নিজস্ব প্রতিবেদক :
দুদকের মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভিসি ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুদকের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে দুদক কর্তৃক তদন্তাধীন একটি মামলায় দুদকের রিকোজিশন ছিল। সেটির ভিত্তিতে গোয়েন্দা কার্যক্রমে পরিচালনার মাধ্যমে মোহাম্মদপুরে নিজ বাসা থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক ভিসি নাজমুল হাসান কলিমুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুদকের কাছে তাকে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা এবং জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারের চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক এই ভিসি এবং আরও চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলার এজাহারে অভিযোগ, তারা পরস্পর যোগসাজশে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের ডিপিপি উপেক্ষা করে সরকারি নিয়মাবলী লঙ্ঘন করেছেন।
দুদক অভিযোগে জানায়, এই পাঁচ আসামি মোট ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে ছিল ৩০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের চুক্তি সম্পাদন, নকশা পরিবর্তন, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কাজ চালানো এবং নিরাপত্তা জামানত হিসেবে রাখা অর্থ এফডিআর হিসেবে ব্যাংকে জমা করা।
দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, এই মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এ কে এম নূর-উন-নবী, সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আবদুস সালাম বাচ্চু এবং এম এম হাবিবুর রহমানসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, তারা অগ্রিম অর্থ প্রদান না করেই ঠিকাদারকে আর্থিক সহযোগিতার নামে ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ করে অগ্রিম বিল প্রদান করেছিলেন। এর পর, তাদের চুক্তি অনুযায়ী খরচের জন্যে প্রয়োজনীয় সব নথি উপেক্ষা করে খরচ অনুমোদন করেছেন।
এছাড়া, দ্বিতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ এবং পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ন না করার মতো অভিযোগও উঠেছে।