স্পোর্টস ডেস্ক :
চলতি মেয়াদে বাংলাদেশে ক্রিকেটে বোর্ডের অষ্টম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হলো সোমবার (১২ জুন)। সেখানে যুগান্তকারী এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নারী ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা শীর্ষ গ্রেডের খেলোয়াড়দের বেতন উন্নীত হয়েছে লাখ টাকায়। সর্বনিম্ন বেতন করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
ক্যাটাগরি অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে বেতন। সবগুলোতেই ২০ শতাংক করে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা পেতেন ৮০ হাজার টাকা, ৬০ হাজার টাকা পেতেন ‘বি’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা, ‘সি’-এর ৩৫ হাজার ও ‘ডি’-র খেলোয়াড়দের দেওয়া হতো ২৫ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে উইমেন’স উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেছেন, ‘সব ক্যাটাগরিতে প্রায় ২০ শতাংশ করে বেতন বাড়ানো হয়েছে। কয়েকটিতে ২০ শতাংশের কিছু বেশি হবে। সবগুলো রাউন্ড ফিগার করে দেওয়া হয়েছে। যেমন আগের যেটা ৮০ হাজার ছিল, সেটা এখন ১ লাখ করে দেওয়া হয়েছে।’
শুধু বেতনই বাড়েনি নারী ক্রিকেটারদের, বেড়েছে ম্যাচ ফিও। আগে ওয়ানডেতে ম্যাচ ফি ছিল তিনশ ডলার এবং টি-টোয়েন্টিতে দেড়শ। এখন সেটা বাংলাদেশি মুদ্রায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ওয়ানডেতে এক লাখ টাকা এবং টি-টোয়েন্টিতে ৫০ হাজার।
মেয়েদের আর্থিক সুবিধা বাড়ানো নিয়ে সোমবার (১২ জুন) মিরপুরে সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, এত বাধা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের মেয়েরা যে ক্রিকেটটা খেলছে সে অনুযায়ী আমরা যে সুযোগ-সুবিধা দেই তা কিচ্ছু না। অন্য কোনও জায়গায় হলে ওরা আরও বেশি পেতো, আমরা তা জানি। আমি মনে করি এটা প্রথম পদক্ষেপ। বোর্ড থেকে বলা হয়েছে ম্যাচ ফি, বেতন যা পায় তা অনেক কম। আমরা এটাকে বাড়ানোর কথা বলেছি। আমরা আশা করছি আস্তে আস্তে বাড়তেই থাকবে। আমি মনে করি মেয়েদের ক্রিকেটের জন্য এটি তাৎপর্যপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারী দলের ক্রিকেট খেলাটা এতটা সহজ নয় উল্লেখ করে বোর্ড সভাপতি পাপন বলেছেন, বাংলাদেশে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা এত সহজ না। ক্রিকেট খেলাটাই একটু কঠিন। একে তো আপনাকে খেলার জন্য আলাদা একটা পিচ বা উইকেট লাগে; মাঠ হলেই হবে না। এটার সঙ্গে যেসব জিনিস দরকার, এটা অনেক ব্যয়ের খেলা। এত কষ্টের মধ্যেও, এত বাধা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের মেয়েরা যে ক্রিকেট খেলছে, আমরা যে সুবিধা দেই, ওই তুলনায় কিছুই না। অন্য কোনো জায়গায় হলে এরা আরও অনেক বেশি সুবিধা পেতো। এটা আমরা জানি। সেজন্য মনে করি এটা প্রথম পদক্ষেপ। ওরা যে বেতন বা ম্যাচ ফি পায় তা অনেক কম। আমরা আশা করছি এ প্রক্রিয়া শুরু হলো, আস্তে আস্তে উন্নতি হবে। আমরা মেয়েদের ক্রিকেটে ফোকাস দিচ্ছি।