Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রহ্মপুত্রে অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই, হুমকিতে সেতু-মহাসড়ক

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৮:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১৮৫ জন দেখেছেন

নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ড্রেজার বসিয়ে প্রকাশ্যে বালু তোলা হচ্ছে জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র থেকে। এতে হুমকির মুখে ব্রহ্মপুত্র সেতু, মহাসড়ক, বসতবাড়িসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। জামালপুর শহরের পুরাতন ফেরিঘাট থেকে নান্দিনা পর্যন্ত আছে এমন অন্তত ২২টি অবৈধ বালুঘাট। যেখান থেকে প্রতিদিন শত-শত ট্রাক বালু যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন স্থানে।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বালু উত্তোলন তো দূরের কথা এ নদের বালুমহাল ইজারাও দেয়া যাবে না। কিন্তু সিন্ডিকেট করে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে রমরমা বালু বাণিজ্য।

স্থানীয় একজন বলেন, মহাসড়কে রাস্তার পাশে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করছে এগুলো কি সরকার দেখে না। আরেকজন বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ফসলি জমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পেয়াজ, ধান ক্ষেত সব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই এই অবৈধ বালু তোলা আমরা বন্ধ করতে চাই।

ব্রহ্মপুত্র সেতু ও মহাসড়কের খুব কাছ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে নদ তীরবর্তী ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

জামালপুর পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্ট চালিয়ে কিছু জব্দ করা হয়। তারপরই আবার শুরু হয় তাদের বালু উত্তোলন উৎসব। একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে আরেক দিকে আমাদের রাস্তা, আবদি ভূমি এগুলো ধ্বংস হবে।

এ বিষয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পাননি বলে অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধির।

জামালপুর শরিফপুরের ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আলম বলেন, প্রশাসন বরাবর আবেদন করেছি এবং আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করেছি। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। তবুও এগুলো বন্ধ হচ্ছে না।

জামালপুর জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় বলেন, সরাসরি মামলা করে দেয়ার জন্য বলে দেয়া হয়েছে। তালিকা মনে হয় প্রস্তুত করা হয়েছে। কেননা আমার কাছে কাগজপত্রগুলো এখনো আসেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তালিকা করে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা করে দিতে বলে দিয়েছি।

নদী পাড়ের বাসিন্দাদের শঙ্কা এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে আগামী বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

ব্রহ্মপুত্রে অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই, হুমকিতে সেতু-মহাসড়ক

প্রকাশের সময় : ০১:৫৮:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ড্রেজার বসিয়ে প্রকাশ্যে বালু তোলা হচ্ছে জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র থেকে। এতে হুমকির মুখে ব্রহ্মপুত্র সেতু, মহাসড়ক, বসতবাড়িসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। জামালপুর শহরের পুরাতন ফেরিঘাট থেকে নান্দিনা পর্যন্ত আছে এমন অন্তত ২২টি অবৈধ বালুঘাট। যেখান থেকে প্রতিদিন শত-শত ট্রাক বালু যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন স্থানে।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বালু উত্তোলন তো দূরের কথা এ নদের বালুমহাল ইজারাও দেয়া যাবে না। কিন্তু সিন্ডিকেট করে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে রমরমা বালু বাণিজ্য।

স্থানীয় একজন বলেন, মহাসড়কে রাস্তার পাশে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করছে এগুলো কি সরকার দেখে না। আরেকজন বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ফসলি জমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পেয়াজ, ধান ক্ষেত সব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই এই অবৈধ বালু তোলা আমরা বন্ধ করতে চাই।

ব্রহ্মপুত্র সেতু ও মহাসড়কের খুব কাছ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে নদ তীরবর্তী ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

জামালপুর পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্ট চালিয়ে কিছু জব্দ করা হয়। তারপরই আবার শুরু হয় তাদের বালু উত্তোলন উৎসব। একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে আরেক দিকে আমাদের রাস্তা, আবদি ভূমি এগুলো ধ্বংস হবে।

এ বিষয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পাননি বলে অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধির।

জামালপুর শরিফপুরের ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আলম বলেন, প্রশাসন বরাবর আবেদন করেছি এবং আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করেছি। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। তবুও এগুলো বন্ধ হচ্ছে না।

জামালপুর জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় বলেন, সরাসরি মামলা করে দেয়ার জন্য বলে দেয়া হয়েছে। তালিকা মনে হয় প্রস্তুত করা হয়েছে। কেননা আমার কাছে কাগজপত্রগুলো এখনো আসেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তালিকা করে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা করে দিতে বলে দিয়েছি।

নদী পাড়ের বাসিন্দাদের শঙ্কা এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে আগামী বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।