Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেগম খালেদা জিয়া এই সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বেগম খালেদা জিয়া এই সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রফিকুল আলম মজনু মুক্তি পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর মুক্তি দাবিতে এ কর্মসূচি হয়।

রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এই সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশে সাজানো মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ। অবিলম্বে তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। মূলত সরকার তাকে হত্যা করতে চায়। সেজন্য তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না।

তিনি অবিলম্বে খালেদা জিয়া ও রফিকুল আলম মজনুসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবি করেন।

তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে জোর করে ক্ষমতায় থাকতে এখন তলে তলে ষড়যন্ত্র করছেন। মনে রাখা দরকার- তলে তলে কখনো আপস হয় না, ষড়যন্ত্র হয়। বিএনপির আন্দোলন তীব্র হলে সরকার তলে তলে তলিয়ে যাবে।

রিজভী বলেন, জনগণের ভিত্তি নেই বলে পুলিশের ওপর নির্ভর করছে এই অনির্বাচিত সরকার। তারপরও সরকার নিজেদের নিরাপদ মনে করছে না। এখন তলে তলে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। তবে মানুষ এখন রাস্তায় নামা শুরু করেছে। সুতরাং কোনো ষড়যন্ত্র করেই মানুষের গতিরোধ করা যাবে না। জনসম্পৃক্ত চলমান আন্দোলনেই এই সরকারের পতন ঘটবে।

বিএনপির এই নেতা অবিলম্বে খালেদা জিয়া ও রফিকুল আলম মজনুসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবি করেন।

পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে পুনরায় সেখানে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। রিজভীর নেতৃত্বে মিছিলে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সদস্য আমিনুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদ, শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, সাবেক যুবদল নেতা ওমর ফারুক মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

বেগম খালেদা জিয়া এই সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০৬:৪১:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বেগম খালেদা জিয়া এই সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রফিকুল আলম মজনু মুক্তি পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর মুক্তি দাবিতে এ কর্মসূচি হয়।

রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এই সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশে সাজানো মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ। অবিলম্বে তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। মূলত সরকার তাকে হত্যা করতে চায়। সেজন্য তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না।

তিনি অবিলম্বে খালেদা জিয়া ও রফিকুল আলম মজনুসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবি করেন।

তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে জোর করে ক্ষমতায় থাকতে এখন তলে তলে ষড়যন্ত্র করছেন। মনে রাখা দরকার- তলে তলে কখনো আপস হয় না, ষড়যন্ত্র হয়। বিএনপির আন্দোলন তীব্র হলে সরকার তলে তলে তলিয়ে যাবে।

রিজভী বলেন, জনগণের ভিত্তি নেই বলে পুলিশের ওপর নির্ভর করছে এই অনির্বাচিত সরকার। তারপরও সরকার নিজেদের নিরাপদ মনে করছে না। এখন তলে তলে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। তবে মানুষ এখন রাস্তায় নামা শুরু করেছে। সুতরাং কোনো ষড়যন্ত্র করেই মানুষের গতিরোধ করা যাবে না। জনসম্পৃক্ত চলমান আন্দোলনেই এই সরকারের পতন ঘটবে।

বিএনপির এই নেতা অবিলম্বে খালেদা জিয়া ও রফিকুল আলম মজনুসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবি করেন।

পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে পুনরায় সেখানে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। রিজভীর নেতৃত্বে মিছিলে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সদস্য আমিনুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদ, শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, সাবেক যুবদল নেতা ওমর ফারুক মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।