Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বুসানে পুরস্কার জিতল বাংলাদেশের ‘বলী’

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:২৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৯০ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

ওটিটি মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করেছেন নাসির উদ্দিন খান। এরপর ঘাটি করেছেন চলচ্চিত্রে। ‘প্রহেলিকা’ ছবিতে তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে। এবার তার অভিনীত সিনেমা ‘বলী’ (দ্য রেসলার) জিতে নিয়েছে ২৮তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের নিউ কারেন্টস বিভাগে পুরস্কার।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সকালে বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর নাম। নিউ কারেন্টস বিভাগে পুরস্কারজয়ী সিনেমাগুলোর তালিকায় রয়েছে ‘বলী’। বাংলাদেশি সিনেমার মধ্যে এ ছবি-ই সর্বপ্রথম পুরস্কারটি পেল।

এদিকে একই বিভাগে পুরস্কার জিতেছে জাপানের ‘মোরি তাতসুয়া’ নামের একটি সিনেমা। পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোকে দেওয়া হয়েছে ৩০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৩ লাখ ৭ হাজার টাকার বেশি। শুক্রবার পর্দা নেমেছে বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের। সমাপনীর দিন-ই প্রকাশ করা হয়েছে পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের নাম।

‘বলী (দ্য রেসলার)’ সাগরপাড়ের গল্প। সাগরের মতোই সিনেমার মূলত: দুই রূপ। একটি খুবই শান্ত, রহস্যময়। আরেকটি খুবই নিষ্ঠুর, বিধ্বংসী রুপ।

বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবকে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ও মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব বলে বিবেচনা করা হয়। এ উৎসবে আলোচনায় থাকে প্রতিযোগিতামূলক শাখা নিউ কারেন্টস বিভাগ। প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমার নির্মাতারা এই শাখায় সিনেমা জমা দেওয়ার সুযোগ পান। এর মধ্য দিয়ে উৎসবে এশিয়ার তরুণ নির্মাতাদের আলাদা জায়গা করে দেওয়া হয়। যার জন্য এ উৎসব আলাদা ও বৈচিত্র্যপূর্ণ। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি কোনো সিনেমা এ পুরস্কার লাভ করলো।

২০২০-২১ অর্থ বছরে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানের সিনেমা ‘বলী (দ্য রেসলার)’। সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান। সাগর পাড়ের এক খ্যাপাটে জেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমাটির শুটিং হয়েছে চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায়। চলতি বছরের শেষের দিকে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে আসতে পারে।

বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ৭, ৮ ও ৯ অক্টোবর ছিল সিনেমাটির প্রদর্শনী। প্রতিটি প্রদর্শনী শেষেই দর্শকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে ‘বলী’ টিমকে। সেসব প্রশ্নে উঠে আসে বলীখেলা নিয়ে কোরীয় দর্শকদের আগ্রহের কথা।

বুসানকে বড় ও মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব বলে বিবেচনা করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার মিনিস্ট্রি অব কালচার স্পোর্টস অ্যান্ড ট্যুরিজমের সহযোগিতায় ও বুসান সিটি এবং কোরিয়ান ফিল্ম কাউন্সিলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হওয়া উৎসবটি ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ক্যালন্ডারে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।

‘বলী’ ছাড়াও বিপ্লব সরকারের ‘আগন্তুক’ এবং মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘অটোবায়োগ্রাফি’ নামের আরও দুটি চলচ্চিত্র অংশ নিয়েছিল বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে। এ বছর বুসানের ২৮তম আসর বসেছিল। এশিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব বলে বিবেচনা করা হয় বুসান চলচ্চিত্র উৎসবকে।

গত ৪ অক্টোবর শুরু হয় ১০ দিনের বুসান চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের অফিসিয়াল সিলেকশনে স্থান পেয়েছে ৬৯টি দেশের ২০৯টি চলচ্চিত্র। উৎসবের বিভাগগুলো হলো– গালা প্রেজেন্টেশন, আইকনস, জিসোক, অ্যা উইন্ডো অন এশিয়ান সিনেমা, নিউ কারেন্টস, কোরিয়ান সিনেমা টুডে, ওয়ার্ল্ড সিনেমা, ফ্ল্যাশ ফরওয়ার্ড, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, ওপেন সিনেমা, মিডনাইট প্যাশন, অন স্ক্রিন, স্পেশাল প্রোগ্রাম ইন ফোকাস এবং স্পেশাল স্ক্রিনিং।

ইন্দোনেশিয়ার ৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র, ৫টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও ১টি ওয়েব সিরিজ নিয়ে এবার রাখা হয়েছে বিশেষ শাখা ‘রেনেসাঁ অব ইন্দোনেশিয়ান সিনেমা’। অফিসিয়াল সিলেকশনের সঙ্গে দেখানো হয়েছে কমিউনিটি বিআইএফএফ-এর ৬০টি ছবি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বুসানে পুরস্কার জিতল বাংলাদেশের ‘বলী’

