বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :
বান্দরবানের রুমায় অস্ত্র-গোলাবারুদ লুটেরর মামলায় কুকি-চিন সদস্য সন্দেহে গ্রেপ্তার তিন নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল হক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিদের সঙ্গে দুগ্ধ পোষ্যসহ চার শিশুকেও পাঠানো হয়েছে কারাগারে। শিশুদের মধ্যে একজনের বয়স দেড়মাস। বাকি দুজনের বয়স তিন ও অন্যজনের বয়স চার বছর।
আসামিরা হলেন রুমা ইডেন পাড়া এলাকার লাল নুন পুই বম (১৮), লাল রুয়াত ফেল বম (২০) ও লাল এং কল বম (২৬)।
আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ জানান, রুমা উপজেলা চত্বর ঘেরাও করে আনসার সদস্যদের অস্ত্র-গোলাবারুদ লুটের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক ফজলুল হক বলেন, অবুঝ শিশুদের যেহেতু তাদের মায়ের কাছ থেকে আলাদা করা বা অন্য কারও কাছে রাখা যাচ্ছে না, তাই মায়ের সঙ্গে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেল সুপার মো. জান্নাত উল ফরহাদ বলেন, আজ চারজনসহ মোট পাঁচ শিশু তাদের মায়ের সঙ্গে বান্দরবান কারাগারে রয়েছে। কারাগারে যে শিশুরা মায়ের সঙ্গে রয়েছে, তাদের জন্য মেডিকেলের পরামর্শে আলাদা খাবার ও ডে-কেয়ারের বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনার পর থেকে কেএনএফ সদস্যদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।
যৌথ অভিযানে এ পর্যন্ত ১৮ নারীসহ ৭১ জনকে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৫৯ জনকে দুই দিনের রিমান্ড নেওয়া হয়েছে। আর তিন নারীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।