স্পোর্টস ডেস্ক :
ভারতের মাটিতে এবারের বিশ্বকাপে রানের বন্যা হবে এমন কথা আগেই বলা হয়েছিল। প্রস্তুতি ম্যাচ থেকেই মিলেছিল আভাস। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংটাও ছিল ঝড়ের লক্ষণ। রাচীন রবীন্দ্র আর ডেভন কনওয়ে খেলেছেন বিধ্বংসী ইনিংস। তবে আজ দক্ষিণ আফ্রিকা যা করেছে, তাকে এককথায় ব্যাটিং তাণ্ডবই বলা চায়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে বিশ্বকাপের রেকর্ডবুকটাই যে বদলে ফেলেছে তারা।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে রীতিমত রানের উৎসব করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরি তাদেরকে এনে দিয়েছে ৪২৮ রানের ভিত। এমন রানবন্যার দিনে দিল্লির দর্শকরা সাক্ষী হয়েছে বিশ্বকাপের দুই নতুন রেকর্ডের।
বিশ্বকাপে এর আগে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল অস্ট্রেলিয়ার। পার্থে ২০১৫ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪১৭ রান করেছিল তারা। এনিয়ে বিশ্বকাপে তৃতীয়বার ৪০০ ছাড়ানো সংগ্রহ পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে একটির বেশি নেই আর কোনো দলের।
বড় স্কোরের দিনে বিশ্বকাপের রেকর্ডবুকে নিজের নাম তুলেছেন এইডেন মার্করাম। বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। ৪৯ বলে পৌঁছে গিয়েছেন সেঞ্চুরির মাইলফলকে।
আজ অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ১০ রানে ৫ বলে ৮ রানে আউট হন প্রোটিয়া অধিনায়ক। এরপর ক্রিজে আছেন রাসি ভ্যান ডুসেন। তাকে সঙ্গে নিয়ে ২০৪ রানের জুটি করেন কুইন্টন ডি কক। কুইন্টন ডি কক তার শতরান পূর্ণ করে আউট হন। দলীয় ২১৪ রানে ৮৪ বলে ১০০ রান করে আউট হন ডি কক।
তৃতীয় উইকেটে ক্রিজে আসা এইডেন মার্করামকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রেখে শতক পূর্ণ করেন ভ্যান ডুসেন। দলীয় ২৬৪ রানে ১১০ বলে ১০৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এরপর ক্রিজে আসা হেনরি ক্লাসেনকে সঙ্গে নিয়ে মারমুখি ব্যাটিং করতে থাকেন মার্করাম। তবে দলীয় ৩৪২ রানে ২০ বলে ৩২ রান করে ফিরে যান ক্লাসেন।
এরপর ৪৯ বলে শতক পূর্ণ করেন মার্করাম। যা ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম শতক। দলীয় ৩৮৩ রানে ৫৪ বলে ১০৬ রান করে আউট হন মার্করাম। পরে ক্রিজে আসা মার্কো জানসেনকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস শেষ করে আসেন ডেভিড মিলার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪২৮ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় প্রোট্রিয়ারা। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম এক ইনিংসে তিন ব্যাটারের শতকের অনন্য ইতিহাস গড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা।
মাঝে হেনরিক ক্লাসেন ২০ বলে ৩২ আর শেষদিকে ডেভিড মিলার ২১ বলে খেলেন অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস।
বল হাতে লঙ্কানরা এদিন ছিল অসহায়। দলের সবচেয়ে সফল বোলার দিলশান মাদুশাঙ্কা। তবে দুই উইকেট পেলেও ৮৬ রান খরচা করেছেন তিনি। কাসুন রাজিথা ১ উইকেট পেলেও দিয়েছেন ৯০ রান। মাথিশা পাথিরানা এবং দুনিথ ওয়েল্লালাগে দুজনে রান দিয়েছেন যথাক্রমে ৯৫ এবং ৮১।