Dhaka বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্ববাজারে আরও বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২
  • ১৮৭ জন দেখেছেন

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও বেড়েছে। রাশিয়া থেকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা এবং ডলারের মূল্য নিম্নমুখী হওয়ায় আবার পণ্যটির দর উঠেছে।

এছাড়া নেপথ্যে আরও দুই কারণ জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা এবং চীন কঠোর কোভিড নীতি গ্রহণ করায় বিশ্ববাজারে তেলের দাম ফের বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার (১৮ জুলাই) সেপ্টেম্বরের জন্য ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্সের নিষ্পত্তি হয়েছে ৪ দশমিক ৪৪ ডলার বা ৪ দশমিক ৪ শতাংশ দাম বেড়ে। আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্ট প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ১০৫ দশমিক ৬০ ডলারে। এর আগে গত শুক্রবার এ জ্বালানি তেলের মূল্য ২ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

একই দিনে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড ফিউচার্সের আগস্টের সরবরাহ মূল্য বেড়েছে ৪ দশমিক ১০ ডলার বা ৪ দশমিক ২ শতাংশ। ব্যারেল প্রতি এ তেল বিকিয়েছে ১০১ দশমিক ৬৯ ডলারে। আগের সেশনে ডব্লিউটিআইয়ের দাম বাড়ে ১ দশমিক ৯ শতাংশ।

ইউরোপে একচেটিয়া গ্যাস সরবরাহ করে রাশিয়ার প্রধান কোম্পানি গ্যাজপ্রম। সম্প্রতি ওই অঞ্চলের একজন গ্রাহককে জ্বালানি পণ্যটি সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে তারা।

এছাড়া রক্ষণাবেক্ষেণকাজের জন্য নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইন–১ দিয়ে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ আপাতত স্থগিত রেখেছে রাশিয়া। ওএএনডিএর জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক জেফ্রি হ্যালে বলেন, জার্মানিতে শিগগির গ্যাস সরবরাহ শুরু না করলে আগামী সপ্তাহের শেষদিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আরও বেড়ে যাবে।

এছাড়া শিগগির তেলের উৎপাদন না বাড়ানোর কথা জানিয়েছে শীর্ষ উৎপাদক দেশ সৌদি আরব। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফরেও কাজ হয়নি। এ পরিস্থিতিতেও রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপে বদ্ধপরিকর পশ্চিমা দেশগুলো। যদি শেষ পর্যন্ত তাই হয়, তাহলে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে প্রতিশোধ নিতে পারে মস্কো। এতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের আরও বেড়ে যাবে।

সম্প্রতি ডলারের দরে ওঠা-নামা দেখা যাচ্ছে। দুর্বল ডলার অন্যান্য মুদ্রার ধারকদের জন্য ডলার-নির্দেশিত পণ্যগুলোকে আরও সাশ্রয়ী করে তোলে।

অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কায় গত সপ্তাহে এক মাসের মধ্যে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআইয়ের দাম সবচেয়ে কমে যায়। প্রায় ১০০ ডলারের নিচে নেমে যায়। ইতোমধ্যে চীনে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ফলে সেখানে লকডাউন চলছে। এতে শিল্প-কারখানায় কার্যক্রম কমেছে। যার প্রভাব পড়ছে তেলের বাজারে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিশ্ববাজারে আরও বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশের সময় : ১২:৩৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও বেড়েছে। রাশিয়া থেকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা এবং ডলারের মূল্য নিম্নমুখী হওয়ায় আবার পণ্যটির দর উঠেছে।

এছাড়া নেপথ্যে আরও দুই কারণ জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা এবং চীন কঠোর কোভিড নীতি গ্রহণ করায় বিশ্ববাজারে তেলের দাম ফের বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার (১৮ জুলাই) সেপ্টেম্বরের জন্য ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্সের নিষ্পত্তি হয়েছে ৪ দশমিক ৪৪ ডলার বা ৪ দশমিক ৪ শতাংশ দাম বেড়ে। আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্ট প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ১০৫ দশমিক ৬০ ডলারে। এর আগে গত শুক্রবার এ জ্বালানি তেলের মূল্য ২ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

একই দিনে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড ফিউচার্সের আগস্টের সরবরাহ মূল্য বেড়েছে ৪ দশমিক ১০ ডলার বা ৪ দশমিক ২ শতাংশ। ব্যারেল প্রতি এ তেল বিকিয়েছে ১০১ দশমিক ৬৯ ডলারে। আগের সেশনে ডব্লিউটিআইয়ের দাম বাড়ে ১ দশমিক ৯ শতাংশ।

ইউরোপে একচেটিয়া গ্যাস সরবরাহ করে রাশিয়ার প্রধান কোম্পানি গ্যাজপ্রম। সম্প্রতি ওই অঞ্চলের একজন গ্রাহককে জ্বালানি পণ্যটি সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে তারা।

এছাড়া রক্ষণাবেক্ষেণকাজের জন্য নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইন–১ দিয়ে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ আপাতত স্থগিত রেখেছে রাশিয়া। ওএএনডিএর জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক জেফ্রি হ্যালে বলেন, জার্মানিতে শিগগির গ্যাস সরবরাহ শুরু না করলে আগামী সপ্তাহের শেষদিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আরও বেড়ে যাবে।

এছাড়া শিগগির তেলের উৎপাদন না বাড়ানোর কথা জানিয়েছে শীর্ষ উৎপাদক দেশ সৌদি আরব। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফরেও কাজ হয়নি। এ পরিস্থিতিতেও রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপে বদ্ধপরিকর পশ্চিমা দেশগুলো। যদি শেষ পর্যন্ত তাই হয়, তাহলে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে প্রতিশোধ নিতে পারে মস্কো। এতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের আরও বেড়ে যাবে।

সম্প্রতি ডলারের দরে ওঠা-নামা দেখা যাচ্ছে। দুর্বল ডলার অন্যান্য মুদ্রার ধারকদের জন্য ডলার-নির্দেশিত পণ্যগুলোকে আরও সাশ্রয়ী করে তোলে।

অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কায় গত সপ্তাহে এক মাসের মধ্যে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআইয়ের দাম সবচেয়ে কমে যায়। প্রায় ১০০ ডলারের নিচে নেমে যায়। ইতোমধ্যে চীনে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ফলে সেখানে লকডাউন চলছে। এতে শিল্প-কারখানায় কার্যক্রম কমেছে। যার প্রভাব পড়ছে তেলের বাজারে।