Dhaka শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেঁধে দেয়া দামে মিলছে না ডিম-মুরগি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫২:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৯৬ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সপ্তাহজুড়ে দামের চোট ছিল ডিম ও মুরগির। এছাড়া পেঁয়াজের দাম দীর্ঘদিন ধরেই চড়া। এরমধ্যে ডিম ও মুরগির যৌক্তিক দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আর আলু ও পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে তারও দুই সপ্তাহ আগে। তবে এসবের প্রভাব নেই বাজারে। তাতে অসন্তুষ্ট সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর রামপুরা বাজারে মনির হোসেন নামের একজন ক্রেতা বলেন, আগেও বাজারে পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হতো, যা কার্যকর হতো না। তখন রাজনৈতিক সরকার ছিল, নানা কারণ ছিল। কিন্তু এখন ভেবেছিলাম কিছুটা পরিবর্তন হবে। কিন্তু যে লাউ সেই কদু। নতুন সরকার কিছু পদক্ষেপ নিলেও এর সুফল আমরা পাচ্ছি না।

বিক্রেতারা বলছেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দর ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করে দেয়। সে হিসেবে প্রতি ডজনের দর দাঁড়ায় প্রায় ১৪৩ টাকা। যখন ডিমের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তখন প্রতি ডজন বিক্রি হতো ১৫০-১৫৫ টাকা দরে। যা এরপর আরও বেড়ে এখন ১৬৫ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ দাম বেঁধে দেওয়ার পর হালিতে আরও ১০ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম।

একই অবস্থা ব্রয়লার ও সোনালি জাতের মুরগির ক্ষেত্রেও। বাজারে যখন প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ১৭০ টাকা এবং সোনালি জাতের মুরগি ২৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছিল, তখন সরকার দাম বেঁধে দেয় প্রতি কেজি যথাক্রমে ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা ও ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা। এরপর কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে এসব মুরগির দাম। এখন বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, সোনালি জাতের মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়।

এছাড়া গরুর মাংসের কেজি বিভিন্ন ধরন ভেদে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০-৭৮০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখীর কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ১০০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

শীতকালীন সবজি শিমের কেজি ২৫০ টাকা। ফুলকপি প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা এবং গাজর ১৬০ টাকা। লেবুর হালি ২০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকায় এবং মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

লাল শাকের আঁটি ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, আদা ২৮০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা এবং আলু ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সরবরাহ বাড়লেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। আকারভেদে ইলিশের কেজি ৯০০ টাকা থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৩৩০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা এক হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৮০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে পাঁচ কেজি সয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মসুর ডালের কেজি ১৪০ টাকা, মিনিকেট চাল ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা, নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

বেঁধে দেয়া দামে মিলছে না ডিম-মুরগি

প্রকাশের সময় : ১২:৫২:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সপ্তাহজুড়ে দামের চোট ছিল ডিম ও মুরগির। এছাড়া পেঁয়াজের দাম দীর্ঘদিন ধরেই চড়া। এরমধ্যে ডিম ও মুরগির যৌক্তিক দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আর আলু ও পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে তারও দুই সপ্তাহ আগে। তবে এসবের প্রভাব নেই বাজারে। তাতে অসন্তুষ্ট সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর রামপুরা বাজারে মনির হোসেন নামের একজন ক্রেতা বলেন, আগেও বাজারে পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হতো, যা কার্যকর হতো না। তখন রাজনৈতিক সরকার ছিল, নানা কারণ ছিল। কিন্তু এখন ভেবেছিলাম কিছুটা পরিবর্তন হবে। কিন্তু যে লাউ সেই কদু। নতুন সরকার কিছু পদক্ষেপ নিলেও এর সুফল আমরা পাচ্ছি না।

বিক্রেতারা বলছেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দর ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করে দেয়। সে হিসেবে প্রতি ডজনের দর দাঁড়ায় প্রায় ১৪৩ টাকা। যখন ডিমের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তখন প্রতি ডজন বিক্রি হতো ১৫০-১৫৫ টাকা দরে। যা এরপর আরও বেড়ে এখন ১৬৫ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ দাম বেঁধে দেওয়ার পর হালিতে আরও ১০ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম।

একই অবস্থা ব্রয়লার ও সোনালি জাতের মুরগির ক্ষেত্রেও। বাজারে যখন প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ১৭০ টাকা এবং সোনালি জাতের মুরগি ২৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছিল, তখন সরকার দাম বেঁধে দেয় প্রতি কেজি যথাক্রমে ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা ও ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা। এরপর কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে এসব মুরগির দাম। এখন বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, সোনালি জাতের মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়।

এছাড়া গরুর মাংসের কেজি বিভিন্ন ধরন ভেদে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০-৭৮০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখীর কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ১০০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

শীতকালীন সবজি শিমের কেজি ২৫০ টাকা। ফুলকপি প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা এবং গাজর ১৬০ টাকা। লেবুর হালি ২০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকায় এবং মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

লাল শাকের আঁটি ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, আদা ২৮০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা এবং আলু ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সরবরাহ বাড়লেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। আকারভেদে ইলিশের কেজি ৯০০ টাকা থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৩৩০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা এক হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৮০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে পাঁচ কেজি সয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মসুর ডালের কেজি ১৪০ টাকা, মিনিকেট চাল ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা, নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।