, এটি দুই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ব্রিজ হওয়ায় এককভাবে উদ্যোগ নেওয়া জটিল হচ্ছে। বরাদ্দ পাওয়া নিয়েও রয়েছে জটিলতা।

তবে এলাকাবাসী বলছেন, বছরের পর বছর আমরা ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছি। যদি দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটে, তার দায় কে নেবে?

তাদের দাবি, অবিলম্বে ব্রিজটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় সংস্কার অথবা পূর্ণনির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে যেকোনো দিন ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, যার দায় এড়ানো প্রশাসনের পক্ষে সম্ভব হবে না। এলাকাবাসীর আহ্বান, ব্রিজটি যেন হয় নিরাপদ চলাচলের পথ, মৃত্যুফাঁদ নয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

ব্রিজ নয় যেন মৃত্যুফাঁদ

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি : 

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের পঞ্চবেকি বাজার ও সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নের বালিহারি গ্রামের সংযোগস্থলে বয়া নদীর ওপর অবস্থিত আয়রন ব্রিজটি বর্তমানে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ এই ব্রিজটি এখন আর চলাচলের উপযোগী নেই। মরিচধরা লোহার কাঠামো, ভাঙা স্লিপার এবং ভারী ট্রলারের ধাক্কায় একপাশে কাত হয়ে থাকা এই ব্রিজ যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। তবুও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই এই ব্রিজ পার হচ্ছেন শত শত সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষার্থী, নারী ও বৃদ্ধরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বহু বছর আগে নির্মিত ব্রিজটির সংস্কারের জন্য একাধিকবার দাবি জানানো হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সাম্প্রতিককালে একটি বড় ট্রলারের ধাক্কায় ব্রিজটি আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। এরপর মোটরবাইক চলাচল বন্ধ করা হলেও পায়ে হেঁটে পার হওয়া থেমে নেই।

এই ব্রিজটি শুধু বলদিয়া ইউনিয়নের জন্য নয়, আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষও এর ওপর নির্ভরশীল। এটি নেছারাবাদ ও নাজিরপুর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যোগাযোগের একটি প্রধান সংযোগস্থল। বিকল্প কোনো নৌযান বা ব্রিজ না থাকায় এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে এই ঝুঁকিপূর্ণ পথেই চলাচল করছেন।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, এটি দুই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ব্রিজ হওয়ায় এককভাবে উদ্যোগ নেওয়া জটিল হচ্ছে। বরাদ্দ পাওয়া নিয়েও রয়েছে জটিলতা।

তবে এলাকাবাসী বলছেন, বছরের পর বছর আমরা ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছি। যদি দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটে, তার দায় কে নেবে?

তাদের দাবি, অবিলম্বে ব্রিজটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় সংস্কার অথবা পূর্ণনির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে যেকোনো দিন ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, যার দায় এড়ানো প্রশাসনের পক্ষে সম্ভব হবে না। এলাকাবাসীর আহ্বান, ব্রিজটি যেন হয় নিরাপদ চলাচলের পথ, মৃত্যুফাঁদ নয়।