নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ফি ৭০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০ টাকা নির্ধারণ করছে সরকার। সেইসঙ্গে সব সরকারি চাকরির আবেদন ফি ২০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ নিয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হতে যাচ্ছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সচিব কমিটির সভা শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান এ কথা জানান।
সিনিয়র সচিব জানান, সরকারি, আধা সরকারি, ব্যাংক এবং বীমা প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদনে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত নিতে পারবে। বিসিএস ভাইভা ২০০ নম্বরের জায়গায় ১০০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।
এক সপ্তাহের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান তিনি।
সিনিয়র সচিব বলেন, বিসিএসে পিএসসিতে আবেদনের ক্ষেত্রে আগে ছিল ৭০০ টাকা, তারা (পিএসসি) প্রস্তাব করেছে ৩৫০ টাকা। কিন্তু আজকে সচিব কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এটা হবে ২০০ টাকা। পিএসসিতে ৪৭তম বিসিএসে আবেদন করতে হলে ২০০ টাকা লাগবে।
বিসিএসে প্রতিবন্ধী আবেদনকারীদের অন্যান্যদের মত নির্ধারিত ফির বাইরে বাড়তি কোনো অর্থ দিতে হবে না বলেও জানান তিনি।
আরেকটি বিষয় ছিল আমরা মনে করেছিলাম এটা কম কিন্তু এটা কম নয়- যারা প্রতিবন্ধী প্রার্থী তাদের আলাদা একটা ফি ছিল সেটা ১০০ টাকা। এটাকে কমিয়ে ৫০ টাকা করার প্রস্তাব এসেছিল। ৫০ টাকা মানে কি, তারা যে টাকা (অন্যান্যদের মতো ফি) দিত সেটার অতিরিক্ত এই টাকা দিত, তাদের জন্য স্পেশাল অ্যারেঞ্জমেন্ট। আজকে থেকে এই অতিরিক্ত টাকাটাও দেওয়া লাগবে না। এটা ফ্ল্যাট রেট এই ৪৭তম বিসিএস থেকে যেই বিসিএসে অ্যাপ্লাই করবে ২০০ টাকা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ সচিব বলেন, আগে প্রতিবন্ধীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা বেশি নেওয়া হতো। এখন তাদের অন্যদের মত শুধু ২০০ টাকা ফি দিতে হবে।
বিসিএসে চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের ফি কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন থেকে আদেশ জারি করা হবে উল্লেখ করে মোখলেস উর রহমান বলেন, অর্থ বিভাগের মাধ্যমে আরেকটি আদেশ জারি হচ্ছে। সেটি হচ্ছে- ব্যাংক, বীমা, আধাসরকারি যেটাকে আমরা বলি এক্সটেনশন অব দি গভার্নমেন্ট, এমন যে কোনো প্রতিষ্ঠানের চাকরির আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা। এখন অনেক ব্যাংক-বীমাতে এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে এক হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকাও আবেদন ফি নিয়ে থাকে! চাকরি হয় দুজনের হয়তো ২০০ লোক আবেদন করে, আমি আর হাজারে গেলাম না।
তিনি বলেন, সরকারি, আধাসরকারি বা এক্সটেনশন অব গভর্নমেন্ট বলতে যা বোঝায় ২০০ টাকার বেশি কোনো আবেদন ফি নেওয়া হবে না। এই আদেশ অর্থ বিভাগ থেকে জারি হবে। এখন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন আদেশের অপেক্ষা। আমরা অর্থ বিভাগের চিঠিতে একটি লাইনের অনুরোধ দিয়ে দেব, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও যাতে এই অনুশাসনটা মেনে চলার চেষ্টা করে।