Dhaka মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় খালাস পেলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

নারায়ণগঞ্জে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারের ভাই ও ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. মোমিনুল ইসলামের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান।

হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস পাওয়ার খবরে আদালতপাড়ায় আনন্দ মিছিল করছেন জাকির খানের নেতাকর্মীরা। মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে আদালতপাড়ায় জড়ো হন জাকির খানের হাজারো সমর্থক।

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ৩৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। এর মধ্যে তিনি ৩০টি মামলায় ইতিমধ্যে খালাস পেয়েছিলেন। বাকি ৩টি মামলার মধ্যে দুটিতে জামিনে আছেন। নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির হত্যা মামলায় খালাস পাওয়ার পর তার মুক্তিতে আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট খন্দকার আজিজুল হক হান্টু বলেন, সাব্বির আলম খন্দকার হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি জানান, আলহামদুলিল্লাহ, তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এ হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি, বর্তমান তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব এবং নিহতের বড় ভাই তৈমুর আলম খন্দকার বাদী হয়ে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নামে ফতল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়।
পরবর্তীতে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়। সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে ৮ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। এতে সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল ও শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান ও মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামি উল্লেখ করা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় খালাস পেলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির

প্রকাশের সময় : ০২:২১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

নারায়ণগঞ্জে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারের ভাই ও ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. মোমিনুল ইসলামের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান।

হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস পাওয়ার খবরে আদালতপাড়ায় আনন্দ মিছিল করছেন জাকির খানের নেতাকর্মীরা। মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে আদালতপাড়ায় জড়ো হন জাকির খানের হাজারো সমর্থক।

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ৩৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। এর মধ্যে তিনি ৩০টি মামলায় ইতিমধ্যে খালাস পেয়েছিলেন। বাকি ৩টি মামলার মধ্যে দুটিতে জামিনে আছেন। নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির হত্যা মামলায় খালাস পাওয়ার পর তার মুক্তিতে আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট খন্দকার আজিজুল হক হান্টু বলেন, সাব্বির আলম খন্দকার হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি জানান, আলহামদুলিল্লাহ, তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এ হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি, বর্তমান তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব এবং নিহতের বড় ভাই তৈমুর আলম খন্দকার বাদী হয়ে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নামে ফতল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়।
পরবর্তীতে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়। সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে ৮ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। এতে সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল ও শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান ও মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামি উল্লেখ করা হয়।