নিজস্ব প্রতিবেদক :
দলের সেরা তারকা মার্তা নেই। সামনে বিশ্ব ফুটবলের সেরা দল। স্পেনের কাছে তো আছে বিশ্বকাপের মুকুটটাই। এরপরেও ব্রাজিলের সমস্যাই হলো না। বরং নারী ফুটবলের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনকে এক হালি গোল দিয়েছে সেলেসাও মেয়েরা। আর এমন দাপুটে জয়ের ফলে ১৬ বছর পর অলিম্পিকের নারী ফুটবলের ইভেন্টের ফাইনালে চলে গেল ব্রাজিল। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে অপেক্ষা করছে চারবারের অলিম্পিক সোনাজয়ী দল যুক্তরাষ্ট্র।
স্পেনের মেয়েরা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরও। সেই স্পেনকে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাতে ৪-২ গোলে হারিয়ে প্যারিস অলিম্পিকে মেয়েদের ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল। ২০০৮ সালের পর এবারই ফাইনালের গ্র্যান্ড স্টেজে থাকছে ব্রাজিলের মেয়েরা। সেটাও দলের সেরা তারকা মার্তাকে ছাড়া। যদিও ফাইনালে তাকে পাওয়া যাবে। কার্ড নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে তার।
স্পেনের বিপক্ষে এই ম্যাচে শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল খেলেছে ব্রাজিলের মেয়েরা। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে আত্মঘাতী গোল এগিয়ে দেয় ব্রাজিলকে। স্প্যানিশ ফুটবলার ইরিনি পারদেসের গায়ে লেগে বল জালে জড়ালে লিড পায় ব্রাজিল।
আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান ২-০ করে প্রথমার্ধ শেষ করে ব্রাজিলের মেয়েরা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে দলের হয়ে ব্যবধান বাড়ান গাবি পোর্তিলহো। ২ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর ম্যাচের ৭৩ মিনিটে ফের এগিয়ে যায় ব্রাজিল।
৭৩ মিনিটে আদ্রিয়ানার গোলে স্কোরলাইন ৩-০ হওয়ার পর এক গোলের দেখা পায় স্পেন। ৮৫ মিনিটে সালমা পারালুয়েলো গোল করে স্পেনকে কিছুটা আশা দিলেও শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচে ফেরা হয়নি স্প্যানিশ মেয়েদের। ম্যাচের যোগ করা সময়ে আরও একবার জালের দেখা পেয়ে যায় ব্রাজিল। এরপর স্পেনও আরও একটি গোল করতে পারলেও শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ব্রাজিল।
শনিবার (১০ আগস্ট) স্বর্ণপদকের লড়াইয়ে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র। অলিম্পিক গেমসে এ নিয়ে তৃতীয় ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে সেলেকাওরা। তাদের সামনে এখন প্রথম স্বর্ণপদক জয়ের আরেকটা সুযাগ। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ফাইনালটা তাদের জন্য প্রতিশোধের উপলক্ষও বটে।
এর আগে দুবারই ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েদের কাছে হেরেছিল ব্রাজিল। ২০০৪ ও ২০০৮ অলিম্পিকের ফাইনালে সেলেকাওদের হারিয়ে স্বর্ণপদক জিতেছিল যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিযোগিতার এই ইভেন্ট থেকে মোট চারটি স্বর্ণপদকের স্বাদ পেয়েছে দেশটি। ব্রাজিলের দুটি ফাইনালেই মাঠে ছিলেন কিংবদন্তি ফুটবলার মার্তা।
এবার শেষবারের মতো অলিম্পিক খেলতে এসেছেন ৩৮ বছর বয়সী মার্তা। অথচ গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। পাশাপাশি পরের দুই ম্যাচে নিষিদ্ধ হয়েছেন মার্তা। সবকিছু ঠিক থাকলে ফাইনালে ফিরছেন তিনি। স্বর্ণপদক জিতে অবসরে যাওয়ার স্বপ্ন তার।