Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৃহস্পতিবার ৯ দলের সমাবেশের আবেদন, পর্যালোচনার পর অনুমতি: ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীতে সমাবেশ করতে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ৯টি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আমরা আবেদন পেয়েছি তাদের সভা-সমাবেশের জন্য। পর্যালোচনা করে, কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কয়েকটি দলকে অনুমতি দেওয়া হবে।

বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে রাজধানীর লালবাগে হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় ডিএমপির পক্ষ থেকে নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মানুষের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, যারা অনুমতি পাবেন, রাজনৈতিক সমাবেশ করা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্তব্য।

এ সময় রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজধানী অচল না করতে পরামর্শ দেন তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার কর্মদিবস। সেদিন ঢাকাকে যানজটে নাকাল করে দেয়া যাবে না। রাজনৈতিক দলগুলো যাতে ভবিষ্যতে ওয়ার্কিং ডেতে না দিয়ে বন্ধের দিনগুলোতে কর্মসূচি দেয়।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ করবো, ওয়ার্কিং ডে-তে বিশাল বিশাল সমাবেশ করে ঢাকার মানুষকে থামিয়ে দেওয়া, লাখ লাখ মানুষকে রাস্তায় আটকে রাখার বিষয়টি বন্ধ করুন। ভবিষ্যতের এমন পরিকল্পনা পরিবর্তন করে বন্ধের দিনে নিয়ে যান।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আমি সব রাজনৈতিক দলকে বলবো আপনারা সমাবেশ করেন কিন্তু জনগণকে কষ্ট না দিয়ে। হয়তো ভবিষ্যতে এমন সময় আসবে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে আমাদের বাধ্য হয়ে এসব কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি লাঠিসোঁটা ও ব্যাগ নিয়ে সমাবেশে না আসার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সংঘাত-সহিংসতা করার উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা নিয়ে সমাবেশে আসবেন না। জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করবেন না। জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। বাধ্য হবো এসব কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে।

এর আগে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি পেয়ে শর্ত না মানা রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপারে ডিএমপির পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, শর্ত দেওয়া হয় যাতে বড় ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কিছু না ঘটে। কারণ, এসব কর্মসূচিতে অনেক ধরনের মানুষ আসে। নিরাপত্তার বিষয়টি তাই গুরুত্বপূর্ণ। জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে দায়টা ডিএমপির ওপরই বর্তাবে।

কোনো দল যদি শর্ত ভঙ্গ করতেই থাকে সেক্ষেত্রে সেই দল বা নেতার বিরুদ্ধে ডিএমপি কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে হাফিজ আক্তার বলেন, কোনো দল যদি অনবরত শর্ত ভঙ্গ করতেই থাকে সেক্ষেত্রে আইনগত কঠোরতা প্রয়োগের সুযোগ ডিএমপির আছে। সেটা ডিএমপি কমিশনার দেখবেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৃহস্পতিবার ৯ দলের সমাবেশের আবেদন, পর্যালোচনার পর অনুমতি: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশের সময় : ০১:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীতে সমাবেশ করতে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ৯টি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আমরা আবেদন পেয়েছি তাদের সভা-সমাবেশের জন্য। পর্যালোচনা করে, কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কয়েকটি দলকে অনুমতি দেওয়া হবে।

বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে রাজধানীর লালবাগে হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় ডিএমপির পক্ষ থেকে নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মানুষের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, যারা অনুমতি পাবেন, রাজনৈতিক সমাবেশ করা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্তব্য।

এ সময় রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজধানী অচল না করতে পরামর্শ দেন তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার কর্মদিবস। সেদিন ঢাকাকে যানজটে নাকাল করে দেয়া যাবে না। রাজনৈতিক দলগুলো যাতে ভবিষ্যতে ওয়ার্কিং ডেতে না দিয়ে বন্ধের দিনগুলোতে কর্মসূচি দেয়।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ করবো, ওয়ার্কিং ডে-তে বিশাল বিশাল সমাবেশ করে ঢাকার মানুষকে থামিয়ে দেওয়া, লাখ লাখ মানুষকে রাস্তায় আটকে রাখার বিষয়টি বন্ধ করুন। ভবিষ্যতের এমন পরিকল্পনা পরিবর্তন করে বন্ধের দিনে নিয়ে যান।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আমি সব রাজনৈতিক দলকে বলবো আপনারা সমাবেশ করেন কিন্তু জনগণকে কষ্ট না দিয়ে। হয়তো ভবিষ্যতে এমন সময় আসবে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে আমাদের বাধ্য হয়ে এসব কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি লাঠিসোঁটা ও ব্যাগ নিয়ে সমাবেশে না আসার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সংঘাত-সহিংসতা করার উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা নিয়ে সমাবেশে আসবেন না। জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করবেন না। জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। বাধ্য হবো এসব কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে।

এর আগে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি পেয়ে শর্ত না মানা রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপারে ডিএমপির পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, শর্ত দেওয়া হয় যাতে বড় ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কিছু না ঘটে। কারণ, এসব কর্মসূচিতে অনেক ধরনের মানুষ আসে। নিরাপত্তার বিষয়টি তাই গুরুত্বপূর্ণ। জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে দায়টা ডিএমপির ওপরই বর্তাবে।

কোনো দল যদি শর্ত ভঙ্গ করতেই থাকে সেক্ষেত্রে সেই দল বা নেতার বিরুদ্ধে ডিএমপি কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে হাফিজ আক্তার বলেন, কোনো দল যদি অনবরত শর্ত ভঙ্গ করতেই থাকে সেক্ষেত্রে আইনগত কঠোরতা প্রয়োগের সুযোগ ডিএমপির আছে। সেটা ডিএমপি কমিশনার দেখবেন।