নিজস্ব প্রতিবেদক :
সপ্তাহ ব্যবধানে বৃষ্টির অজুহাতে ফের চড়া রাজধানীর শাক-সবজির বাজার। গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে কাঁচামরিচ কেজিতে ২০০ টাকা বেড়ে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছও।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামরিচের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, প্রতিটি লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটোর কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়, ইন্ডিয়ান গাজর ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, দেশি শসা ৮০ টাকা এবং হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। লেবুর হালি ১৫ থেকে ৩০ টাকা, ধনে পাতা ৩৫০ টাকা কেজি, কাঁচকলা হালি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস, ক্যাপসিকাম ৪০০ টাকা, কাঁকরোলের কেজি ১০০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, শিম ২০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি দরে এবং ফুল কপি ছোট আকারের ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিসে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে লাল শাক ২০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, কলমি শাক দুেই আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাটা শাক দুই আঁটি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, বাজারের পেঁয়াজের দাম আগের মতোই রয়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে পাড়া-মহল্লায় এ দাম আরও অন্তত ৫ টাকা বেশি।
বাজারে বেড়েছে মুরগির দামও। কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। আর প্রতিকেজি সোনালি মুরগির ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৬০-৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২১০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ১১০ টাকা এবং সোনালি কক মুরগির ডিম হালি ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নদীতে ধরা এবং বিক্রির বন্ধের ঘোষণায় চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। বাজারগুলোতে এক কেজি ওজনের ইলিশ কেজিতে ২০০ টাকা বেড়ে ২৩০০ থেকে ২৫০০ টাকা এবং ৭০০ গ্রামের ইলিশ ২১০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশ ১৫০০ টাকা, ৩০০ গ্রামের ইলিশ ১১০০ টাকা এবং ১৫০ থেকে ২০০ গ্রামের মাছ ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে এক কেজি চাষের শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, দেশি শিং ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায় এবং পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। খোলা সয়াবিন ও পামওয়েল তেলের দাম লিটারে বেড়েছে ৫ টাকা।
জানা গেছে, সম্প্রতি সয়াবিন তেলে দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব সরকার মেনে নেয়নি। সে কারণে এখন বাজারে তৈরি হয়েছে এই অস্থিরতা। বাজারে খোলা সয়াবিন ও সুপার পাম অয়েলের দাম বেড়েছে। এই দুই ধরনের তেলের দাম বেড়েছে লিটারে পাঁচ টাকার মতো।
বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭২ টাকা। সুপার পাম অয়েলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা থেকে ১৬০ টাকা দরে।
বাজারে এখন নাজিরশাইল চাল ৮৪ থেকে ৮৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহেও তা ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। মোটা চালের মধ্যে পায়জাম ও স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকায়, যা কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা কমেছে। তবে মিনিকেট চাল আগের দামেই ৭৮ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 





















