Dhaka রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেনফিকা ছাড়ছেন ডি মারিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দীর্ঘ দুই দশকের ফুটবল ক্যারিয়ারের এক একটি পাতা যখন বন্ধ হচ্ছে, তখন আরেকটি প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে— কোথায় শেষ হবে অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়ার ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায়? পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার জার্সিতে দ্বিতীয় দফায় খেলতে নেমে আবারও ক্লাবটির সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানলেন আর্জেন্টাইন এই অভিজ্ঞ উইঙ্গার।

শনিবার (১৭ মে) রাতে ব্রাগার বিপক্ষে বেনফিকার হয়ে মাঠে নামেন ৩৭ বছর বয়সী ডি মারিয়া। লিসবনের ক্লাবটির হয়ে সেটিই ছিল লিগে তার শেষ ম্যাচ। যদিও ম্যাচটি বেনফিকার জন্য স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি। শেষ বাঁশি বাজার সময় স্কোরলাইন ছিল ১-১। সেই ড্রয়ের কারণে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বর স্থানেই থেকে মৌসুম শেষ করতে হয়েছে বেনফিকাকে। মাত্র দুই পয়েন্টের ব্যবধানে শিরোপা গেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী স্পোর্টিং সিপির হাতে।

বিদায়ী বার্তায় ডি মারিয়া বলেন, দীর্ঘ একটি বছর এভাবে শেষ করতে পারা খুবই কষ্টের। এই জার্সিতে (বেনফিকা) এটা ছিল আমার শেষ চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ এবং আবারও এই জার্সি পরতে পেরে আমি গর্বিত। রোববার (২৫ মে) একটি ফাইনাল আছে এবং আমরা আমাদের সব আকাঙ্ক্ষা এবং উৎসাহ নিয়ে ম্যাচটি জিততে নামব। সব সময়ের মতো সবাই মিলে একসঙ্গে। বেনফিকা সমর্থক, আপনাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।

বেনফিকার সঙ্গে ডি মারিয়ার সম্পর্ক অবশ্য নতুন নয়। ২০০৭ সালে আর্জেন্টিনার ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রাল থেকে সরাসরি ইউরোপে পা রেখে প্রথম এসেছিলেন এই পর্তুগিজ ক্লাবেই। তিন বছর পর সেখান থেকে যাত্রা শুরু হয় রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি এবং জুভেন্টাসের মতো ইউরোপের বড় বড় ক্লাবে।

২০২৩ সালে আবারও বেনফিকায় ফিরে আসেন তিনি। যেন শুরু যেখানে হয়েছিল সেখানেই শেষ করার প্রস্তুতি। তবে এখানেই শেষ নয়— আগামী ২৫ মে পর্তুগাল কাপের ফাইনালে স্পোর্টিং সিপির বিপক্ষে ম্যাচে শেষবারের মতো মাঠে নামতে দেখা যেতে পারে ডি মারিয়াকে। এরপর জুনে সম্ভাব্যভাবে তিনি অংশ নিতে পারেন ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে, যা হয়তো তার ইউরোপীয় ক্যারিয়ারের শেষ মঞ্চ হতে যাচ্ছে।

তবে ডি মারিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমগুলোর মতে, শৈশবের ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। আবার ইউরোপীয় গণমাধ্যমে দাবি উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। যেখানে অপেক্ষায় আছেন লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজ।

এক যুগের সমাপ্তি হতে চলেছে ডি মারিয়ার ফুটবল অধ্যায়ে। প্রশ্ন একটাই এই কিংবদন্তির শেষ চ্যাপ্টারটি লেখা হবে কি দেশের মাটিতে, নাকি বন্ধুদের সঙ্গে অন্য মহাদেশে?

আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বেনফিকার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে দি মারিয়ার। জুনেই অনুষ্ঠেয় ক্লাব বিশ্বকাপে তিনি খেলবেন কিনা, সেটা নিয়ে এখনও জানা যায়নি কিছু।

দুই মেয়াদে বেনফিকার হয়ে এখন পর্যন্ত ২১১ ম্যাচ খেলেছেন দি মারিয়া। ৪৭ গোল করার পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেছেন ৫৩টিতে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে বিদেশে-অনলাইনে পরে থাকতে হবে : তারেককে ইঙ্গিত করে পাটওয়ারী

বেনফিকা ছাড়ছেন ডি মারিয়া

প্রকাশের সময় : ০৬:৩১:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দীর্ঘ দুই দশকের ফুটবল ক্যারিয়ারের এক একটি পাতা যখন বন্ধ হচ্ছে, তখন আরেকটি প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে— কোথায় শেষ হবে অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়ার ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায়? পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার জার্সিতে দ্বিতীয় দফায় খেলতে নেমে আবারও ক্লাবটির সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানলেন আর্জেন্টাইন এই অভিজ্ঞ উইঙ্গার।

শনিবার (১৭ মে) রাতে ব্রাগার বিপক্ষে বেনফিকার হয়ে মাঠে নামেন ৩৭ বছর বয়সী ডি মারিয়া। লিসবনের ক্লাবটির হয়ে সেটিই ছিল লিগে তার শেষ ম্যাচ। যদিও ম্যাচটি বেনফিকার জন্য স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি। শেষ বাঁশি বাজার সময় স্কোরলাইন ছিল ১-১। সেই ড্রয়ের কারণে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বর স্থানেই থেকে মৌসুম শেষ করতে হয়েছে বেনফিকাকে। মাত্র দুই পয়েন্টের ব্যবধানে শিরোপা গেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী স্পোর্টিং সিপির হাতে।

বিদায়ী বার্তায় ডি মারিয়া বলেন, দীর্ঘ একটি বছর এভাবে শেষ করতে পারা খুবই কষ্টের। এই জার্সিতে (বেনফিকা) এটা ছিল আমার শেষ চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ এবং আবারও এই জার্সি পরতে পেরে আমি গর্বিত। রোববার (২৫ মে) একটি ফাইনাল আছে এবং আমরা আমাদের সব আকাঙ্ক্ষা এবং উৎসাহ নিয়ে ম্যাচটি জিততে নামব। সব সময়ের মতো সবাই মিলে একসঙ্গে। বেনফিকা সমর্থক, আপনাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।

বেনফিকার সঙ্গে ডি মারিয়ার সম্পর্ক অবশ্য নতুন নয়। ২০০৭ সালে আর্জেন্টিনার ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রাল থেকে সরাসরি ইউরোপে পা রেখে প্রথম এসেছিলেন এই পর্তুগিজ ক্লাবেই। তিন বছর পর সেখান থেকে যাত্রা শুরু হয় রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি এবং জুভেন্টাসের মতো ইউরোপের বড় বড় ক্লাবে।

২০২৩ সালে আবারও বেনফিকায় ফিরে আসেন তিনি। যেন শুরু যেখানে হয়েছিল সেখানেই শেষ করার প্রস্তুতি। তবে এখানেই শেষ নয়— আগামী ২৫ মে পর্তুগাল কাপের ফাইনালে স্পোর্টিং সিপির বিপক্ষে ম্যাচে শেষবারের মতো মাঠে নামতে দেখা যেতে পারে ডি মারিয়াকে। এরপর জুনে সম্ভাব্যভাবে তিনি অংশ নিতে পারেন ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে, যা হয়তো তার ইউরোপীয় ক্যারিয়ারের শেষ মঞ্চ হতে যাচ্ছে।

তবে ডি মারিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমগুলোর মতে, শৈশবের ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। আবার ইউরোপীয় গণমাধ্যমে দাবি উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। যেখানে অপেক্ষায় আছেন লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজ।

এক যুগের সমাপ্তি হতে চলেছে ডি মারিয়ার ফুটবল অধ্যায়ে। প্রশ্ন একটাই এই কিংবদন্তির শেষ চ্যাপ্টারটি লেখা হবে কি দেশের মাটিতে, নাকি বন্ধুদের সঙ্গে অন্য মহাদেশে?

আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বেনফিকার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে দি মারিয়ার। জুনেই অনুষ্ঠেয় ক্লাব বিশ্বকাপে তিনি খেলবেন কিনা, সেটা নিয়ে এখনও জানা যায়নি কিছু।

দুই মেয়াদে বেনফিকার হয়ে এখন পর্যন্ত ২১১ ম্যাচ খেলেছেন দি মারিয়া। ৪৭ গোল করার পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেছেন ৫৩টিতে।