বিয়ে করতে এসেছেন বর। কনে পক্ষ প্রস্তুতিও সম্পন্ন। ইসলামী শরিয়ত মতে বিয়ে সম্পন্ন। খাওয়া-দাওয়া শেষে নববধূকে নিয়ে যাবেন বর। কিন্তু বিপত্তি বাঁধলো বিয়েতে পাওয়া উপহার সামগ্রী নিয়ে। শুরু হলো ঝগড়া। সেটা এতটাই বেড়ে যায় যে শেষ পর্যন্ত বিয়ের আসরেই নববধূকে তালাক দেন বর।

জানা গেছে, রাজশাহীর বাগমারায় জেসমিন আক্তার (২৩) ও মহসিন আলীর (২৮) বিয়ে হয় গত শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে। নববধূকে নিয়ে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বরপক্ষ। কিন্তু এর মধ্যেই বাধে বিপত্তি। বিয়েতে অতিথিদের দেওয়া উপহারসামগ্রী ভাগাভাগি নিয়ে বর ও কনেপক্ষের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে পড়ে যে, বিয়ের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার উপজেলার তেলিপুকুর গাঙ্গোপাড়া গ্রামের মহসিন আলীর সঙ্গে একই উপজেলার ইসমাইলপুর গ্রামের জেসমিন আক্তারের এক লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়। তবে নতুন বউকে বরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময়ই বিপত্তি বাঁধে।

উপহারসামগ্রীর বণ্টন নিয়ে প্রথমে মনোমালিন্য ও পরে ঝগড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ অবস্থা। বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মাধ্যমে থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। পরে উভয়পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে বর-কনের বিয়েবিচ্ছেদ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন : ৩০ বছরের সংসার : দম্পতির মৃত্যু হাতে হাত রেখে

নিকাহ রেজিস্ট্রার আক্কাছ আলী বলেন, একই আসরে বিয়ের কয়েক ঘণ্টা পরই বিয়েবিচ্ছেদের ঘটনা দুঃখজনক।

কনের পরিবারের অভিযোগ, উপহারসামগ্রী নিয়ে যে শর্ত ছিল, বিয়ের আসরে তা পালন করেনি বরপক্ষ। বরপক্ষ কাজটি ঠিক করেনি বলে কনের প্রতিবেশীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বরপক্ষের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে বরের প্রতিবেশী ও সাবেক ইউপি সদস্য আজাহার আলী বলেন, উভয় পক্ষের উচিত ছিল একটু শান্ত হওয়া। এমন ঘটনা কারোই কাম্য নয়।

বাগমারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে বিচ্ছেদ হয়েছে। এ কারণে ঘটনা আর সামনে গড়ায়নি।