নিজস্ব প্রতিবেদক :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর আগে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে ব্যালট পেপার।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচনী দ্রব্যাদি পরিবহন ও বিতরণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পেপার প্রেরণ করা হবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে জেলা পর্যায়ে ও জেলা পর্যায় থেকে উপজেলা পর্যায়ে এবং উপজেলা পর্যায় থেকে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী দ্রব্যাদি পরিবহন ও বিতরণের সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পরিপত্রে জানানো হয়েছে, পার্বত্য, হাওর, বাওর, চর বা দ্বীপাঞ্চল বা অনুরূপ দুর্গম প্রত্যন্ত এলাকায় ভোটের দিন সকালে ব্যালট পেপার পৌঁছানো সম্ভব হবে না। তাই সেসব ভোটকেন্দ্রে কখন পাঠানো হবে, তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তথা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের আলোকে রিটার্নিং অফিসার স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে ঠিক করবেন।
এ লক্ষ্যে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রয়োজন অনুসারে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় হতে বিভাগ/আঞ্চলিক বা জেলা পর্যায়ে নির্বাচনী দ্রব্যাদি পরিবহনে বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বিভাগ/আঞ্চলিক পর্যায় হতে জেলা সভায় এবং জেলা পর্যায় হতে উপজেলা পর্যায়ে দ্রব্যাদি পরিবহন ও বিতরণে অনুরূপ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
বিভাগ/আঞ্চলিক পর্যায় হতে জেলা সভায় এবং জেলা পর্যায় হতে উপজেলা পর্যায়ে দ্রব্যাদি পরিবহন ও বিতরণে অনুরূপ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে পরিপত্রে।
আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনাররাও গণমাধ্যমকে বলেছেন, দুর্গম এলাকাগুলোতে আগের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো সেখানে ভোটের দিন সকালে পাঠানো হবে ব্যালট পেপার।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, এবারের সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন চার লাখ ছয় হাজার ৩৬৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, দুই লাখ ৮৭ হাজার ৭২২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৩ জন পোলিং অফিসার, মোট নয় লাখ নয় হাজার ৫২৯ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা।