Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বুশরা বিবিকে আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইমরান খানে স্ত্রী বুশরা বিবি গত কয়েক মাস ধরে গৃহবন্দি। অন্যদিকে আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খান। তাই স্বামী যে কারাগারে আছেন সেখানে তাকে স্থানান্তরের আবেদন করেছিলেন বুশরা বিবি। আদালত এবার তার পক্ষেই রায় দিয়েছেন। অর্থাৎ নিজেদের বাসভবন বানিগালা থেকে আদিয়ালা কারাগারে তাকে স্থানান্তরের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৮ মে) ইসলামাবাদের হাইকোর্ট এই আদেশ দেন।

ইসলামাবাদ হাইকোর্টে করা আবেদনে বুশরা বিবি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তার গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং বাড়ির কারাকক্ষে দূষিত খাবার পরিবেশনের অভিযোগ করেছিলেন। তিনি ও তার আইনজীবীরা বলেছেন, তার বাড়িতে নিরাপত্তা বাহিনী ও কারাগারের পুরুষ কর্মীদের উপস্থিতি বেশি। এতে তার গোপনীয়তা লঙ্ঘন হচ্ছে। তবে দেশটির কারাগারের কর্মীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের উপহারসামগ্রী বিক্রির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে বুশরা ও ইমরান দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করে দেশটির আদালত। এরপর থেকে ইসলামাবাদে ইমরান খানের বাসভবনের একটি কক্ষে বুশরা বিবিকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়।

ইসলামাবাদের প্রশাসনের স্থানীয় কর্মকর্তা আফহাল আহমাদ বলেছেন, আইনজীবীদের মাধ্যমে বুশরা বিবি তাকে কারাগারে স্থানান্তরের আবেদন করেছিলেন। আদালত তার আবেদন মঞ্জুরের কিছুক্ষণ পরই তাকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে।

আদালত বুশরা বিবিকে রাওয়াল পিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়। বুশরা বিবির স্বামী ও ৭০ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বর্তমানে ওই কারাগারে ১৪ বছরের সাজা ভোগ করছেন।

এর আগে ২ মে এ বিষয়ে শুনানি হয়। তবে ওই দিন রায় দেয়নি আদালত। এদিন তাকে কারাগারে স্থানান্তরের রায় দেন বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব।

একই সঙ্গে এত দিন যে বানিগালাকে সাব-জেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তাও বাতিল করেছেন আদালত।

তোশাখানা মামলায় সাজা হওয়ার পর ৩১ জানুয়ারি থেকে বানিগালায় গৃহবন্দি করে রাখা হয় ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে। এরপর বাসভনটিকে সাব-জেল ঘোষণা করা হয়।

সাইফার মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়ার পরদিনই বড় দুঃসংবাদ পান পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কারণ তোশাখানা মামলায় তাকে ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি আদালত।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বুশরা বিবিকে আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর

প্রকাশের সময় : ০৪:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইমরান খানে স্ত্রী বুশরা বিবি গত কয়েক মাস ধরে গৃহবন্দি। অন্যদিকে আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খান। তাই স্বামী যে কারাগারে আছেন সেখানে তাকে স্থানান্তরের আবেদন করেছিলেন বুশরা বিবি। আদালত এবার তার পক্ষেই রায় দিয়েছেন। অর্থাৎ নিজেদের বাসভবন বানিগালা থেকে আদিয়ালা কারাগারে তাকে স্থানান্তরের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৮ মে) ইসলামাবাদের হাইকোর্ট এই আদেশ দেন।

ইসলামাবাদ হাইকোর্টে করা আবেদনে বুশরা বিবি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তার গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং বাড়ির কারাকক্ষে দূষিত খাবার পরিবেশনের অভিযোগ করেছিলেন। তিনি ও তার আইনজীবীরা বলেছেন, তার বাড়িতে নিরাপত্তা বাহিনী ও কারাগারের পুরুষ কর্মীদের উপস্থিতি বেশি। এতে তার গোপনীয়তা লঙ্ঘন হচ্ছে। তবে দেশটির কারাগারের কর্মীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের উপহারসামগ্রী বিক্রির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে বুশরা ও ইমরান দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করে দেশটির আদালত। এরপর থেকে ইসলামাবাদে ইমরান খানের বাসভবনের একটি কক্ষে বুশরা বিবিকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়।

ইসলামাবাদের প্রশাসনের স্থানীয় কর্মকর্তা আফহাল আহমাদ বলেছেন, আইনজীবীদের মাধ্যমে বুশরা বিবি তাকে কারাগারে স্থানান্তরের আবেদন করেছিলেন। আদালত তার আবেদন মঞ্জুরের কিছুক্ষণ পরই তাকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে।

আদালত বুশরা বিবিকে রাওয়াল পিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়। বুশরা বিবির স্বামী ও ৭০ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বর্তমানে ওই কারাগারে ১৪ বছরের সাজা ভোগ করছেন।

এর আগে ২ মে এ বিষয়ে শুনানি হয়। তবে ওই দিন রায় দেয়নি আদালত। এদিন তাকে কারাগারে স্থানান্তরের রায় দেন বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব।

একই সঙ্গে এত দিন যে বানিগালাকে সাব-জেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তাও বাতিল করেছেন আদালত।

তোশাখানা মামলায় সাজা হওয়ার পর ৩১ জানুয়ারি থেকে বানিগালায় গৃহবন্দি করে রাখা হয় ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে। এরপর বাসভনটিকে সাব-জেল ঘোষণা করা হয়।

সাইফার মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়ার পরদিনই বড় দুঃসংবাদ পান পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কারণ তোশাখানা মামলায় তাকে ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি আদালত।