নিজস্ব প্রতিবেদক :
বেচাকেনার হাটের মতো প্রার্থী ও দলকে নির্বাচনে আনা হচ্ছে জানিয়ে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি বলেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল ১৪ দল। এখন আওয়ামী লীগ তাদের কোনো সিট দিচ্ছে না। এজন্য ইনু-রাশেদ খান মেনন খুব পেরেশানিতে আছেন। তাদের সিটও গেছে। সব স্বার্থপর।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর ) দুপুরে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন একতরফা নির্বাচনী তফসিল বাতিল, রাজবন্দিদের মুক্তি, বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর এই সমাবেশের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, এদিকে তৃণমূল বিএনপিতে সব বিশ্বাসঘাতকরা এক হয়েছে। এগুলো জাতির জন্য কলঙ্ক। এদের থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। এরা আওয়ামী লীগের তল্পিবাহক। টাকা ও সিট ছেড়ে আওয়ামী লীগ তাদের নিয়েছে। জাতীয় পার্টিতে গৃহপালিত বিরোধী দল বানাইছে। জাতীয় পার্টি জাতির জন্য একটা বিষফোড়া।
জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আমি ডায়রেক্ট বলি তারা একটা বিষফোড়া। ২০১৪ সালে আবার ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচন করে। ওরা অংশীদার, মন্ত্রী হয়, তারা বিরোধী দল হয় কীভাবে। এটা তো ধোঁকাবাজি।
প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি বলেন, অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন জিএম কাদের। এখন তারা নির্বাচনে চলে গেছে। জাতীয় পার্টি বলছে তারা ভোট করবে। অথচ আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করে আসন ভাগাভাগি করেছে। জাতীয় পার্টি চায় ৭২টি আসন, সরকার বলছে ২০টার বেশি দিতে পারবো না। এই দর কাষাকষির ভোট চলছে।
তিনি বলেন, এদিকে তৃণমূল বিএনপিতে সব বিশ্বাসঘাতকরা এক হয়েছে। এগুলো জাতির জন্য কলঙ্ক। এদের থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। এরা আওয়ামী লীগের তল্পিবাহক। টাকা ও সিট ছেড়ে আওয়ামী লীগ তাদের নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আলেমরাও টাকার কাছে বিক্রি হচ্ছে। ইসলামী আন্দোলন মানুষের সঙ্গে আছে, প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাত করবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল করতে হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে স্বচ্ছ নির্বাচন করতে হবে। ২০১৪ ও ২০১৮ এর মত নির্বাচন আমরা চাই না। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন থেকে সরকারকে ব্যাক করানোর জন্য ইসলামী আন্দোলন রাজপথে নেমেছে। সরকারকে বলবো ফিরে আসুন। আগামীতে যে রক্তপাত, গৃহযুদ্ধ হবে এর দায় দায়িত্ব আওয়ামী লীগ সরকারকে নিতে হবে।
সমাবেশে দলটির শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন। পরে পল্টন সড়কে মিছিল ও দোয়ার মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করে ইসলামী আন্দোলন।