Dhaka বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের কর্মী সমাবেশ চলাকালে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিস অফিস সংলগ্ন সমবায় মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলো- শহরের কাজীপাড়া আইডিয়াল একাডেমির দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও খন্দকার বিপুলের ছেলে খন্দকার নূর, একই এলাকার বাসিন্দা শাকিল মিয়ার ছেলে স্থানীয় একটি মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নীরব এবং আরেকটি মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাজীপাড়ার শামসুল আলমের ছেলে সাদাফ। তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, সকালে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগ বিশেষ কর্মীসভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এছাড়াও সেখানে কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রলীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মীসভার শেষ দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহসীন মোল্লার সমর্থক ও আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন আফ্রিদির অনুসারীরা। লাঠিসোঁটা, ছুরি-চাকু ও ব্যাট হাতে একদল কিশোর-যুবক মহসীন মোল্লার কয়েকজন সমর্থককে মারধর করেন। পরে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মারামরিতে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতরা হচ্ছে- ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইডিয়াল একাডেমির দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাজীপাড়া এলাকার খন্দকার বিপুলের ছেলে খন্দকার নূর, একই এলাকার শাকিল মিয়ার ছেলে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নীরব এবং শামসুল আলমের ছেলে আরেকটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদাফ।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল বলেন, তিনজনের মধ্যে দুজনের মাথা ফেটে যাওয়ায় একাধিক সেলাই দিতে হয়েছে। তবে তিনজনই এখন শঙ্কামুক্ত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রুবেল হোসেন বলেন, সভাস্থলে কোনো মারামারি হয়নি। কোনো পক্ষের মারামারি নয়। মিছিলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহসীন মোল্লা বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। অথচ দক্ষিণ পৈরতলার ছেলেরা আমার অনুসারী ছেলেদের পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করেছে। আহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রুহুল আমীন আফ্রিদির বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলায়। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে আফ্রিদি বলেন, আমার কয়েকজন ছোট ভাই ঘটনাস্থলে ছিল। মূলত উত্তর পৈরতলার একদল ছেলের সঙ্গে কাজীপাড়ার ছেলেদের ঝামেলা হয়েছে। আমার সমর্থকরা তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বণিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মারামরি ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষের লোকজনই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যায়। কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের কর্মী সমাবেশ চলাকালে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিস অফিস সংলগ্ন সমবায় মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলো- শহরের কাজীপাড়া আইডিয়াল একাডেমির দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও খন্দকার বিপুলের ছেলে খন্দকার নূর, একই এলাকার বাসিন্দা শাকিল মিয়ার ছেলে স্থানীয় একটি মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নীরব এবং আরেকটি মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাজীপাড়ার শামসুল আলমের ছেলে সাদাফ। তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, সকালে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগ বিশেষ কর্মীসভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এছাড়াও সেখানে কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রলীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মীসভার শেষ দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহসীন মোল্লার সমর্থক ও আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন আফ্রিদির অনুসারীরা। লাঠিসোঁটা, ছুরি-চাকু ও ব্যাট হাতে একদল কিশোর-যুবক মহসীন মোল্লার কয়েকজন সমর্থককে মারধর করেন। পরে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মারামরিতে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতরা হচ্ছে- ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইডিয়াল একাডেমির দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাজীপাড়া এলাকার খন্দকার বিপুলের ছেলে খন্দকার নূর, একই এলাকার শাকিল মিয়ার ছেলে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নীরব এবং শামসুল আলমের ছেলে আরেকটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদাফ।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল বলেন, তিনজনের মধ্যে দুজনের মাথা ফেটে যাওয়ায় একাধিক সেলাই দিতে হয়েছে। তবে তিনজনই এখন শঙ্কামুক্ত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রুবেল হোসেন বলেন, সভাস্থলে কোনো মারামারি হয়নি। কোনো পক্ষের মারামারি নয়। মিছিলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহসীন মোল্লা বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। অথচ দক্ষিণ পৈরতলার ছেলেরা আমার অনুসারী ছেলেদের পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করেছে। আহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রুহুল আমীন আফ্রিদির বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলায়। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে আফ্রিদি বলেন, আমার কয়েকজন ছোট ভাই ঘটনাস্থলে ছিল। মূলত উত্তর পৈরতলার একদল ছেলের সঙ্গে কাজীপাড়ার ছেলেদের ঝামেলা হয়েছে। আমার সমর্থকরা তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বণিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মারামরি ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষের লোকজনই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যায়। কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।