Dhaka শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে কৃষিখাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে : কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিখাত। এ ক্ষতি মোকাবিলায় বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনসহিষ্ণু ফসলের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে। কৃষিবিজ্ঞানীদের হাত ধরে এরই মধ্যে অনেক সাফল্য এসেছে। ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা মানের হোটেলে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জলবায়ু কর্মকাণ্ড ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর’ শীর্ষক দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথম সেশনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের বিজ্ঞানী ও গবেষণা সংস্থাগুলো ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তনসহনশীল কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ড. আব্দুস শহীদ বলেন, আমরা ভাগ্যের ওপর বিশ্বাসী হলেও বিজ্ঞানীরা যে গবেষণা করছেন তা কিন্তু কম না। কেননা গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। এতে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে। তাই গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। এক সময় মোটা ইরি চাষ হতো বর্তমানে লম্বা ও চিকন ধান চাষ হচ্ছে। এগুলো খুবই সুস্বাদু।

তিনি আরও বলেন, কৃষকের মাঠে কাজ করতে করতে পিঠের চামড়া কালো হয়ে যায় অথচ ছেলে-মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করান। তারা এ সময় জমির ধারে কাছে যায় না, কিন্তু যে যখন অফিসার হয় তখন কিন্তু ঠিকই বোঝে তার প্রতিষ্ঠার পেছনে কৃষক বাবার অবদান কত। সেজন্য আমরা কৃষির কাছে ঋণী, কৃষিই আমাদের প্রাণ।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেভাবে উষ্ণতা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে তাতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যেভাবে কাজ করছি, আশা করি এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সফল হতে পারব।

জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাবে মাটির উর্বরতা কমছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খরার ফলে মাটির আর্দ্রতা কমতে পারে। আমাদের মাটির স্তরে যে বন্যা হয় তা কিন্তু খারাপ না, বন্যায় কিছু ক্ষতি হলেও যে পরিমাণ পলি বহন করে নিয়ে আসে। এতে দীর্ঘকালীন উৎপাদনের জন্য মাটির উর্বরতা বাড়ে।

ইমেরিটাস অধ্যাপক এমএ সাত্তার মণ্ডলের সভাপতিত্বে ও সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিন জর্জ স্মিথ, ডিরেক্টর অব ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম করিম মেয়ারদিয়া, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর সায়েন্সের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শেইলা কাকা ওচুগবোজু, ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের সিইও আরিফ হোসেন বক্তব্য রাখেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

যদি লজ্জায় মাটির নিচে ঢুকে যেতে পারতাম : প্রেস সচিব

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে কৃষিখাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে : কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:৪০:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিখাত। এ ক্ষতি মোকাবিলায় বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনসহিষ্ণু ফসলের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে। কৃষিবিজ্ঞানীদের হাত ধরে এরই মধ্যে অনেক সাফল্য এসেছে। ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা মানের হোটেলে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জলবায়ু কর্মকাণ্ড ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর’ শীর্ষক দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথম সেশনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের বিজ্ঞানী ও গবেষণা সংস্থাগুলো ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তনসহনশীল কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ড. আব্দুস শহীদ বলেন, আমরা ভাগ্যের ওপর বিশ্বাসী হলেও বিজ্ঞানীরা যে গবেষণা করছেন তা কিন্তু কম না। কেননা গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। এতে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে। তাই গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। এক সময় মোটা ইরি চাষ হতো বর্তমানে লম্বা ও চিকন ধান চাষ হচ্ছে। এগুলো খুবই সুস্বাদু।

তিনি আরও বলেন, কৃষকের মাঠে কাজ করতে করতে পিঠের চামড়া কালো হয়ে যায় অথচ ছেলে-মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করান। তারা এ সময় জমির ধারে কাছে যায় না, কিন্তু যে যখন অফিসার হয় তখন কিন্তু ঠিকই বোঝে তার প্রতিষ্ঠার পেছনে কৃষক বাবার অবদান কত। সেজন্য আমরা কৃষির কাছে ঋণী, কৃষিই আমাদের প্রাণ।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেভাবে উষ্ণতা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে তাতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যেভাবে কাজ করছি, আশা করি এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সফল হতে পারব।

জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাবে মাটির উর্বরতা কমছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খরার ফলে মাটির আর্দ্রতা কমতে পারে। আমাদের মাটির স্তরে যে বন্যা হয় তা কিন্তু খারাপ না, বন্যায় কিছু ক্ষতি হলেও যে পরিমাণ পলি বহন করে নিয়ে আসে। এতে দীর্ঘকালীন উৎপাদনের জন্য মাটির উর্বরতা বাড়ে।

ইমেরিটাস অধ্যাপক এমএ সাত্তার মণ্ডলের সভাপতিত্বে ও সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিন জর্জ স্মিথ, ডিরেক্টর অব ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম করিম মেয়ারদিয়া, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর সায়েন্সের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শেইলা কাকা ওচুগবোজু, ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের সিইও আরিফ হোসেন বক্তব্য রাখেন।