Dhaka বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একই পরিবারের ৪ জনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে একই পরিবারের চারজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৮ জুলাই) সকালে নবীনগর পৌর এলাকার বিজয়পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক ভাবে তাদের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। জেলা পুলিশের নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নিহতরা হলেন- সোহাগ মিয়া (৩৩), জান্নাতুল বেগম (২২), ফারিয়া (৪), ফাহিমা (২)। সোহাগ মিয়া ও জান্নাতুল সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের দুই সন্তান ফারিয়া ও ফাহিমা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম জানান, সোহাগ পেশায় একজন কাপড় ব্যবসায়ী। রাতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। প্রতিদিন তারা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলেও আজ না ওঠায় পরিবারের সদস্যরা তাদের ডাকাডাকি করেন। কিন্তু এতো কোনো সাড়াশব্দ পাননি তারা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে তাদের সবার মরদেহ দেখতে পান। এরমধ্যে সোহাগ ও এক কন্যার মরদেহ চালের তীরের কাঠে ঝুলছিল, স্ত্রী জান্নাতের মরদেহ খাটে ও অপর আরেক কন্যার মরদেহ খাটের পাশে পড়ে ছিল।

তিনি আরও জানান, তাদের মৃত্যু কিভাবে হয়েছে তা এখনই মন্তব্য করা যাচ্ছে না। এটা হত্যা নাকি অন্য কিছু তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এবং তদন্ত করার পর বলা যাবে। মরদেহগুলো সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্যে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাঁদা, চরম ভোগান্তিতে মামাখালীর মানুষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একই পরিবারের ৪ জনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০১:৪১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে একই পরিবারের চারজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৮ জুলাই) সকালে নবীনগর পৌর এলাকার বিজয়পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক ভাবে তাদের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। জেলা পুলিশের নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নিহতরা হলেন- সোহাগ মিয়া (৩৩), জান্নাতুল বেগম (২২), ফারিয়া (৪), ফাহিমা (২)। সোহাগ মিয়া ও জান্নাতুল সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের দুই সন্তান ফারিয়া ও ফাহিমা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম জানান, সোহাগ পেশায় একজন কাপড় ব্যবসায়ী। রাতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। প্রতিদিন তারা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলেও আজ না ওঠায় পরিবারের সদস্যরা তাদের ডাকাডাকি করেন। কিন্তু এতো কোনো সাড়াশব্দ পাননি তারা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে তাদের সবার মরদেহ দেখতে পান। এরমধ্যে সোহাগ ও এক কন্যার মরদেহ চালের তীরের কাঠে ঝুলছিল, স্ত্রী জান্নাতের মরদেহ খাটে ও অপর আরেক কন্যার মরদেহ খাটের পাশে পড়ে ছিল।

তিনি আরও জানান, তাদের মৃত্যু কিভাবে হয়েছে তা এখনই মন্তব্য করা যাচ্ছে না। এটা হত্যা নাকি অন্য কিছু তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এবং তদন্ত করার পর বলা যাবে। মরদেহগুলো সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্যে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।