Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনে দগ্ধ ৮ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের দুই শিশুসহ ৮ জন চিকিৎসাধীন আছেন। শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় তাদের সবার অবস্থাই শঙ্কাজনক। একইসঙ্গে তারা মানসিক ট্রমায় রয়েছেন।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান।

সামন্ত লাল সেন বলেন, আমাদের এখানে ভর্তি আছে আটজন। বার্নের পার্সেন্টেজ বেশি না, কারও ৯ পার্সেন্ট, ৮ পার্সেন্ট। অনেকের বাইরে কোনো বার্নই হয়নি। সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো, তাদের সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। আমরা দেখতে পেলাম, তাদের অনেকের ভেতরে অসুবিধা আছে, ম্যানেজ করতে সময় লাগবে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক বলেন, কোনো রোগী এখনও ঝুঁকিমুক্ত নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা বাসায় না যাবে তাদেরকে আমরা আশঙ্কামুক্ত বলতে পারি না। আরেকটা কথা বলতে পারি, যখনই তারা ভালো হয়ে যাবে তাদের যে মেন্টাল ট্রমা, আমি দেখলাম একটা বাচ্চা ভয় পাচ্ছে; চিৎকার শুনে ভয় পায়। রোগীরা ভীষণ আতঙ্কিত। এ আতঙ্ক যে কবে কাটবে এটা বলা যায় না। এটার দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসার দরকার।

এদিকে হাসপাতালটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ৮ জন রোগীর মধ্যে দুইজনের শরীর দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে আসিফ মোহাম্মদ খানের (৩০) ৮ শতাংশ, নাফিস আলমের (২২) ৫ শতাংশ দগ্ধ রয়েছে। বাকিরা দগ্ধ না হলেও ধোঁয়াজনিত কারণে শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এর মধ্যে রেহান (৬) ও দিহান (১১) নামে দুই শিশুও রয়েছে।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ৮টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১০টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দুর্বৃত্তদের দেওয়া এ আগুনে চারজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে ট্রেনটির তিনটি বগি পুরোপুরি পুড়ে যায়। পরে একটি বগি থেকে মা ও শিশুসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিমানের ফ্লাইটে ফের ত্রুটি, শারজাহ না গিয়ে ফিরে এলো ঢাকায়

বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনে দগ্ধ ৮ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক

প্রকাশের সময় : ১২:৫৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের দুই শিশুসহ ৮ জন চিকিৎসাধীন আছেন। শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় তাদের সবার অবস্থাই শঙ্কাজনক। একইসঙ্গে তারা মানসিক ট্রমায় রয়েছেন।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান।

সামন্ত লাল সেন বলেন, আমাদের এখানে ভর্তি আছে আটজন। বার্নের পার্সেন্টেজ বেশি না, কারও ৯ পার্সেন্ট, ৮ পার্সেন্ট। অনেকের বাইরে কোনো বার্নই হয়নি। সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো, তাদের সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। আমরা দেখতে পেলাম, তাদের অনেকের ভেতরে অসুবিধা আছে, ম্যানেজ করতে সময় লাগবে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক বলেন, কোনো রোগী এখনও ঝুঁকিমুক্ত নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা বাসায় না যাবে তাদেরকে আমরা আশঙ্কামুক্ত বলতে পারি না। আরেকটা কথা বলতে পারি, যখনই তারা ভালো হয়ে যাবে তাদের যে মেন্টাল ট্রমা, আমি দেখলাম একটা বাচ্চা ভয় পাচ্ছে; চিৎকার শুনে ভয় পায়। রোগীরা ভীষণ আতঙ্কিত। এ আতঙ্ক যে কবে কাটবে এটা বলা যায় না। এটার দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসার দরকার।

এদিকে হাসপাতালটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ৮ জন রোগীর মধ্যে দুইজনের শরীর দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে আসিফ মোহাম্মদ খানের (৩০) ৮ শতাংশ, নাফিস আলমের (২২) ৫ শতাংশ দগ্ধ রয়েছে। বাকিরা দগ্ধ না হলেও ধোঁয়াজনিত কারণে শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এর মধ্যে রেহান (৬) ও দিহান (১১) নামে দুই শিশুও রয়েছে।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ৮টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১০টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দুর্বৃত্তদের দেওয়া এ আগুনে চারজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে ট্রেনটির তিনটি বগি পুরোপুরি পুড়ে যায়। পরে একটি বগি থেকে মা ও শিশুসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।