Dhaka রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি, দ্বিতীয় পর্ব ৭ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিতব্য ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা দুই দফায় আয়োজিত হবে। প্রথম পর্ব শুরু হবে ৩১ জানুয়ারি এবং চলবে ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ৭, ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি।

সোমবার (৪ নভেম্বর) তাবলিগ জামাত নিয়ে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার সূচি ও অন্য বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠিত এক সভায় এই কথা বলেন তিনি।

বৈঠকে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারিরা অংশ নিলেও মাওলানা জুবায়েরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হননি।

তবে কে, কোন তারিখ পাচ্ছেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বিশ্ব ইজতেমার মাঠ হস্তান্তর ও প্রস্তুতি, নিরাপত্তা, বিদেশি অতিথিদের ভিসা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ, ভাসমান ব্রিজ নির্মাণ, জরুরি দুর্যোগে ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ব্যবস্থা, আখেরি মোনাজাতের দিন যানজট নিরসনসহ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

প্রতি বছরই বিশ্ব ইজতেমা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মুসলিম জমায়েত হিসেবে পরিচিত। লাখ লাখ মুসলিম ইবাদত-বন্দেগি, দোয়া এবং ধর্মীয় আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে সমবেত হন। বিশ্ব ইজতেমার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এই বছর ইজতেমাকে দুই দফায় বিভক্ত করা হয়েছে, যা অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা ও সুবিধার জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে।

ইজতেমার প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, এ বিশাল ধর্মীয় জমায়েত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বৈঠক সূত্র জানা গেছে, যেহেতু তাবলিগের দুই গ্রুপের মধ্যে মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের গ্রুপ সভায় উপস্থিত হয়নি সেহেতু প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমায় কারা আগে মাঠ পাবেন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এর আগে প্রতি বছরে মাওলানা জুবায়ের আহমেদ গ্রুপ প্রথম ধাপে মাঠ পেয়ে আসছেন। কিন্তু মাওলানা সাদ কান্ধলভীর গ্রুপ একাধিকবার প্রথম ধাপের ইজতেমায় মাঠের আবেদন করলেও তাদের মাঠ দেওয়া হয়নি।

এছাড়া জরুরি দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, মুসল্লিদের জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা, অস্থায়ী দোকানপাট ব্যবস্থাপনা, বস্তি ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ইজতেমাস্থলে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিক্রয় মনিটরিং, মাইক সম্প্রসারণ, সিনেমার অশ্লীল পোস্টার অপসারণ, আখেরি মোনাজাতের দিন যানজট নিরসনে ব্যবস্থাসহ বেশকিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

ঢাকা থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশাল ময়দানে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা ১৯৬৭ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

তাবলিগের একাংশের মুরুব্বি ও ভারতের মাওলানা সাদের কিছু বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে দুই পক্ষ দুই পর্বে ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন।

একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারীরা, অপরটির নেতৃত্বে আছেন আলমী শুরাপন্থি বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কারের ভবিষ্যৎ পরবর্তী সংসদের হাতে ছেড়ে দেব না : নাহিদ ইসলাম

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি, দ্বিতীয় পর্ব ৭ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশের সময় : ০১:১৯:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিতব্য ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা দুই দফায় আয়োজিত হবে। প্রথম পর্ব শুরু হবে ৩১ জানুয়ারি এবং চলবে ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ৭, ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি।

সোমবার (৪ নভেম্বর) তাবলিগ জামাত নিয়ে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার সূচি ও অন্য বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠিত এক সভায় এই কথা বলেন তিনি।

বৈঠকে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারিরা অংশ নিলেও মাওলানা জুবায়েরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হননি।

তবে কে, কোন তারিখ পাচ্ছেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বিশ্ব ইজতেমার মাঠ হস্তান্তর ও প্রস্তুতি, নিরাপত্তা, বিদেশি অতিথিদের ভিসা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ, ভাসমান ব্রিজ নির্মাণ, জরুরি দুর্যোগে ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ব্যবস্থা, আখেরি মোনাজাতের দিন যানজট নিরসনসহ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

প্রতি বছরই বিশ্ব ইজতেমা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মুসলিম জমায়েত হিসেবে পরিচিত। লাখ লাখ মুসলিম ইবাদত-বন্দেগি, দোয়া এবং ধর্মীয় আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে সমবেত হন। বিশ্ব ইজতেমার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এই বছর ইজতেমাকে দুই দফায় বিভক্ত করা হয়েছে, যা অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা ও সুবিধার জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে।

ইজতেমার প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, এ বিশাল ধর্মীয় জমায়েত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বৈঠক সূত্র জানা গেছে, যেহেতু তাবলিগের দুই গ্রুপের মধ্যে মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের গ্রুপ সভায় উপস্থিত হয়নি সেহেতু প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমায় কারা আগে মাঠ পাবেন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এর আগে প্রতি বছরে মাওলানা জুবায়ের আহমেদ গ্রুপ প্রথম ধাপে মাঠ পেয়ে আসছেন। কিন্তু মাওলানা সাদ কান্ধলভীর গ্রুপ একাধিকবার প্রথম ধাপের ইজতেমায় মাঠের আবেদন করলেও তাদের মাঠ দেওয়া হয়নি।

এছাড়া জরুরি দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, মুসল্লিদের জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা, অস্থায়ী দোকানপাট ব্যবস্থাপনা, বস্তি ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ইজতেমাস্থলে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিক্রয় মনিটরিং, মাইক সম্প্রসারণ, সিনেমার অশ্লীল পোস্টার অপসারণ, আখেরি মোনাজাতের দিন যানজট নিরসনে ব্যবস্থাসহ বেশকিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

ঢাকা থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশাল ময়দানে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা ১৯৬৭ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

তাবলিগের একাংশের মুরুব্বি ও ভারতের মাওলানা সাদের কিছু বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে দুই পক্ষ দুই পর্বে ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন।

একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারীরা, অপরটির নেতৃত্বে আছেন আলমী শুরাপন্থি বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা।