ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধান শুকানোর জায়গা দখল নিয়ে গ্রামবাসীদের দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের নারী, পুরুষ ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুইল্লার বাড়ির সঙ্গে যোগ দেয় বুদ্ধির গোষ্ঠী, বড়বাড়ি ও উজিবাড়ির লোকজন। পুরো গ্রামই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের নেতৃত্ব দেন সানাউল্লাহ গোষ্ঠীর কাঞ্চন মিয়া এবং বুইল্লার দলের পক্ষে জিয়াউল আমিন।
এর মধ্যে গুরুতর আহতরা হলেন ওসমান মিয়া (৫৫), কাঞ্চন মিয়া (১৬), টাক্কাবালি (১৬), জিয়াউর রহমান (১৬) ও মন মিয়াকে (৩০) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতদের সরাইল, ভৈরব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সকাল ৯টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গ্রামের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কাঞ্চন গ্রুপ ও জিয়াউল আমিন গ্রুপের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। এর জের ধরে সকালে কাঞ্চন গ্রুপের মান্নান মিয়ার সঙ্গে জিয়াউল আমিন গ্রুপের রশিদ মিয়ার ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এসময় ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের পার্শ্ববর্তী উপজেলা ভৈরবসহ আশেপাশের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় একজন এসআই সহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।