আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
বিশ্বের প্রথম নারী হিসাবে ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারের মালিক হয়েছেন প্রসাধন পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লরেলের উত্তরাধিকারী ফ্রাঙ্কোয়েস বেটেনকোর্ট মেয়ার্স।
মেয়ার্সের দাদার প্রতিষ্ঠিত ফরাসি প্রসাধণ পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি কয়েক দশকের মধ্যে সেরা স্টক মার্কেট পারফরম্যান্সের পথে রয়েছে। বৃহস্পতিবার প্যারিসে লরেলের শেয়ার রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছিল।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সের তথ্য অনুসারে, ৭০ বছর বয়সী মেয়ার্সের সম্পদ এক লাখ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। এটি তাকে বিশ্বের ১২তম ধনী ব্যক্তির কাতারে নিয়ে গেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার সূচকে ইতোমধ্যে বিশ্বের ধনীতম নারী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন ফ্র্যাঙ্কোইস। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তার মোট সম্পদ ১০ হাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। কোনো নারী এই পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া বিশ্বের ইতিহাসে এই প্রথম ঘটল।
ফ্রান্সভিত্তিক কোম্পানি ল’রিয়েল বিশ্বের বৃহত্তম প্রসাধন সামগ্রী প্রস্তুতকারী কোম্পানি। ল’রিয়েলের প্রস্তুতকৃত সুগন্ধী, শ্যাম্পু, বডিলোশন, চুলের কলপ, সানস্ক্রিন ও অন্যান্য প্রসাধন সরঞ্জাম বিশ্বের বহু দেশের বাজারে সহজলভ্য। ১৯০৯ সালে ফ্র্যাঙ্কোইস বেটেনকোর্ট মেয়ার্সের নানা ইউজিন শুলার এই কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
ফ্র্যাঙ্কোইস এবং তার পরিবারের সদস্যরা এই কোম্পানির সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার। কোম্পানির ৩৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক তারা।
কোম্পানির শেয়ারের পাশপাশি কয়েকটি বিলাসবহুল বাসভবন বা প্রাসাদও রয়েছে ফ্র্যাঙ্কোয়েসের। সেগুলো তিনি তার মা লিলিয়ান বেটেনকোর্টের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন। ২০১৭ সালে মারা যান লিলিয়ান বেটেনকোর্ট। তার জীবদ্দশায় অবশ্য সম্পত্তি নিয়ে মা ও মেয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এই নারী ব্যক্তিগত জীবনে বেশ নিভৃতচারী। বেশিরভাগ সময় বাড়িতে থাকেন তিনি। বই পড়ে এবং পিয়ানো বাজানো চর্চা করেই দিন কাটে তার। স্টাডি অব বাইবেল এবং জেনেলজি অব গ্রিক গডস নামে দু’টি বইও লিখেছেন তিনি। স্টাডি অব বাইবেল বইটি ৫ ভলিউমের।
ব্লুমবার্গের বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীর তালিকায় ফ্র্যাঙ্কোইসের পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বহুজাতিক চেইন সুপারশপ ওয়ালমার্টের উত্তরাধীকারী অ্যালিস ওয়ালটন। মার্কিন এই নারীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭ হাজার কোটি ডলার।