স্পোর্টস ডেস্ক :
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বাকি রয়েছে এক ম্যাচ। তার আগে বড় দুঃসংবাদ পেলো টাইগার শিবির। আঙুলের চোটে ছিটকে গেলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারবেন না তিনি।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে খবরটি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দলের ফিজিও বায়জেদুল ইসলাম জানান, পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরুর জন্য আজই বাংলাদেশে ফিরছেন সাকিব।
সোমবার (৬ নভেম্বর) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে গিয়ে বাঁ হাতের তর্জনীতে আঘাত পান সাকিব। এক্স রের পর জানা গেছে, তার হাতের আঙুলে চিড় ধরেছে।
ফলে ১১ নভেম্বর পুনেতে বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বিসিবির প্রেস রিলেজে জানানো হয়, বাঁ হাতের তর্জনীর হাড়ে চিড় ধরায় অজিদের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি খেলতে পারবেন না সাকিব। বিসিবির বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সময় বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব বাম হাতের তর্জনীতে চোট পেয়েছেন। এক্স-রে করার পর জানা যায়, তার আঙুলের হাড়ে চিড় ধরেছে।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফিজিও বায়জেদুল ইসলাম খান সাকিবের চোট নিয়ে বলেন, ইনিংসের শুরুতেই আঙুলে আঘাত পান সাকিব। তবে টেপ এবং পেইনকিলার নিয়ে খেলা চালিয়ে যান তিনি। পরবর্তীতে ম্যাচ শেষে দিল্লিতে তার হাতে জরুরি এক্স-রে করা হয়। যেখানে নিশ্চিত হয় তার বাঁ হাতের পিপ জয়েন্টে চিড় ধরা পড়ে। সুস্থ হতে সাকিবের তিন থেকে চার সপ্তাহ লাগবে।
বায়জেদুল ইসলাম জানান, আজই দেশে ফিরছেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘রিহ্যাবের জন্য আজই (মঙ্গলবার) দল ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরবেন সাকিব।’
তার পরিবর্তে এক ম্যাচের জন্য দলে কেউ যোগ দিবে কিনা তা নিয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানায় নি বিসিবি। তবে ধারণা করা হচ্ছে স্কোয়াডে বাড়তি কাউকেই যুক্ত করবে না টাইগার ক্রিকেট বোর্ড। কেননা বাংলাদেশের অজিদের বিপক্ষে ম্যাচটি শুধুই নিয়মরক্ষার।
চলতি বিশ্বকাপের শুরুতেও চোটে পড়েছিলেন সাকিব। ফুটবল নিয়ে দলের অনুশীলন চলাকালে তিনি পায়ে ব্যথা পান। যদিও প্রস্তুতি ম্যাচে না থাকা বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার বিশ্বকাপের শুরুর তিন ম্যাচ খেলেছেন। পরে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচে আবারও চোট পান সাকিব। এরপর ভারতের সঙ্গে ম্যাচটিতে তিনি একাদশে ছিলেন না।
বিশ্বকাপে চলাকালে এর আগে ২৫ অক্টোবর দল রেখেই ঢাকায় এসেছিলেন সাকিব। তার সেই সফর নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। পরে জানা যায়, রানখরায় ভোগায় শৈশবের কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করতেই তিনি পা রাখেন ঢাকায়। তিনি ফাহিমের অধীনে দুদিন মিরপুুরে অনুশীলনও করেন। পরে তিনদিনের ছুটি সংক্ষিপ্ত করেই দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় কলকাতায় দলের সঙ্গে যোগ দেন টাইগার অধিনায়ক।
শেষ চারে যাওয়ার টাইগারদের স্বপ্ন আরো অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দৌড়ে থাকতে হলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জিততে হবে । আর না হয় অন্য দলের ফলাফলের উপর ভাগ্য নির্ধারণ করবে টাইগারদের।