Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশগুলো ৭ তারিখের নির্বাচনকে গ্রহণ করেনি : ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া ৭ তারিখের নির্বাচন হয়েছে। সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ জনগণ মেনে নেবে না। এটা অবৈধ সরকারের অবৈধ সংসদ। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশগুলো ৭ তারিখের নির্বাচনকে গ্রহণ করেনি।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) ভোট বর্জন করায় জনগণকে ধন্যবাদ দিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লিফলেট বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে ফারুক বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে লজ্জাজনক ঘটনা ৭ জানুয়ারি ঘটিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। জনগণের অনুপস্থিতিতে ভোটারবিহীন নির্বাচনে তল্পিবাহক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন আমরা তথ্য-উপাত্ত দেখে বাংলাদেশের সকল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে যেটা দেখেছি সেটা হলো ২ থেকে ৪ পাসেন্টের বেশি ভোট পড়ে নাই। সেই ভোটের সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান আজকে হয়েছে, আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে স্বৈরাচারী কায়দায় আবারও সরকার পরিচালিত হবে। জনগণ কখনোই এ সরকারকে মেনে নিবে না।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে লজ্জাজনক ঘটনা ৭ জানুয়ারি ঘটিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। জনগণের অনুপস্থিতিতে ভোটারবিহীন নির্বাচনে তল্পিবাহক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন আমরা তথ্য-উপাত্ত দেখে বাংলাদেশের সকল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে যেটা দেখেছি সেটা হলো ২ থেকে ৪ পাসেন্টের বেশি ভোট পড়ে নাই। সেই ভোটের সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান আজকে হয়েছে, আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি।

সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এরশাদও ৮৬ সালে নির্বাচন করেছে কিন্তু সেই নির্বাচনও জনগণ গ্রহণ করেনি। আপনারও (সরকার) ক্ষমতায় জোর করে ছিলেন। এবার ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির এই তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে আপনারা যে ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছেন এর মাধ্যমে আপনারা সরকার গঠন করতে পারবেন না। দেশের মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, দেশের মানুষ এখন জেগে উঠেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিএনপি রাস্তায় আছে এবং থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত। বাংলাদেশের মানুষ জেগেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রাজপথে আছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। রাস্তায় ইনশাআল্লাহ আমরা আছি থাকব। গণতন্ত্রের বিজয় অবশ্যই আমরা আনব।

জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রিকশাচালকসহ পথচারীদের হাতে ফুল তুলে দেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক। এ সময়ে মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাবসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশগুলো ৭ তারিখের নির্বাচনকে গ্রহণ করেনি : ফারুক

প্রকাশের সময় : ০৪:০৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া ৭ তারিখের নির্বাচন হয়েছে। সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ জনগণ মেনে নেবে না। এটা অবৈধ সরকারের অবৈধ সংসদ। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশগুলো ৭ তারিখের নির্বাচনকে গ্রহণ করেনি।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) ভোট বর্জন করায় জনগণকে ধন্যবাদ দিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লিফলেট বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে ফারুক বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে লজ্জাজনক ঘটনা ৭ জানুয়ারি ঘটিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। জনগণের অনুপস্থিতিতে ভোটারবিহীন নির্বাচনে তল্পিবাহক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন আমরা তথ্য-উপাত্ত দেখে বাংলাদেশের সকল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে যেটা দেখেছি সেটা হলো ২ থেকে ৪ পাসেন্টের বেশি ভোট পড়ে নাই। সেই ভোটের সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান আজকে হয়েছে, আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে স্বৈরাচারী কায়দায় আবারও সরকার পরিচালিত হবে। জনগণ কখনোই এ সরকারকে মেনে নিবে না।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে লজ্জাজনক ঘটনা ৭ জানুয়ারি ঘটিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। জনগণের অনুপস্থিতিতে ভোটারবিহীন নির্বাচনে তল্পিবাহক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন আমরা তথ্য-উপাত্ত দেখে বাংলাদেশের সকল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে যেটা দেখেছি সেটা হলো ২ থেকে ৪ পাসেন্টের বেশি ভোট পড়ে নাই। সেই ভোটের সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান আজকে হয়েছে, আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি।

সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এরশাদও ৮৬ সালে নির্বাচন করেছে কিন্তু সেই নির্বাচনও জনগণ গ্রহণ করেনি। আপনারও (সরকার) ক্ষমতায় জোর করে ছিলেন। এবার ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির এই তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে আপনারা যে ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছেন এর মাধ্যমে আপনারা সরকার গঠন করতে পারবেন না। দেশের মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, দেশের মানুষ এখন জেগে উঠেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিএনপি রাস্তায় আছে এবং থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত। বাংলাদেশের মানুষ জেগেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রাজপথে আছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। রাস্তায় ইনশাআল্লাহ আমরা আছি থাকব। গণতন্ত্রের বিজয় অবশ্যই আমরা আনব।

জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রিকশাচালকসহ পথচারীদের হাতে ফুল তুলে দেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক। এ সময়ে মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাবসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।