Dhaka রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব ইজতেমা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী বছর তাবলিগ জামাতের দুইপক্ষের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

রোববার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তাবলিগের বিবদমান দুইপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের আগে তাবলিগ জামাতের ইজতেমা হচ্ছে না। নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হবে। সে ক্ষেত্রে রমজানের আগে আর ইজতেমা হবে না। রমজানের পর ইজতেমা হতে পারে।

উপদেষ্টা বলেন, তাবলিগের উভয় গ্রুপ এ ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে তারা বসে ইজতেমার তারিখ ঠিক করবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তবে দুই পক্ষের ইজতেমা একসঙ্গে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আলাদা আলাদাভাবেই হবে।

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। সে ব্যাপারে তারা ভাবছেন না। নির্বাচনের আমেজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উপদেষ্টা বলেন, ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করতে হয়। কিন্তু নির্বাচনের আগে এত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে মোতায়েন করা সম্ভব না। এ জন্য উভয় গ্রুপ নির্বাচনের পরে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানের বিষয়ে একমত পোষণ করেছে।

ঈদুল ফিতরের পর উভয় পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে কোন পক্ষ আগে করবে এবং কোন পক্ষ পরে করবে, সেটিও বৈঠকে নির্ধারণ করা হবে। তবে বিশ্ব ইজতেমা একটি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিশ্ব ইজতেমা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০১:৪৬:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী বছর তাবলিগ জামাতের দুইপক্ষের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

রোববার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তাবলিগের বিবদমান দুইপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের আগে তাবলিগ জামাতের ইজতেমা হচ্ছে না। নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হবে। সে ক্ষেত্রে রমজানের আগে আর ইজতেমা হবে না। রমজানের পর ইজতেমা হতে পারে।

উপদেষ্টা বলেন, তাবলিগের উভয় গ্রুপ এ ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে তারা বসে ইজতেমার তারিখ ঠিক করবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তবে দুই পক্ষের ইজতেমা একসঙ্গে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আলাদা আলাদাভাবেই হবে।

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। সে ব্যাপারে তারা ভাবছেন না। নির্বাচনের আমেজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উপদেষ্টা বলেন, ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করতে হয়। কিন্তু নির্বাচনের আগে এত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে মোতায়েন করা সম্ভব না। এ জন্য উভয় গ্রুপ নির্বাচনের পরে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানের বিষয়ে একমত পোষণ করেছে।

ঈদুল ফিতরের পর উভয় পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে কোন পক্ষ আগে করবে এবং কোন পক্ষ পরে করবে, সেটিও বৈঠকে নির্ধারণ করা হবে। তবে বিশ্ব ইজতেমা একটি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি উপস্থিত ছিলেন।