স্পোর্টস ডেস্ক :
৩৫ দিন আগে দুবাইয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন মারুফ মৃধা। ভারতীয় যুবাদের ১৮৮ রানে অলআউট করে সেই রানটা ৪ উইকেট ও ৪৩ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। পরে এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়নও হয় যুবারা। ৩৫ দিন পর আবারও সেই ভারতকে সামনে পেয়ে জ্বলে উঠলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বাঁহাতি পেসার মারুফ। এবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে যুব ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেছেন মারুফ।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন আদার্শ সিং। ৮ ওভারে এক মেইডেনসহ ৪৩ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট শিকার করেন মারুফ মৃধা। জবাবে খেলতে নেমে ৪৫ ওভার ৫ বলে ১৬৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেছেন শিহাব জেমস। এবার যুব বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলাদেশকে হারিয়ে সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারতের যুবারা। ৮৪ রানের হারে বিশ্বকাপ শুরু করলো বাংলাদেশ।
ব্লুমফন্টেইনে বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল ২৫২ রানের। ৫০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে যুবা টাইগাররা।
পঞ্চম উইকেটে আরিফুল ইসলাম আর মোহাম্মদ শিহাব জেমসের ৭৭ রানের জুটিতে লড়াইয়ে ফিরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আরিফুল ৪১ করে ফেরার পর অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বিও ৪ করে ফিরলে সব আশা ভরসা শেষ হয়ে যায়।
জেমস (৫৪) ফিফটি করেছেন, কিন্তু দলের কাজে আসেনি। ৪৫.৫ ওভারে ১৬৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
ভারতের সৌমি পান্ডে ২৪ রান খরচায় নেন ৪টি উইকেট। দুটি উইকেট শিকার মুশির খানের।
এর আগে ভারতকে অল্প রানে আটকে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ দলপতি প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তবে ওপেনার আদর্শ সিং আর অধিনায়ক উদয় সাহারানের ফিফটিতে ৭ উইকেটে ২৫১ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজিই গড়ে ফেলে ভারত।
অথচ টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বেশ চাপেই ছিল ভারত। পেসার মারুফ মৃধার তোপে ৩১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসেছিল তারা। সেখান থেকে আদর্শ আর উদয়ের ১১৬ রানের বড় জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত।
৭৬ করে আদর্শ সিং ফিরলে ভাঙে এই জুটি। উদয় আউট হন ৬৪ রানে। এরপর প্রিয়াংশু মলিয়ার ২৩, আরাভেলি আভানিশের ২৩ আর শচিন দাসের শেষদিকে ২০ বলে অপরাজিত ২৬ রানে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় ভারত।
বাংলাদেশি পেসার মারুফ মৃধা ৮ ওভার বল করে ৪৩ রান খরচায় একাই নেন ৫টি উইকেট। একটি করে উইকেট শিকার মোহাম্মদ রিজওয়ান আর মাহফুজুর রহমান রাব্বির।
স্পোর্টস ডেস্ক 























