আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রিও ডি জেনিরো ও এসপিরিতো সান্তোর মধ্যবর্তী স্থানে চলতি সপ্তাহের ভারী বর্ষণে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে অনেক বাড়ি-ঘর।
রোববার (২৪ মার্চ) থেকে এসব এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে উদ্ধারকর্মীরা।
এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো এবং স্পিরিটো সান্টোতে এ বন্যা আঘাত হানে। বন্যা পরিস্থিতিকে স্থানীয় প্রশাসন ভয়াবহ পরিস্থিতি বলে বর্ণনা করেছে।
স্পিরিটো সান্টোতে নিহতের সংখ্যা ৪ থেকে বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। রাতভর বৃষ্টি না থাকায় পানির পরিমান কমেছেন। এ অবস্থায় উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা।
বন্যায় সবেচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্পিরিটো সান্টোর মিমোসো ডু সুল পৌরসভা। এখানে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের বসবাস। বন্যায় এখানে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আপিকা পৌরসভায় মৃত্যু হয়েছে আরও দুজনের।
রাজ্য সরকার বন্যা পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বন্যার পর পানি কিছু কমে যাওয়ায় উদ্ধার কর্মীরা দ্রুত উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছেন।
বন্যায় দুই রাজ্যের ৫ হাজার ২০০ জন তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। রিও ডি জেনিরোর প্রতিবেশীরা জানান, বন্যায় এ রাজ্যে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বাড়ি ধসে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
ব্রাজিলে ভয়াবহ তাপদাহের পর এই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভা বলেন, বন্যার কারণে বহু মানুষ বাড়িঘর ছাড়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তার সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে।
ব্রাজিলের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর আরও ঝড়ের পূর্বাভাস জারি করেছে। বিশেষ করে রিও ডি জেনিরোতে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। এ রাজ্যে গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। মার্চে এ অঞ্চলে সাধারণত ১৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়ে থাকে। এদিকে গত সপ্তাহে রিও ডি জেনিরোতে ৬২ ডিগ্রি তামপাত্রা রেকর্ড করা হয়।