প্রকাশের সময় : ০৭:২৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : 

ওটিটি মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করেছেন নাসির উদ্দিন খান। এরপর ঘাটি করেছেন চলচ্চিত্রে। ‘প্রহেলিকা’ ছবিতে তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে। এবার তার অভিনীত সিনেমা ‘বলী’ (দ্য রেসলার) জিতে নিয়েছে ২৮তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের নিউ কারেন্টস বিভাগে পুরস্কার।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সকালে বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর নাম। নিউ কারেন্টস বিভাগে পুরস্কারজয়ী সিনেমাগুলোর তালিকায় রয়েছে ‘বলী’। বাংলাদেশি সিনেমার মধ্যে এ ছবি-ই সর্বপ্রথম পুরস্কারটি পেল।

এদিকে একই বিভাগে পুরস্কার জিতেছে জাপানের ‘মোরি তাতসুয়া’ নামের একটি সিনেমা। পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোকে দেওয়া হয়েছে ৩০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৩ লাখ ৭ হাজার টাকার বেশি। শুক্রবার পর্দা নেমেছে বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের। সমাপনীর দিন-ই প্রকাশ করা হয়েছে পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের নাম।

‘বলী (দ্য রেসলার)’ সাগরপাড়ের গল্প। সাগরের মতোই সিনেমার মূলত: দুই রূপ। একটি খুবই শান্ত, রহস্যময়। আরেকটি খুবই নিষ্ঠুর, বিধ্বংসী রুপ।

বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবকে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ও মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব বলে বিবেচনা করা হয়। এ উৎসবে আলোচনায় থাকে প্রতিযোগিতামূলক শাখা নিউ কারেন্টস বিভাগ। প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমার নির্মাতারা এই শাখায় সিনেমা জমা দেওয়ার সুযোগ পান। এর মধ্য দিয়ে উৎসবে এশিয়ার তরুণ নির্মাতাদের আলাদা জায়গা করে দেওয়া হয়। যার জন্য এ উৎসব আলাদা ও বৈচিত্র্যপূর্ণ। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি কোনো সিনেমা এ পুরস্কার লাভ করলো।

২০২০-২১ অর্থ বছরে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানের সিনেমা ‘বলী (দ্য রেসলার)’। সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান। সাগর পাড়ের এক খ্যাপাটে জেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমাটির শুটিং হয়েছে চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায়। চলতি বছরের শেষের দিকে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে আসতে পারে।

বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ৭, ৮ ও ৯ অক্টোবর ছিল সিনেমাটির প্রদর্শনী। প্রতিটি প্রদর্শনী শেষেই দর্শকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে ‘বলী’ টিমকে। সেসব প্রশ্নে উঠে আসে বলীখেলা নিয়ে কোরীয় দর্শকদের আগ্রহের কথা।

বুসানকে বড় ও মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব বলে বিবেচনা করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার মিনিস্ট্রি অব কালচার স্পোর্টস অ্যান্ড ট্যুরিজমের সহযোগিতায় ও বুসান সিটি এবং কোরিয়ান ফিল্ম কাউন্সিলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হওয়া উৎসবটি ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ক্যালন্ডারে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।

‘বলী’ ছাড়াও বিপ্লব সরকারের ‘আগন্তুক’ এবং মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘অটোবায়োগ্রাফি’ নামের আরও দুটি চলচ্চিত্র অংশ নিয়েছিল বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে। এ বছর বুসানের ২৮তম আসর বসেছিল। এশিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব বলে বিবেচনা করা হয় বুসান চলচ্চিত্র উৎসবকে।

গত ৪ অক্টোবর শুরু হয় ১০ দিনের বুসান চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের অফিসিয়াল সিলেকশনে স্থান পেয়েছে ৬৯টি দেশের ২০৯টি চলচ্চিত্র। উৎসবের বিভাগগুলো হলো– গালা প্রেজেন্টেশন, আইকনস, জিসোক, অ্যা উইন্ডো অন এশিয়ান সিনেমা, নিউ কারেন্টস, কোরিয়ান সিনেমা টুডে, ওয়ার্ল্ড সিনেমা, ফ্ল্যাশ ফরওয়ার্ড, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, ওপেন সিনেমা, মিডনাইট প্যাশন, অন স্ক্রিন, স্পেশাল প্রোগ্রাম ইন ফোকাস এবং স্পেশাল স্ক্রিনিং।

ইন্দোনেশিয়ার ৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র, ৫টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও ১টি ওয়েব সিরিজ নিয়ে এবার রাখা হয়েছে বিশেষ শাখা ‘রেনেসাঁ অব ইন্দোনেশিয়ান সিনেমা’। অফিসিয়াল সিলেকশনের সঙ্গে দেখানো হয়েছে কমিউনিটি বিআইএফএফ-এর ৬০টি ছবি।