আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ব্রিকসে আরও ছয়টি নতুন দেশকে সদস্য হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে অবশেষে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন জোটের নেতারা। নতুন ছয়টি দেশকে পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) জোটের শীর্ষ সম্মেলনে নতুন পূর্ণ সদস্য হিসেবে মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, আর্জেন্টিনা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরবের নাম ঘোষণা করেছেন। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে তা এই সদস্যপদ কার্যকর হবে।
আমন্ত্রণের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি এ দেশগুলো ব্রিকসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করবে। এরমাধ্যমে পাঁচ দেশের জোট থেকে নতুন বছরে ১১ দেশের জোটে পরিণত হবে ব্রিকস।
মঙ্গলবার ২২ আগস্ট থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে শুরু হয় তিনদিনের এ শীর্ষ সম্মেলন। এতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ছাড়া বাকি চার দেশের সরকার প্রধানরা স্বশরীরে অংশ নেন।
বুধবার জোটের শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এরমধ্যে ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ব্রিকসের পরিধি বাড়ানো এবং ডলারবিহীন লেনদেনের বিষয়টি। এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জানান, নতুন সদস্য যুক্ত করে ব্রিকসের পরিধি বাড়াতে সম্মত হয়েছে বাকি দেশগুলো। তিনি আরও জানান, এবারের সম্মেলনেই নতুন সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে।
ব্রিকসে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তিতে প্রথমে সম্মত ছিল না ভারত ও ব্রাজিল। কিন্তু চীনের প্রচেষ্টায় তারা এ মনোভাব পরিবর্তন করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল জানান, জোটে নতুন সদস্য নিতে কোনো আপত্তি নেই তাদের।
নতুন এ ছয়টি দেশের নাম ঘোষণার পর কথা বলেছেন মোদি। তিনি বলেছেন, আমি ব্রিকসে নতুন এ ছয় দেশকে স্বাগত জানাই। আমি এ দেশের মানুষ ও নেতাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। প্রত্যেকটি দেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি সবগুলো দেশ একসঙ্গে সহযোগিতা ও সমৃদ্ধিরনতুন যুগের জন্য কাজ করবে।
বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট হলো ব্রিকস। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও সাউথ আফ্রিকার আদ্যক্ষরে এর নামকরণ। ২০১০ সালে সাউথ আফ্রিকা যোগ দেওয়ার আগে এটি ব্রিক নামে পরিচিত ছিল। যা ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে। এর সদর দপ্তর চীনের সাংহাইয়ে।
এবার ব্রিকসের ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। এ সম্মেলনের আগে জোটে সদস্য বাড়ানো নিয়ে ব্রিকসের সদস্যদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। তবে পরে এ নিয়ে একমত হন জোটটির নেতারা। ব্রিকস সম্মেলনে এবার যোগ দিয়েছেন বিশ্বের ৫০টি দেশের প্রধান।
২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতিতে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে গঠিত এই জোটের লক্ষ্য- বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও সহযোগিতা। এ ছাড়া মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে চায় ব্রিকস।