Dhaka বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় আমুর ৬ দিনের রিমান্ড

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৫:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৯১ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে তাকে আদালতে আনা হয়। এদিন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিপ তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ইমরান আহম্মেদ তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বিকেল ৫টায় নিউমার্কেটের ১ নম্বর গেটের সামনে গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। নিহত ব্যবসায়ীর শ্যালক আব্দুর রহমান বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় এ মামলা করেন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের সন্ধান পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি করে তিনি এই অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন। দুদক তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার পর অনুসন্ধানে নামে দুদকের গোয়েন্দা শাখা। দুদক জানায়, নামে-বেনামে আমুর বিপুল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এ পর্যন্ত তাঁর নামে ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যা বৈধ আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। তবে প্রকাশ্য অনুসন্ধানে তাঁর অবৈধ সম্পদ অনেক বেড়ে যাবে বলে মনে করছে দুদক।

অভিযোগ রয়েছে, মন্ত্রী থাকাকালে আমু তাঁর নির্বাচনী এলাকা ঝালকাঠি-নলছিটিতে স্কুলের অফিস সহকারী, নৈশপ্রহরী ও আয়া নিয়োগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন। ঝালকাঠির এলজিইডি, শিক্ষা প্রকৌশল, গণপূর্ত অধিদপ্তর ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিতেন তিনি।

প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে দুদক জানায়, রাজধানীর ধানমন্ডির ১৫ নম্বর সড়কের কেয়ারী প্লাজায় আমির হোসেন আমুর দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া মিরপুরের রূপনগরে ১ কোটি ৩১ লাখ ৯৫ হাজার টাকার একটি প্লট রয়েছে তাঁর। ঢাকার অদূরে সাভারের বাটপাড়া মৌজায় রয়েছে অকৃষিজমি, যার দাম ৪৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা। ইস্কাটনে একটি বাগানবাড়ি রয়েছে তাঁর নামে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাঁর জমা ও বিনিয়োগ রয়েছে ১১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে তাঁর নামে ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় আমুর ৬ দিনের রিমান্ড

প্রকাশের সময় : ১২:৩৫:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে তাকে আদালতে আনা হয়। এদিন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিপ তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ইমরান আহম্মেদ তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বিকেল ৫টায় নিউমার্কেটের ১ নম্বর গেটের সামনে গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। নিহত ব্যবসায়ীর শ্যালক আব্দুর রহমান বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় এ মামলা করেন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের সন্ধান পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি করে তিনি এই অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন। দুদক তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার পর অনুসন্ধানে নামে দুদকের গোয়েন্দা শাখা। দুদক জানায়, নামে-বেনামে আমুর বিপুল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এ পর্যন্ত তাঁর নামে ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যা বৈধ আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। তবে প্রকাশ্য অনুসন্ধানে তাঁর অবৈধ সম্পদ অনেক বেড়ে যাবে বলে মনে করছে দুদক।

অভিযোগ রয়েছে, মন্ত্রী থাকাকালে আমু তাঁর নির্বাচনী এলাকা ঝালকাঠি-নলছিটিতে স্কুলের অফিস সহকারী, নৈশপ্রহরী ও আয়া নিয়োগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন। ঝালকাঠির এলজিইডি, শিক্ষা প্রকৌশল, গণপূর্ত অধিদপ্তর ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিতেন তিনি।

প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে দুদক জানায়, রাজধানীর ধানমন্ডির ১৫ নম্বর সড়কের কেয়ারী প্লাজায় আমির হোসেন আমুর দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া মিরপুরের রূপনগরে ১ কোটি ৩১ লাখ ৯৫ হাজার টাকার একটি প্লট রয়েছে তাঁর। ঢাকার অদূরে সাভারের বাটপাড়া মৌজায় রয়েছে অকৃষিজমি, যার দাম ৪৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা। ইস্কাটনে একটি বাগানবাড়ি রয়েছে তাঁর নামে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাঁর জমা ও বিনিয়োগ রয়েছে ১১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে তাঁর নামে ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।